আসামে বাঙালি হত্যার প্রতিবাদ মমতার
আসামে
বাঙালি নিধনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অসমের তিনসুকিয়ায় গত
বৃহষ্পতিবার ৫ জন বাঙালিকে হত্যা করা হয়। সন্দেহ, উলফা জঙ্গীরা এই হত্যাকা-
চালিয়েছে। অবশ্য জঙ্গীদের ধরতে গতকাল রাত থেকেই সেনাবাহিনী অভিযানে
নেমেছে। পুলিশ উলফার আলোচনাপন্থী দুই নেতা মৃণাল হাজারিকা ও জীতেন দত্তকে
আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে। আসামের বাঙালি
সংগঠনগুলির ডাকে তিনসুকিয়ায় পালিত হচ্ছে বারো ঘণ্টার বন্ধ। বাঙালি হত্যার
প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে
তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
সোস্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে নিজের ডিসপ্লে পিকচার (ডিপি) কালো করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজের ডিপিও কালো করে রাখা হযেছে। ট্যুইটারের ডিপি কালো করে প্রতিবাদে সামিল রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনও। দুদিন আগেই আসাম সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহারে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসমের এনআর সি চালু করার নামে বাঙালি, বিহারিদের তাড়ানোর অভিযোগ করেছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ যে বিতাড়িতদের জন্য খোলা রয়েছে সেকথাও জানিয়েছিলেন। নাগরিক পঞ্জী নিয়ে মমতা প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। গত কাল বাঙালি হত্যার খবর পেয়েই তিনি টুইটারে লিখেছেন, অসম থেকে ভয়ঙ্কর খবর এসেছে। এই নারকীয় হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করছি। শ্যামলাল বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, সুবোধ দাসকে খুন করা হয়েছে। এটা কী এনআরসি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিণতি? গত বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ আসামের তিনসুকিয়ার বাঙালি অধ্যুষিত খেরবাড়ি প্রামে ঢুকে একটি দোকানের সামনে থেকে পাঁচ জনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করেছে সন্দেহভাজন উলফা জঙ্গিরা। এরা হলেন, সুবোধ বিশ্বাস, শ্যামলাল বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস ও ধনঞ্জয় নমশূদ্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার কথা জানতে পেরেই খবর দেয়া হয়েছিল পুলিশে। কিন্তু পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন তারা।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে পরেশ বড়–য়ার নেতৃত্বাধীন উলফা(স্বাধীন) গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। কয়েকদিন আগেই তারা হুমকি দিয়েছিল। যদিও ওই সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়ে খুনের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে, আসামে পাঁচ বাঙালিকে হত্যার ঘটনার পর ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। আসাম-অরুণাচল সীমানা বরাবর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জঙ্গি বিরোধী অভিযান। মায়ানমার সীমান্তেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা।
সোস্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে নিজের ডিসপ্লে পিকচার (ডিপি) কালো করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজের ডিপিও কালো করে রাখা হযেছে। ট্যুইটারের ডিপি কালো করে প্রতিবাদে সামিল রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনও। দুদিন আগেই আসাম সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহারে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসমের এনআর সি চালু করার নামে বাঙালি, বিহারিদের তাড়ানোর অভিযোগ করেছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ যে বিতাড়িতদের জন্য খোলা রয়েছে সেকথাও জানিয়েছিলেন। নাগরিক পঞ্জী নিয়ে মমতা প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। গত কাল বাঙালি হত্যার খবর পেয়েই তিনি টুইটারে লিখেছেন, অসম থেকে ভয়ঙ্কর খবর এসেছে। এই নারকীয় হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করছি। শ্যামলাল বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, সুবোধ দাসকে খুন করা হয়েছে। এটা কী এনআরসি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিণতি? গত বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ আসামের তিনসুকিয়ার বাঙালি অধ্যুষিত খেরবাড়ি প্রামে ঢুকে একটি দোকানের সামনে থেকে পাঁচ জনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করেছে সন্দেহভাজন উলফা জঙ্গিরা। এরা হলেন, সুবোধ বিশ্বাস, শ্যামলাল বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস, অনন্ত বিশ্বাস ও ধনঞ্জয় নমশূদ্র। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার কথা জানতে পেরেই খবর দেয়া হয়েছিল পুলিশে। কিন্তু পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন তারা।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে পরেশ বড়–য়ার নেতৃত্বাধীন উলফা(স্বাধীন) গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। কয়েকদিন আগেই তারা হুমকি দিয়েছিল। যদিও ওই সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়ে খুনের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে, আসামে পাঁচ বাঙালিকে হত্যার ঘটনার পর ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। আসাম-অরুণাচল সীমানা বরাবর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জঙ্গি বিরোধী অভিযান। মায়ানমার সীমান্তেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন আসাম রাইফেলসের জওয়ানরা।
No comments