নিরাপদ মাতৃত্ব গর্ভাবস্থায় শারীরিক সমস্যা by ডা: আবু আহনাফ
গর্ভাবস্থায়
বমি ও বমিভাব : বমি সাধারণত সকালের দিকেই হয়। বিশেষত সকালে বিছানা থেকে
ওঠার পরপরই এ রকম হয়। প্রথম গর্ভাবস্থায় সাধারণত এটি বেশি হয়। এটি সাধারণত
মাসিক বন্ধের মাস অথবা তার পরের মাস থেকে শুরু হয়। প্রথম তিন মাসের পর এই
কষ্ট ক্রমে কমে যায়। এই উপসর্গ সাধারণত মায়ের শরীরের খুব বেশি ক্ষতি করে
না। তবে খাওয়া কমে যাওয়ার জন্য দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
তাই ভাবী মাকে বুঝানো দরকার যে সন্তান ধারণের জন্য এইটুকু কষ্ট তাকে সহ্য করতে হবে। এ সময় ভাবী মায়ের জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া উচিত। যেমন সকালে বিছানা থেকে ওঠার আগে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কিছুক্ষণ নাড়াচড়া করা দরকার। এ ছাড়া বিছানা থেকে ওঠার পর শুকনো টোস্ট বা বিস্কুট খেতে খেতে পায়চারী করলে বমিভাব দূর হয়। খালি পেটে তরল খাবার বা চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো। এ সময় একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প খাবার বারবার খেতে হবে। প্রয়োজনে বমি বা বমিভাব নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব : গর্ভাবস্থায় সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। বিকাশমান জরায়ু প্রস্রাব থলিতে চাপ দেয়ার জন্য অথবা প্রস্রাবথলিতে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্রাব ঘন ঘন হয়। তবে প্রস্রাবের সাথে জ্বালা থাকলে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণের সন্দেহ করা হয়। তাই এ রকম হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য : গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ মহিলাই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এ জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। প্রচুর টাটকা ফলফলাদি, শাকসবজি খেতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা এবং ঘরের কাজ বজায় রাখতে হবে। খাবারের সাথে নিয়মিত সালাদ খেতে হবে।
বুক জ্বালা : গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালা একটি অতি সাধারণ বিষয়। ক্রমবর্ধমান ভ্রুণের জন্য জরায়ু পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে খাবার অনেকক্ষণ পাকস্থলীর মধ্যে থেকে যায়। যার জন্য পাকস্থলীর এসিড খাদ্যনালীতে চলে আসে এবং গলা-বুক জ্বালা করে। এ জন্য এ সময় ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে। চর্বি ও মশলাদার খাবারও বন্ধ রাখতে হবে। সহজপাচ্য খাবার অল্প অল্প বারে বারে খেতে হবে। খাবার পর ঘণ্টাখানেক হাঁটাচলা করা ভালো। রাতে খাওয়ার পর পরই শুইতে যাওয়া উচিত নয়।
কোমর ব্যথা : গর্ভাবস্থায় মেরুদণ্ড ও তলপেটের গিটগুলো ক্রমে প্রসারিত হতে থাকে বিভিন্ন অন্তঃস্রাবী গ্রন্থির নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে। এ জন্য কোমর ব্যথা হয়। এ ছাড়া ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবেও এমনটি হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যও কোমর ব্যথা হতে পারে।
অর্শ : গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃহদন্ত্র ও মলনালীর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। শিরা-উপশিরার ওপর চাপের জন্য অর্শ দেখা দেয়। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যও এর অন্যতম কারণ।
পা ফোলা : শিরা বা মেদক নারীর ওপর শিশুর চাপের ফলে রক্ত মেদক চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং পা ফোলে।
দাঁতের গোড়া থেকে রক্তপাত : গর্ভাবস্থায় মাড়ি ফুলে যায় এবং রক্তপাত হয়। এই সময় অন্যান্য খাদ্যের ঘাটতির মতো ভিটামিন সি’র অভাব এর প্রধান কারণ।
গর্ভাবস্থায় পায়ে খিলধরা : গর্ভাবস্থায় এটি সাধারণ সমস্যা। রক্ত ধমনির ওপর স্ফীত জরায়ুর চাপের জন্য এটা হয়ে থাকে। রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমের জন্য অথবা ফসফরাসের পরিমাণ বেশির জন্য এটি হতে পারে।
ত্বকের পরিবর্তন : গর্ভাবস্থায় পেটের মাঝামাঝি লম্বাভাবে একটা কালো দাগের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে লিনিয়া নাইগ্রা। চামড়ার ভেতরের স্তর ফেটে যাওয়ায় পেটের দুই পাশে প্রথমে গোলাপি দাগের সৃষ্টি হয়, যাকে বলে স্ট্রাই গ্র্যাভিডেরাম এবং পরে তা উজ্জ্বল সাদা দাগে পরিণত হয়। এই দাগগুলোকে বলে লিমিয়া অ্যালবাক্যান্টিস। এই দাগগুলোই পূর্বের গর্ভধারণের চিহ্ন বহন করে চলে। যখন মায়ের ও শিশুর ওজন বেশি হয়, তখন এই দাগগুলো বেশি দেখা যায়। নিয়মিত অলিভ অয়েল মালিশ করলে এ দাগ কিছুটা কমে যায়।
চুলকানি : অনেক মহিলারই গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের দিকে সারা শরীরে চুলকানি দেখা দেয়। এর সঠিক কোনো কারণ জানা নেই। অনেকে মনে করেন ভ্রুণের শরীরের দূষিত পদার্থ মায়ের শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। তবে সন্তান প্রসবের পরপরই এ ধরনের চুলকানি কমে যায়।
সাদা স্রাব : গর্ভাবস্থায় যোনি নিঃসৃত স্রাবের পরিমাণ আপনা থেকেই বেড়ে যায়। এ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। স্রাবের রঙ হলুদ বা সবুজ হলে, দুর্গন্ধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : গর্ভাবস্থায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিরাপদ
তাই ভাবী মাকে বুঝানো দরকার যে সন্তান ধারণের জন্য এইটুকু কষ্ট তাকে সহ্য করতে হবে। এ সময় ভাবী মায়ের জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া উচিত। যেমন সকালে বিছানা থেকে ওঠার আগে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কিছুক্ষণ নাড়াচড়া করা দরকার। এ ছাড়া বিছানা থেকে ওঠার পর শুকনো টোস্ট বা বিস্কুট খেতে খেতে পায়চারী করলে বমিভাব দূর হয়। খালি পেটে তরল খাবার বা চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো। এ সময় একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প খাবার বারবার খেতে হবে। প্রয়োজনে বমি বা বমিভাব নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব : গর্ভাবস্থায় সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। বিকাশমান জরায়ু প্রস্রাব থলিতে চাপ দেয়ার জন্য অথবা প্রস্রাবথলিতে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্রাব ঘন ঘন হয়। তবে প্রস্রাবের সাথে জ্বালা থাকলে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণের সন্দেহ করা হয়। তাই এ রকম হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য : গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ মহিলাই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এ জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। প্রচুর টাটকা ফলফলাদি, শাকসবজি খেতে হবে। নিয়মিত হাঁটাচলা এবং ঘরের কাজ বজায় রাখতে হবে। খাবারের সাথে নিয়মিত সালাদ খেতে হবে।
বুক জ্বালা : গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালা একটি অতি সাধারণ বিষয়। ক্রমবর্ধমান ভ্রুণের জন্য জরায়ু পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে খাবার অনেকক্ষণ পাকস্থলীর মধ্যে থেকে যায়। যার জন্য পাকস্থলীর এসিড খাদ্যনালীতে চলে আসে এবং গলা-বুক জ্বালা করে। এ জন্য এ সময় ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে। চর্বি ও মশলাদার খাবারও বন্ধ রাখতে হবে। সহজপাচ্য খাবার অল্প অল্প বারে বারে খেতে হবে। খাবার পর ঘণ্টাখানেক হাঁটাচলা করা ভালো। রাতে খাওয়ার পর পরই শুইতে যাওয়া উচিত নয়।
কোমর ব্যথা : গর্ভাবস্থায় মেরুদণ্ড ও তলপেটের গিটগুলো ক্রমে প্রসারিত হতে থাকে বিভিন্ন অন্তঃস্রাবী গ্রন্থির নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে। এ জন্য কোমর ব্যথা হয়। এ ছাড়া ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবেও এমনটি হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্যও কোমর ব্যথা হতে পারে।
অর্শ : গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃহদন্ত্র ও মলনালীর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। শিরা-উপশিরার ওপর চাপের জন্য অর্শ দেখা দেয়। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যও এর অন্যতম কারণ।
পা ফোলা : শিরা বা মেদক নারীর ওপর শিশুর চাপের ফলে রক্ত মেদক চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এবং পা ফোলে।
দাঁতের গোড়া থেকে রক্তপাত : গর্ভাবস্থায় মাড়ি ফুলে যায় এবং রক্তপাত হয়। এই সময় অন্যান্য খাদ্যের ঘাটতির মতো ভিটামিন সি’র অভাব এর প্রধান কারণ।
গর্ভাবস্থায় পায়ে খিলধরা : গর্ভাবস্থায় এটি সাধারণ সমস্যা। রক্ত ধমনির ওপর স্ফীত জরায়ুর চাপের জন্য এটা হয়ে থাকে। রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমের জন্য অথবা ফসফরাসের পরিমাণ বেশির জন্য এটি হতে পারে।
ত্বকের পরিবর্তন : গর্ভাবস্থায় পেটের মাঝামাঝি লম্বাভাবে একটা কালো দাগের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে লিনিয়া নাইগ্রা। চামড়ার ভেতরের স্তর ফেটে যাওয়ায় পেটের দুই পাশে প্রথমে গোলাপি দাগের সৃষ্টি হয়, যাকে বলে স্ট্রাই গ্র্যাভিডেরাম এবং পরে তা উজ্জ্বল সাদা দাগে পরিণত হয়। এই দাগগুলোকে বলে লিমিয়া অ্যালবাক্যান্টিস। এই দাগগুলোই পূর্বের গর্ভধারণের চিহ্ন বহন করে চলে। যখন মায়ের ও শিশুর ওজন বেশি হয়, তখন এই দাগগুলো বেশি দেখা যায়। নিয়মিত অলিভ অয়েল মালিশ করলে এ দাগ কিছুটা কমে যায়।
চুলকানি : অনেক মহিলারই গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের দিকে সারা শরীরে চুলকানি দেখা দেয়। এর সঠিক কোনো কারণ জানা নেই। অনেকে মনে করেন ভ্রুণের শরীরের দূষিত পদার্থ মায়ের শরীরে অ্যালার্জির সৃষ্টি করে। তবে সন্তান প্রসবের পরপরই এ ধরনের চুলকানি কমে যায়।
সাদা স্রাব : গর্ভাবস্থায় যোনি নিঃসৃত স্রাবের পরিমাণ আপনা থেকেই বেড়ে যায়। এ সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। স্রাবের রঙ হলুদ বা সবুজ হলে, দুর্গন্ধ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : গর্ভাবস্থায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিরাপদ
No comments