আসলে কত জঙ্গি নিহত?
ভারতনিয়ন্ত্রিত
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে
পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এখনো বিতর্কে
রয়েছে গোটা ভারত। ওই জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার জবাব দিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায়। এই অভিযানে ১২টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
হামলার বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়, এই বিমান হামলায় ৩০০ থেকে ৩৫০ পাকিস্তানি জঙ্গি নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে জঙ্গিদের শিবির।
কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই বিমান অভিযানে কত জঙ্গি নিহত হয়েছে, এর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে। তারা সরকারের কাছে দাবি তুলেছে, প্রকৃত সংখ্যা জানানো হোক দেশবাসীকে। বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, বালাকোটের বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করে সরিয়ে ফেলেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, সে কথা আমরা বলিনি। এটা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।’
গতকাল রোববার গুজরাটের আহমেদাবাদে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘পুলওয়ামায় পাকিস্তানি জঙ্গি হামলার পর সবাই ভেবেছিল এই সময় সার্জিকাল স্ট্রাইক করা যাবে না। কিন্তু ১৩ দিনের মাথায় ভারতীয় বিমানবাহিনী তার জবাব দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ২৫০–এর বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।’
বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতী বলেছেন, জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপি তাদের সরকারের ব্যর্থতাকে ঢাকতে চাইছে।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, এবার স্যাটেলাইটের ছবি দেখিয়ে প্রমাণ দিক মোদি সরকার। আমেরিকাও লাদেনকে হত্যা করে গোটা দুনিয়ার কাছে প্রমাণ দিয়েছিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের বিমানবাহিনীর কাছে স্যাটেলাইট ছবি রয়েছে। যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
এত সমালোচনার মধ্যে মোদির এনডিএ শরিক দলের নেতা রামবিলাস পাসোয়ান বলেছেন, এই সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর মোদির ছাতি ৫৬ ইঞ্চি থেকে বেড়ে ১৫৬ ইঞ্চি হয়েছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার জবাব দিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায়। এই অভিযানে ১২টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।
হামলার বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়, এই বিমান হামলায় ৩০০ থেকে ৩৫০ পাকিস্তানি জঙ্গি নিহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে জঙ্গিদের শিবির।
কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই বিমান অভিযানে কত জঙ্গি নিহত হয়েছে, এর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে। তারা সরকারের কাছে দাবি তুলেছে, প্রকৃত সংখ্যা জানানো হোক দেশবাসীকে। বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, বালাকোটের বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করে সরিয়ে ফেলেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, সে কথা আমরা বলিনি। এটা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।’
গতকাল রোববার গুজরাটের আহমেদাবাদে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ‘পুলওয়ামায় পাকিস্তানি জঙ্গি হামলার পর সবাই ভেবেছিল এই সময় সার্জিকাল স্ট্রাইক করা যাবে না। কিন্তু ১৩ দিনের মাথায় ভারতীয় বিমানবাহিনী তার জবাব দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ২৫০–এর বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।’
বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতী বলেছেন, জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপি তাদের সরকারের ব্যর্থতাকে ঢাকতে চাইছে।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, এবার স্যাটেলাইটের ছবি দেখিয়ে প্রমাণ দিক মোদি সরকার। আমেরিকাও লাদেনকে হত্যা করে গোটা দুনিয়ার কাছে প্রমাণ দিয়েছিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের বিমানবাহিনীর কাছে স্যাটেলাইট ছবি রয়েছে। যথাসময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
এত সমালোচনার মধ্যে মোদির এনডিএ শরিক দলের নেতা রামবিলাস পাসোয়ান বলেছেন, এই সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর মোদির ছাতি ৫৬ ইঞ্চি থেকে বেড়ে ১৫৬ ইঞ্চি হয়েছে।
No comments