ত্রিমুখী চাপে এরশাদ by নিয়াজ মাহমুদ
দলে দুই পক্ষের বিপরীত অবস্থান, সরকারের
কৌশলী পরামর্শ। এই ত্রিমুখী চাপে অসহায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ। চাপ আর কৌশলে মার খেয়ে কোথাও নেই তিনি। সর্বশেষ হঠাৎ
পার্টির মহাসচিব পরিবর্তন করার মধ্য দিয়ে তার অসহায়ত্বই ফুটে উঠেছে বলে মনে
করছেন পার্টির ত্যাগী নেতাকর্মীরা। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দলীয়
বিভেদ আর বিক্তক্তি দলটি খাদের কিনারে দাঁড় করায়।
সর্বশেষ
উপজেলা নির্বাচনে শোচনীয় অবস্থান দলটির অস্তিত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিভক্ত জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেয়।
এতে আওয়ামী লীগ ও নির্বাচনপন্থি নেতারা এরশাদের প্রতি নানামুখী চাপ প্রয়োগ
করে তাকে নির্বাচনমুখী করেন। নির্বাচনের বিপক্ষে থাকা নেতাকর্মীরা এ নিয়ে
নাখোশ ছিলেন শুরু থেকে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে হাসপাতাল থেকে
বাসায় ফিরে এরশাদ চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ দূর করতে। কিন্তু
সরকারপন্থি নেতাদের কৌশলী চাপে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই বার বার পরাস্ত
হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই দলের মহাসচিব নিয়োগ দেয়ার পেছনেও ওই অংশের
নেতাদের চাপ এবং কৌশল ছিল বলে মনে করছেন এরশাদের ঘনিষ্ঠরা। দলের বিভক্তির
বিষয়টি স্বীকার করে এরশাদ নিজেও জানিয়েছেন, এই বিভক্তি দূর করতেই নয়া
মহাসচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রশ্নে নয়া মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু
বলেছেন, কারও চাপে নয়, এরশাদ প্রয়োজন মনে করেছেন তাই মহাসচিব পরিবর্তন
করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৪ বছর ধরে মহাসচিব পদে ছিলেন এবিএম রুহুল
আমীন হাওলাদার। পাশাপাশি তার স্ত্রী রত্না হাওলাদার ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন। নবম সংসদেও তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের
এমপি ছিলেন। মহাসচিব পদের ক্ষমতার পাশাপাশি অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ায় দলের
বেশির ভাগই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কানভারি করেন এরশাদের। সর্বশেষ ৫ই
জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছর ১০ই ডিসেম্বর রাতে সিএমএইচ-এ নিয়ে
যাওয়া হয় এরশাদকে। সিএমএইচ-এ নেয়ার পর হাওলাদার ওইদিন মধ্যরাতে
গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, স্যার অসুস্থ হয়ে সিএমএইচ-এ ভর্তি হয়েছেন। পরদিন
সিএমএইচ থেকে ফিরে জিএম কাদেরসহ তার বাসায় দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলন
চলাকালীন উল্লিখিত বক্তব্যের কারণে দালাল দালাল বলে দলের নেতাকর্র্মীদের
তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় কয়েকজনকে থানা পুলিশে দেন হাওলাদার। পরে
তারা জামিনে মুক্ত হন। এছাড়া এরশাদ সিএমএইচ-এ থাকাকালীন দ্বৈত ভূমিকায়
অবতীর্ণ হন তিনি। এ কারণে দলের উভয় অংশের আস্থা-সঙ্কটে পড়েন তিনি। মাসখানেক
আগেও একবার এরশাদ তাকে মহাসচিব পদ থেকে অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। জাপা
চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে পার পান হাওলাদার। এর আগে উভয়কূল রক্ষা করায়
মন্ত্রিসভায়ও ঠাঁই হয়নি তার।
মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সংসদের বিরোধী নেতা রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ বলে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখার ক্ষেত্রে তার বড় ভূমিকা ছিল। তবে নির্বাচনের পর গঠন করা মন্ত্রিসভায় তার ঠাঁই হয়নি। বাবলু সরকার ও আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হওয়া আলোচনা ছিল তাকে প্রাইজ পোস্টিং দেয়া হতে পারে। সূত্র জানায়, সরকারের নীতি-নির্ধারক পর্যায় থেকে তাকে মহাসচিব করার জন্য বলা হয় এরশাদকে। এতে প্রথম দিকে এরশাদের সায় না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি চাপের কাছে নতি স্বীকার করেন এবং বাবলুকেই দায়িত্ব দেন। এদিকে নয়া মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু গতকাল সকালে গুলশানের নিজ বাসভবনে সাংবদিকদের কাছে দাবি করেন, দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা অনুযায়ী তাকে মহাসচিব করেছেন। সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণেই তাকে এই পদে দেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাকে পার্টির চেয়ারম্যান ভাল করে জানেন। এ কারণেই তিনি এ দায়িত্ব দিয়েছেন। কারও চাপে আমাকে মহাসচিব করা হয়নি। এরশাদের নির্দেশেই মহাসচিব পদে পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, এরশাদ মানেই জাতীয় পার্টি। জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু বলেন, নতুন মহাসচিবের এ দায়িত্ব পালন অনেক কঠিন। কারণ জাতীয় পার্টি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। শুধু তৃণমূল পর্যায়ে পার্টিকে শক্তিশালী করাই নয়, দলকে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ ও জাপার ক্রান্তিকাল চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। অপর একটি সূত্র জানায়, একটি অডিও ক্যাসেটের গোপন কথোপকথনই কাল হয়ে দাঁড়ায় বিদায়ী মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের। ক্যাসেটের কথোপকথন প্রকাশ না হলেও ওই ক্যাসেটে রুহুল আমিন হাওলাদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অবশ্য রুহুল আমিন হাওলাদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্তমান প্রানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জীবনেও কোনো কথা বলিনি। সূত্র জানায়, বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে সরকারের সমালোচনা করে এরশাদের পক্ষে দেয়া রুহুল আমিন হাওলাদার নেতিবাচক বক্তব্যের রেকর্ড কে বা কারা সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীর দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনসহ জাপার দলীয় কর্মকাণ্ডের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে হাওলাদারের বক্তব্য রয়েছে। ওই ঘটনার পর পরই রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ফাইল নড়াচড়া শুরু করে। পাশাপাশি হলফনামার বাইরে থাকা তার অবৈধ সম্পদ আছে কিনা তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় তাকে দলের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। মহাসচিব বদল নিয়ে দলে নানা আলোচনা ও প্রশ্ন থাকলেও পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমার ও রওশনের মধ্যে দূরত্ব আছে বলে জনগণ ও দলের নেতা-কর্মীরা মনে করে। নতুন মহাসচিব নিয়োগের ফলে এ ধারণা দূর হবে। এখন সবাই মনে করবে আমরা এক। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় এ সরকার পাঁচ বছরই থাকবে। তাই পার্টিকে সংগঠিত করা দরকার। এর জন্য তরুণ নেতৃত্ব দরকার। বাবলু পাশে থাকলে আমরা ভালো করব। এরশাদ বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদার ১৪ বছর দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। দলে তাঁর অনেক অবদান আছে। এ মুহূর্তে দলে নতুন মুখের ছিল বলেই বলেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারও চাপে পড়ে মহাসচিব পরিবর্তন আনার কথা অস্বীকার করেন এরশাদ। জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টিতে তৃণমূলে নেমে এসেছে হতাশা। পার্টির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হতাশ। নেতৃত্বের দ্বৈতনীতি ও অবস্থানের কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। দলীয় সূত্র জানায়, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বিপক্ষে ছিলেন। রওশনপন্থি নেতাদেরও বিষয়ে তাদের ক্ষোভ রয়েছে। এমন অবস্থায় রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব করায় তৃণমূলে নতুন করে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। নির্বাচন ইস্যুতে জাতীয় পার্টিতে শেষ ধাপে ভাঙন ধরে। দলের প্রবীণ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বে প্রেসিডিয়ামের বেশ কয়েকজন সদস্য এরশাদকে ছেড়ে যান। তারা প্রত্যেকে এরশাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে আরও কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেন। যারা বরাবরই এরশাদের প্রতি অনুগত ছিলেন। দলীয় কোন্দলের কারণে এরশাদের ভাই জিএম কাদের অনেকটা রাজনীতির বাইরে। সর্বশেষ রুহুল আমিন হাওলাদারকে পথ সরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে দলীয় কর্মকাণ্ডে।
মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সংসদের বিরোধী নেতা রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ বলে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখার ক্ষেত্রে তার বড় ভূমিকা ছিল। তবে নির্বাচনের পর গঠন করা মন্ত্রিসভায় তার ঠাঁই হয়নি। বাবলু সরকার ও আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হওয়া আলোচনা ছিল তাকে প্রাইজ পোস্টিং দেয়া হতে পারে। সূত্র জানায়, সরকারের নীতি-নির্ধারক পর্যায় থেকে তাকে মহাসচিব করার জন্য বলা হয় এরশাদকে। এতে প্রথম দিকে এরশাদের সায় না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি চাপের কাছে নতি স্বীকার করেন এবং বাবলুকেই দায়িত্ব দেন। এদিকে নয়া মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু গতকাল সকালে গুলশানের নিজ বাসভবনে সাংবদিকদের কাছে দাবি করেন, দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা অনুযায়ী তাকে মহাসচিব করেছেন। সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণেই তাকে এই পদে দেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাকে পার্টির চেয়ারম্যান ভাল করে জানেন। এ কারণেই তিনি এ দায়িত্ব দিয়েছেন। কারও চাপে আমাকে মহাসচিব করা হয়নি। এরশাদের নির্দেশেই মহাসচিব পদে পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, এরশাদ মানেই জাতীয় পার্টি। জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু বলেন, নতুন মহাসচিবের এ দায়িত্ব পালন অনেক কঠিন। কারণ জাতীয় পার্টি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। শুধু তৃণমূল পর্যায়ে পার্টিকে শক্তিশালী করাই নয়, দলকে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ ও জাপার ক্রান্তিকাল চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। অপর একটি সূত্র জানায়, একটি অডিও ক্যাসেটের গোপন কথোপকথনই কাল হয়ে দাঁড়ায় বিদায়ী মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের। ক্যাসেটের কথোপকথন প্রকাশ না হলেও ওই ক্যাসেটে রুহুল আমিন হাওলাদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অবশ্য রুহুল আমিন হাওলাদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্তমান প্রানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জীবনেও কোনো কথা বলিনি। সূত্র জানায়, বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে সরকারের সমালোচনা করে এরশাদের পক্ষে দেয়া রুহুল আমিন হাওলাদার নেতিবাচক বক্তব্যের রেকর্ড কে বা কারা সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীর দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনসহ জাপার দলীয় কর্মকাণ্ডের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে হাওলাদারের বক্তব্য রয়েছে। ওই ঘটনার পর পরই রুহুল আমিন হাওলাদারের সম্পদ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ফাইল নড়াচড়া শুরু করে। পাশাপাশি হলফনামার বাইরে থাকা তার অবৈধ সম্পদ আছে কিনা তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় তাকে দলের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। মহাসচিব বদল নিয়ে দলে নানা আলোচনা ও প্রশ্ন থাকলেও পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমার ও রওশনের মধ্যে দূরত্ব আছে বলে জনগণ ও দলের নেতা-কর্মীরা মনে করে। নতুন মহাসচিব নিয়োগের ফলে এ ধারণা দূর হবে। এখন সবাই মনে করবে আমরা এক। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় এ সরকার পাঁচ বছরই থাকবে। তাই পার্টিকে সংগঠিত করা দরকার। এর জন্য তরুণ নেতৃত্ব দরকার। বাবলু পাশে থাকলে আমরা ভালো করব। এরশাদ বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদার ১৪ বছর দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। দলে তাঁর অনেক অবদান আছে। এ মুহূর্তে দলে নতুন মুখের ছিল বলেই বলেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। কারও চাপে পড়ে মহাসচিব পরিবর্তন আনার কথা অস্বীকার করেন এরশাদ। জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টিতে তৃণমূলে নেমে এসেছে হতাশা। পার্টির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হতাশ। নেতৃত্বের দ্বৈতনীতি ও অবস্থানের কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন কর্মীরা। দলীয় সূত্র জানায়, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বিপক্ষে ছিলেন। রওশনপন্থি নেতাদেরও বিষয়ে তাদের ক্ষোভ রয়েছে। এমন অবস্থায় রওশন এরশাদের ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব করায় তৃণমূলে নতুন করে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। নির্বাচন ইস্যুতে জাতীয় পার্টিতে শেষ ধাপে ভাঙন ধরে। দলের প্রবীণ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বে প্রেসিডিয়ামের বেশ কয়েকজন সদস্য এরশাদকে ছেড়ে যান। তারা প্রত্যেকে এরশাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে আরও কয়েকজন নেতা দলত্যাগ করেন। যারা বরাবরই এরশাদের প্রতি অনুগত ছিলেন। দলীয় কোন্দলের কারণে এরশাদের ভাই জিএম কাদের অনেকটা রাজনীতির বাইরে। সর্বশেষ রুহুল আমিন হাওলাদারকে পথ সরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে দলীয় কর্মকাণ্ডে।
No comments