জয়েশ-ই-মুহাম্মদ নেতা মাসুদ আজহার ‘জীবিত’
ভারতের
জঙ্গি তালিকায় থাকা শীর্ষ ব্যক্তি জয়েশ-ই-মোহাম্মদ’র প্রধান মাসুদ আজহার
জীবিত আছেন। তার নিহতের খবর গুজব বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম
জিও উর্দু নিউজ। তবে তার জীবিত থাকার বিষয়ে পাকিস্তানের কোনও সরকারি
বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখওয়াতে ভারতীয়
বিমান হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে মাসুদ আজহার নিহতের কথা প্রচারিত হচ্ছে।
মাসুদ আজহারের পরিবারের অজ্ঞাত ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে জিও উর্দু নিউজের খবরে দাবি করা হয়েছে তিনি জীবিত। তবে তার স্বাস্থ্যের বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি খবরে।
মাসুদ আজহারের বিষয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে আমি এখন কিছু জানি না।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা মাসুদ আজহার ২০০০ সালে জয়েশ-ই-মুহাম্মদ প্রতিষ্ঠা করেন। ৫০ বছরের আজহারকে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার বন্দিবিনিময়ের আওতায় মুক্তি দিয়েছিল। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্ট হামলা, জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্য পরিষদ, পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও সর্বশেষ পুলওয়ামা হামলার জন্য মাসুদ আজহার ও জয়েশ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করে আসছে ভারতীয় সরকার।
মাসুদ আজহার জীবিত না মৃত তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারাও। তারা সামাজিকমাধ্যমে তার নিহতের খবর যাচাই করছেন। সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাসুদ আজহার সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বালাকোটে জয়েশ ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় তিনি আহত হয়েছেন। তবে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ঘাঁটি ধ্বংসের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি স্বীকার করেছিলেন, জয়েশ প্রধান পাকিস্তানেই আছেন এবং তার অবস্থা খুব ভালো না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তখনি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে যখন ভারত অকাট্য প্রমাণ দিতে পারবে।
শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছিলেন, আমার কাছে থাকা তথ্য অনুসারে আজহার পাকিস্তানে আছে। তার অবস্থা ভালো না। এতো খারাপ অবস্থা যে তিনি বাড়ি ছেড়ে বের হতে পারছেন না।
গত সপ্তাহে মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বুধবার ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব আনে পরিষদের তিন স্থায়ী সদস্য দেশ। এই তালিকাভুক্ত হলে জয়েশ প্রধানের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এছাড়া তার সম্পত্তিও জব্দ করা যাবে। এই প্রস্তাব বিবেচনা করতে দশ কর্মদিবস সময় পাবে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে অতীতে মাসুদ আজহারের বিষয়ে আনা প্রস্তাবে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দিয়েছে চীন।
মাসুদ আজহারের পরিবারের অজ্ঞাত ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে জিও উর্দু নিউজের খবরে দাবি করা হয়েছে তিনি জীবিত। তবে তার স্বাস্থ্যের বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি খবরে।
মাসুদ আজহারের বিষয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে আমি এখন কিছু জানি না।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা মাসুদ আজহার ২০০০ সালে জয়েশ-ই-মুহাম্মদ প্রতিষ্ঠা করেন। ৫০ বছরের আজহারকে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার বন্দিবিনিময়ের আওতায় মুক্তি দিয়েছিল। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্ট হামলা, জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্য পরিষদ, পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও সর্বশেষ পুলওয়ামা হামলার জন্য মাসুদ আজহার ও জয়েশ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করে আসছে ভারতীয় সরকার।
মাসুদ আজহার জীবিত না মৃত তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারাও। তারা সামাজিকমাধ্যমে তার নিহতের খবর যাচাই করছেন। সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, মাসুদ আজহার সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বালাকোটে জয়েশ ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় তিনি আহত হয়েছেন। তবে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ঘাঁটি ধ্বংসের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি স্বীকার করেছিলেন, জয়েশ প্রধান পাকিস্তানেই আছেন এবং তার অবস্থা খুব ভালো না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার তখনি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে যখন ভারত অকাট্য প্রমাণ দিতে পারবে।
শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছিলেন, আমার কাছে থাকা তথ্য অনুসারে আজহার পাকিস্তানে আছে। তার অবস্থা ভালো না। এতো খারাপ অবস্থা যে তিনি বাড়ি ছেড়ে বের হতে পারছেন না।
গত সপ্তাহে মাসুদ আজহারকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বুধবার ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব আনে পরিষদের তিন স্থায়ী সদস্য দেশ। এই তালিকাভুক্ত হলে জয়েশ প্রধানের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এছাড়া তার সম্পত্তিও জব্দ করা যাবে। এই প্রস্তাব বিবেচনা করতে দশ কর্মদিবস সময় পাবে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে অতীতে মাসুদ আজহারের বিষয়ে আনা প্রস্তাবে নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দিয়েছে চীন।
No comments