লাদেনকে হত্যা করতে জারদারিকে বলেছিলেন ব্রাউন: উইকিলিকস
ক্ষমতায় থাকাকালে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন মনে করতেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন জীবিত এবং পাকিস্তানেই তিনি আত্মগোপন করে আছেন। তাঁকে হত্যা করতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে অনুরোধ করেন তিনি। হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া নথির নতুন কূটনৈতিক তারবার্তা থেকে এ কথা জানা গেছে। গতকাল বুধবার ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে এ কথা জানা যায়।
নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে জারদারির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ব্রাউন। ওই সময় তিনি লাদেনকে হত্যা করতে জারদারিকে অনুরোধ করেন। তবে লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে পশ্চিমাদের দাবি সব সময় নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফররত মার্কিন সিনেটরদের বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ব্যবস্থা নিচ্ছে না—এ অভিযোগ অন্যায়। বরং এ ক্ষেত্রে অন্য দেশের তুলনায় পাকিস্তান যে বেশি সক্রিয়, তা তাঁরা নথিপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক মার্কিন কূটনীতিকদের বলেন, লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে মালিক বলেন, লাদেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের ইরানে পাঠিয়েছেন, কাজেই তিনি নিজেও সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। সৌদি আরব বা ইয়েমেনেও তিনি আশ্রয় নিতে পারেন। তাঁর মারা যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে ২০০৯ সালেরই ডিসেম্বরে মার্কিন রষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে তাজিকিস্তানের সরকার দাবি করে, লাদেন পাকিস্তানেই আছেন এবং সে দেশের অনেক মানুষই তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানে। তাজিকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জেনারেল আবদুল্লাহ সাদুল্লোভিচ নাজারভ বলেন, পাকিস্তানে লাদেন অদৃশ্য হয়ে নেই, প্রকাশ্যেই ঘোরফেরা করছেন। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কোথায় তিনি আছেন, সেটা সেখানকার অনেকেই জানে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের আগে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু লোক তাঁকে সতর্ক করে দেন। এখন পর্যন্ত লাদেনের হদিস বের করতে না পারাটা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অন্যতম ব্যর্থতা
নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে জারদারির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ব্রাউন। ওই সময় তিনি লাদেনকে হত্যা করতে জারদারিকে অনুরোধ করেন। তবে লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে পশ্চিমাদের দাবি সব সময় নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফররত মার্কিন সিনেটরদের বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ব্যবস্থা নিচ্ছে না—এ অভিযোগ অন্যায়। বরং এ ক্ষেত্রে অন্য দেশের তুলনায় পাকিস্তান যে বেশি সক্রিয়, তা তাঁরা নথিপত্র দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক মার্কিন কূটনীতিকদের বলেন, লাদেনের অবস্থান সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে মালিক বলেন, লাদেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের ইরানে পাঠিয়েছেন, কাজেই তিনি নিজেও সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। সৌদি আরব বা ইয়েমেনেও তিনি আশ্রয় নিতে পারেন। তাঁর মারা যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবে ২০০৯ সালেরই ডিসেম্বরে মার্কিন রষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে তাজিকিস্তানের সরকার দাবি করে, লাদেন পাকিস্তানেই আছেন এবং সে দেশের অনেক মানুষই তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানে। তাজিকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জেনারেল আবদুল্লাহ সাদুল্লোভিচ নাজারভ বলেন, পাকিস্তানে লাদেন অদৃশ্য হয়ে নেই, প্রকাশ্যেই ঘোরফেরা করছেন। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কোথায় তিনি আছেন, সেটা সেখানকার অনেকেই জানে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের আগে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু লোক তাঁকে সতর্ক করে দেন। এখন পর্যন্ত লাদেনের হদিস বের করতে না পারাটা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অন্যতম ব্যর্থতা
No comments