অবশেষে যশোদাবেনকে স্ত্রী স্বীকার করলেন মোদি
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী গুজরাট মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশেষে যশোদাবেনকে নিজের স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছেন। এতদিনে নিজেকে বিবাহিত বলে কবুল করলেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে নিজের স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করলেন যশোদাবেনের নাম। ২০০১, ২০০২, ২০০৭, ২০১২...পর পর চারটি বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে নেমেও এই স্থানটি ফাঁকাই রেখেছিলেন মোদি। কিন্তু সেই তিনিই এবার ভাদোদারা থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে মেনে নিলেন নিজের বৈবাহিক সম্পর্কের কথা। জানালেন, প্রথা মেনেই তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল যশোদাবেনের। তবে স্ত্রীর রোজগার বা সম্পত্তির খতিয়ান দিতে পারেননি তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে তার কোনো ধারণা নেই। কিন্তু কোনোদিন যাকে স্বীকৃতি দেননি, হঠাৎ কী কারণে তার নামোল্লেখ? রাজনৈতিক পরিদর্শকরা মনে করছেন, এর পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চিরাচরিত উদ্দেশ্য।
যৌবনে নরেন্দ্র মোদির (১৮) সঙ্গে ব্রাহ্মণওয়াড়া গ্রামের যশোদাবেনের (১৭) বিয়ে হয়। তবে সেই দাম্পত্যের বয়স মাত্র দুসপ্তাহ। তারপর থেকে আর কোনোদিন স্ত্রীর কাছে ফিরে যাননি মোদি। অথচ তিনি ফিরে আসবেন এই আশাতেই তিন বছর শ্বশুরবাড়ির মাটি আঁকড়ে ধরে পথ চেয়েছিলেন যশোদাবেন। পরে বাবার বাড়িতে ফিরে স্বামীর দেয়া সধবার জীবন শুরু করেন যশোদাবেন। চারটি বিধানসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে স্ত্রী সম্পর্কিত সব প্রশ্নে নিরুত্তর থেকেছেন। অন্যদিকে, যশোদাবেনও এ নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে বিবৃতি দেননি। ব্যাপারটা নিয়ে আদৌ জলঘোলা হতো না যদি না ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার তিন মাস পরে রাজকোট-২ কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ার সময় প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোদির দাম্পত্য জীবনের কথা ফলাও করে প্রচার করা হতো। ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখে কালি ছিটানোর উদ্দেশ্যেই মোদি ও যশোদাবেনের সম্পর্ক নিয়ে কুৎসা রটিয়ে পুস্তিকা ছাপায় কংগ্রেস। এবারের নির্বাচনে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিরোধীদের অপপ্রচারের সুযোগ না দিতেই মনোনয়নপত্রে স্ত্রীর উল্লেখ করেছেন মোদি, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মোদির ছোটবেলায় তার গরিব বাবা যশোদাবেনের সঙ্গে তার বিয়ে দেন।
No comments