পবিত্র শবে বরাত ধর্মীয় স্পর্শকাতর ইস্যু, মামলার বিষয়বস্তু বানানো ঠিক হবে না: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট
বলেছেন, পবিত্র শবে বরাত ধর্মীয় স্পর্শকাতর ইস্যু, এটি মামলার বিষয়বস্তু
বানানো ঠিক হবে না। ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে শবে বরাত ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে
রিট দায়েরের অনুমতিবিষয়ক শুনানিতে আজ সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল
আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা
বলেন।
আদালতে রিট আবেদন দায়েরের জন্য অনুমতি প্রত্যাশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
আদালত রিট দায়েরের জন্য অনুমতি দেননি বলে জানান এম সাইফুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা রিট করার অনুমতি চেয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ শাবান মাসের চাঁদ দেখেছেন বলছেন। এই বিষয়ক যেসব তথ্য তাঁদের কাছে আছে, তা-সহ তাঁদের লিখিত আবেদন ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জমা দিতে বলেছেন আদালত। তাঁদের লিখিত আবেদন যেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন জমা নেয়, তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলা হয়েছে। পবিত্র শবে বরাত কবে—তা নির্ধারণে ১৭ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আছে। ওই তথ্যসহ সব তথ্য পর্যালোচনা করে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন আদালত।
২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে শবে বরাত ঘোষণা দিতে নির্দেশনা চেয়ে মসজিদের ইমাম, খতিবসহ ১০ ব্যক্তি রিট দায়েরের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রিট দায়েরে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ৭ এপ্রিল শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ওই দিন থেকে গণনা করা ২০ এপিল দিবাগত রাতে শবে বরাত হবে। বিষয়টি তাঁরা ধর্মসচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে ১০ এপ্রিল জানিয়েছেন। তবে কোনো জবাব পাননি। তাঁদের লিখিত আবেদন ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ৬ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উদযাপিত হবে। আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে শনিবার কোথাও ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৭ এপ্রিল রোববার পবিত্র রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং ৮ এপ্রিল থেকে পবিত্র শাবান মাস শুরু হবে।
এরপর ১৩ এপ্রিল পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার বিষয়ে বিশেষ সভা হয়। সভায় পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারীদের দাবি যাচাইয়ে ১১ সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, উপকমিটি ১৭ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির কাছে সুপারিশ দেবে, যার ভিত্তিতে চাঁদ দেখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়েরের জন্য অনুমতি চেয়ে আজ আরজি জানানো হয়।
আদালতে রিট আবেদন দায়েরের জন্য অনুমতি প্রত্যাশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
আদালত রিট দায়েরের জন্য অনুমতি দেননি বলে জানান এম সাইফুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা রিট করার অনুমতি চেয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ শাবান মাসের চাঁদ দেখেছেন বলছেন। এই বিষয়ক যেসব তথ্য তাঁদের কাছে আছে, তা-সহ তাঁদের লিখিত আবেদন ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জমা দিতে বলেছেন আদালত। তাঁদের লিখিত আবেদন যেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন জমা নেয়, তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলা হয়েছে। পবিত্র শবে বরাত কবে—তা নির্ধারণে ১৭ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা আছে। ওই তথ্যসহ সব তথ্য পর্যালোচনা করে ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন আদালত।
২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে শবে বরাত ঘোষণা দিতে নির্দেশনা চেয়ে মসজিদের ইমাম, খতিবসহ ১০ ব্যক্তি রিট দায়েরের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রিট দায়েরে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ৭ এপ্রিল শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ওই দিন থেকে গণনা করা ২০ এপিল দিবাগত রাতে শবে বরাত হবে। বিষয়টি তাঁরা ধর্মসচিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে ১০ এপ্রিল জানিয়েছেন। তবে কোনো জবাব পাননি। তাঁদের লিখিত আবেদন ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে ৬ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উদযাপিত হবে। আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আকাশে শনিবার কোথাও ১৪৪০ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৭ এপ্রিল রোববার পবিত্র রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং ৮ এপ্রিল থেকে পবিত্র শাবান মাস শুরু হবে।
এরপর ১৩ এপ্রিল পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার বিষয়ে বিশেষ সভা হয়। সভায় পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারীদের দাবি যাচাইয়ে ১১ সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, উপকমিটি ১৭ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির কাছে সুপারিশ দেবে, যার ভিত্তিতে চাঁদ দেখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়েরের জন্য অনুমতি চেয়ে আজ আরজি জানানো হয়।
No comments