রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন স্থগিত রাখার আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
প্রস্তাবিত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া স্থগিত করার জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
গতকাল এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা
বাস্তবায়ন করা হলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারে আবারো শোচনীয় পরিস্থিতির
সম্মুখীন হতে পারে। যেখানে তাদের জীবন ও স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার এ মাসেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
এ বিবৃতি দিলো।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের শরণার্থী অধিকার বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রেলিক বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা যে সহিংসতা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারো একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে । বিল ফ্রিলিক আরো বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আবারো একই নৃশংসতা এবং নির্যাতনের মধ্যে ফিরে যাচ্ছে না, এ ভীতি তাদের ভেতর থেকে দূর করার মতো কোনো আলোচনা হয়নি।
যদি বাংলাদেশ জাতিসংঘকে ছাড়া এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যায়, তাহলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
গত ৩০ ও ৩১শে অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের তৃতীয় বৈঠকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রত্যাবাসন শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুরুতে ৪৮৫টি পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারও উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রতি সপ্তাহে ১৫০ জন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত জুন মাসে রোহিঙ্গাদের সব রকম সুবিধা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে একটি স্মারক সাক্ষর করেছে। তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এমনকি এ ঘোষণা আসার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের পাঠানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। জতিসংঘ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এ পরিকল্পনাকে তাড়াহুড়ো ও অকালপক্ব বলে আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা করেছে। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র এনড্রেজ মাহিসিস ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক নয় বলে আমরা মনে করি। ইউএনএইচসিআর এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে কোনো শরণার্থী ফেরত পাঠাবে না।
গত বছর ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বিশ্ব সমপ্রদায় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো এ নির্যাতনকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। এর পূর্বেও নানা সময় বাংলাদেশে ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে একমত হয়। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মিয়ানমার সরকার দাবি করে আসছে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহী। কিন্তু এখনো দেশটির পক্ষ থেকে এ জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের শরণার্থী অধিকার বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রেলিক বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা যে সহিংসতা ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারে ফিরে গেলে আবারো একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে । বিল ফ্রিলিক আরো বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আবারো একই নৃশংসতা এবং নির্যাতনের মধ্যে ফিরে যাচ্ছে না, এ ভীতি তাদের ভেতর থেকে দূর করার মতো কোনো আলোচনা হয়নি।
যদি বাংলাদেশ জাতিসংঘকে ছাড়া এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যায়, তাহলে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে।
গত ৩০ ও ৩১শে অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের তৃতীয় বৈঠকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রত্যাবাসন শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুরুতে ৪৮৫টি পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারও উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১৫ই নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রতি সপ্তাহে ১৫০ জন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর গত জুন মাসে রোহিঙ্গাদের সব রকম সুবিধা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবার ব্যাপারে একটি স্মারক সাক্ষর করেছে। তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এমনকি এ ঘোষণা আসার আগে রোহিঙ্গা শরণার্থী যাদের পাঠানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। জতিসংঘ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এ পরিকল্পনাকে তাড়াহুড়ো ও অকালপক্ব বলে আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা করেছে। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র এনড্রেজ মাহিসিস ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়ক নয় বলে আমরা মনে করি। ইউএনএইচসিআর এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে কোনো শরণার্থী ফেরত পাঠাবে না।
গত বছর ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বিশ্ব সমপ্রদায় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো এ নির্যাতনকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। এর পূর্বেও নানা সময় বাংলাদেশে ২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে একমত হয়। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মিয়ানমার সরকার দাবি করে আসছে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আগ্রহী। কিন্তু এখনো দেশটির পক্ষ থেকে এ জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
No comments