কুইন্সল্যান্ডে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত
বন্যাবিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে এবার আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসি। বিপৎসীমার দিক দিয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ পাঁচ মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড় গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে কুইন্সল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব উপকূল বরাবর আছড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। এতে অনেক বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গতকাল সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসির অবস্থান ছিল কুইন্সল্যান্ড উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে কোরাল সাগরে। আঘাত হানার প্রায় ১০ ঘণ্টা আগেই উপকূলে প্রচণ্ড রকমের ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। এতেই উপড়ে পড়তে থাকে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ।
ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে গত সোমবার থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া যারা উপকূলীয় এলাকা থেকে বের হতে পারেনি, তাদের আর ঝুঁকি নিয়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা না করে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রধান আন্না ব্লিঘ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে। গত ৯৩ বছরের মধ্যে এটিই অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। ১৯১৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এমন প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আর আঘাত হানেনি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আট থেকে ২৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
রাজ্যের দুর্যোগ সমন্বয়কারী কর্মকর্তা ইয়ান স্টুয়ার্ট বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই অনেক ধ্বংসযজ্ঞ ও মৃত্যুর ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছি।
কেয়ার্নস শহর ও আশপাশের এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় ২০টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে আরও হাজার হাজার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজেদের বাড়িতে রয়ে যায়। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কেয়ার্নস শহরের দুটি হাসপাতাল খালি করে ফেলা হয় এবং সেখানকার রোগীদের হেলিকপ্টারে করে ব্রিসবেন শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেয়ার্নসসহ ওই উপকূলের অন্যান্য শহরের বিমানবন্দরগুলো গতকাল সকালেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন, ‘দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছি আমরা।’
গতকাল সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসির অবস্থান ছিল কুইন্সল্যান্ড উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে কোরাল সাগরে। আঘাত হানার প্রায় ১০ ঘণ্টা আগেই উপকূলে প্রচণ্ড রকমের ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। এতেই উপড়ে পড়তে থাকে বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ।
ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে গত সোমবার থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া যারা উপকূলীয় এলাকা থেকে বের হতে পারেনি, তাদের আর ঝুঁকি নিয়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা না করে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রধান আন্না ব্লিঘ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে। গত ৯৩ বছরের মধ্যে এটিই অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। ১৯১৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এমন প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আর আঘাত হানেনি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আট থেকে ২৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।
রাজ্যের দুর্যোগ সমন্বয়কারী কর্মকর্তা ইয়ান স্টুয়ার্ট বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই অনেক ধ্বংসযজ্ঞ ও মৃত্যুর ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছি।
কেয়ার্নস শহর ও আশপাশের এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয় ২০টি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে আরও হাজার হাজার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে নিজেদের বাড়িতে রয়ে যায়। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কেয়ার্নস শহরের দুটি হাসপাতাল খালি করে ফেলা হয় এবং সেখানকার রোগীদের হেলিকপ্টারে করে ব্রিসবেন শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেয়ার্নসসহ ওই উপকূলের অন্যান্য শহরের বিমানবন্দরগুলো গতকাল সকালেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন, ‘দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছি আমরা।’
No comments