নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলার বিচার না পেলে আত্মহত্যার ঘোষণা স্ত্রীর
কথা
বলার একপর্যায়ে প্রথমে পেছন থেকে লোহার রড দিয়ে সেলিম চৌধুরীর মাথায় আঘাত
করে অচেতন করা হয়। পরে হা-পা বেঁধে তাকে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখা
হয়। কয়েক ঘণ্টার পর দ্বিতীয় দফায় মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে
রাখা হয়। লাশ যাতে নষ্ট হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায় এজন্য লাশের উপর চুন
ছিটিয়ে দেয়া হয়। তারপর মাটি চাপার স্থানে চকি বিছিয়ে ওই চকিতে ৯ দিন ঘুমিয়ে
ছিল ঘাতকদের একজন ফয়সাল।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল দোষ স্বীকার করে এমন বর্ণনাই দিয়েছে আদালতে। গত শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ফয়সালকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এ মামলায় মোহাম্মদ আলী ও সোলায়মান নামে আরো দুইজনকে ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মামুন আল আবেদ জানান, গ্রেপ্তার ফয়সাল ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর কর্মচারী। মোহাম্মদ আলীর কাছে ব্যবসায়িক ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরী। এ টাকা আত্মসাতের জন্যই সেলিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মোহাম্মদ আলী। পরিকল্পনা মতে গত ৩১শে মার্চ বিকালে সেলিম চৌধুরীকে টাকা দেয়ার কথা বলে ভোলাইলের মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে আসতে বলা হয়। সেখানে যাওয়ার পর টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে কথার বলার একপর্যায়ে পেছন থেকে ফয়সাল লোহার রড দিয়ে সেলিম চৌধুরীর মাথায় আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেলিম চৌধুরী। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর আরো কয়েকটি আঘাত করা হয়। এরপর ফয়সাল, মোহাম্মদ আলী, সোলায়মানসহ চারজন মিলে সেলিমের হাত পা বেঁধে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, পরে তারা ব্যবসার কাজের জন্য গোডাউনের বাইরে চলে যায়। কাজ শেষে রাতে গোডাউনে এসে সেলিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে গোডাউনের ভেতরে মাটি খুঁড়ে। সেখানে সেলিমের লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে এবং লাশের পাশে চুন ছিটিয়ে দেয়। যাতে লাশের দেহ মাটিতে মিশে যায়। তবে ওইদিন মোহাম্মদ আলীর ব্যবসায়িক পার্টনার পারভেজকে টুকরো টুকরো করে হত্যার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু পারভেজকে হত্যা না করে সেলিম চৌধুরীকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, সেলিমকে যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে সেখানে চৌকি রেখে নয়দিন ফয়সাল ঘুমিয়েছে। দশদিনের দিন ১০ই এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ফয়সালকে আটক করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী ও সোলায়মানকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সেলিমের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
নিহত কামরুজ্জামান সেলিম ওরফে সেলিম চৌধুরীর ফতুল্লার বক্তাবলী কানাইনগর এলাকার মৃত সামছুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে একই থানাধীন শিবু মার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন।
স্বামী হত্যার বিচার না হলে আত্মহত্যার ঘোষণা স্ত্রীর
এদিকে ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। সেলিম হত্যার খুনিরা যদি কোনো ভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করার ঘোষণা দিয়েছে নিহত সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখা। আর এ আত্মহত্যার জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন ও সরকার দায়ী থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি তার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের ফাঁসি দাবি করেছেন।’
গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বক্তাবলী সামাজিক সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের আয়োজনে নিহত ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে নিহত সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা আরো বলেন, ‘আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারো সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলে নাই। এমনকি কারো সঙ্গে ঝগড়া করেনি। আমার স্বামীর দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কি অপরাধ করেছিল। যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগীদের নিয়ে সেলিমকে হত্যা করেছে। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পারে।’
মানববন্ধনে বক্তাবলী সামাজিক সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী, আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, অগ্রযাত্রার সভাপতি বাদল হোসেন ববি, নিহতের মা মমতাজ বেগম, নিহতের ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ফয়সাল দোষ স্বীকার করে এমন বর্ণনাই দিয়েছে আদালতে। গত শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ফয়সালকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এ মামলায় মোহাম্মদ আলী ও সোলায়মান নামে আরো দুইজনকে ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মামুন আল আবেদ জানান, গ্রেপ্তার ফয়সাল ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর কর্মচারী। মোহাম্মদ আলীর কাছে ব্যবসায়িক ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরী। এ টাকা আত্মসাতের জন্যই সেলিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মোহাম্মদ আলী। পরিকল্পনা মতে গত ৩১শে মার্চ বিকালে সেলিম চৌধুরীকে টাকা দেয়ার কথা বলে ভোলাইলের মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে আসতে বলা হয়। সেখানে যাওয়ার পর টাকা দেয়া নেয়া নিয়ে কথার বলার একপর্যায়ে পেছন থেকে ফয়সাল লোহার রড দিয়ে সেলিম চৌধুরীর মাথায় আঘাত করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সেলিম চৌধুরী। মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর আরো কয়েকটি আঘাত করা হয়। এরপর ফয়সাল, মোহাম্মদ আলী, সোলায়মানসহ চারজন মিলে সেলিমের হাত পা বেঁধে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেন, পরে তারা ব্যবসার কাজের জন্য গোডাউনের বাইরে চলে যায়। কাজ শেষে রাতে গোডাউনে এসে সেলিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে গোডাউনের ভেতরে মাটি খুঁড়ে। সেখানে সেলিমের লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে এবং লাশের পাশে চুন ছিটিয়ে দেয়। যাতে লাশের দেহ মাটিতে মিশে যায়। তবে ওইদিন মোহাম্মদ আলীর ব্যবসায়িক পার্টনার পারভেজকে টুকরো টুকরো করে হত্যার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু পারভেজকে হত্যা না করে সেলিম চৌধুরীকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, সেলিমকে যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে সেখানে চৌকি রেখে নয়দিন ফয়সাল ঘুমিয়েছে। দশদিনের দিন ১০ই এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ফয়সালকে আটক করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী ও সোলায়মানকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সেলিমের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
নিহত কামরুজ্জামান সেলিম ওরফে সেলিম চৌধুরীর ফতুল্লার বক্তাবলী কানাইনগর এলাকার মৃত সামছুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে একই থানাধীন শিবু মার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন।
স্বামী হত্যার বিচার না হলে আত্মহত্যার ঘোষণা স্ত্রীর
এদিকে ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। সেলিম হত্যার খুনিরা যদি কোনো ভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করার ঘোষণা দিয়েছে নিহত সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহানা আক্তার রেখা। আর এ আত্মহত্যার জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন ও সরকার দায়ী থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি তার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের ফাঁসি দাবি করেছেন।’
গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বক্তাবলী সামাজিক সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের আয়োজনে নিহত ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠানে নিহত সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা আরো বলেন, ‘আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারো সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলে নাই। এমনকি কারো সঙ্গে ঝগড়া করেনি। আমার স্বামীর দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কি অপরাধ করেছিল। যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগীদের নিয়ে সেলিমকে হত্যা করেছে। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পারে।’
মানববন্ধনে বক্তাবলী সামাজিক সংগঠন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী, আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন, ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, অগ্রযাত্রার সভাপতি বাদল হোসেন ববি, নিহতের মা মমতাজ বেগম, নিহতের ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।
No comments