গোয়েন্দাজাল: পাসপোর্ট জালিয়াতি করে মোসাদ, ইসরাইলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার by মোহাম্মদ আবুল হোসেন
২০১০
সাল। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসের সামরিক একজন সিনিয়র কমান্ডার মাহমুদ
আল মাহউব অবস্থান করছিলেন দুবাইয়ে। সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। সন্দেহ করা
হয় এই হত্যা মোসাদের কাজ। এই হামলা যে মোসাদ চালিয়েছিল তার পক্ষে প্রমাণও
পাওয়া যায়। আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে তখন ইসরাইলের দূতাবাস। সেখানে পাওয়া যায়
আটটি আইরিশ পাসপোর্ট। এর মধ্যে ছয়টি ব্যবহার করেছে মোসাদের এজেন্টরা।
এ পাসপোর্টগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। এভাবে আইরিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করার কারণে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় আয়ারল্যান্ড সরকার। তারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূততে তলব করে। বহিষ্কার করে ইসরাইলি কূটনীতিকদের। তার আগে চালানো হয় তদন্ত। ইসরাইলের দূতাবাস তখন আয়ারল্যান্ডের বলসব্রিজ এলাকার পেমব্রুক রোডে। এই একই সড়কে বসবাসকারী একজনের নামে একটি পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। যে বাড়িটির ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্টটি বানানো হয়েছিল সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি ফাঁকা। তখনই আইরিশ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা ধরে নেন এর আগেই এ বাড়িটি ব্যবহার করেছে মোসাদের কোনো এজেন্ট। তারা এটাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
এক পর্যায়ে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে ইসরাইল। তারা আয়ারল্যান্ডকে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আয়ারল্যান্ডের ভিন্ন মতাবলম্বীদের কাছে অস্ত্রের বিশাল এক চালান যাচ্ছে। এ খবর দিয়ে তারা আয়ারল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে থাকে। ফলে তারা ওই চালান আটকে দেয়। অনেককে গ্রেপ্তার করে। আর এর মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে থাকে।
১৯৭০ সালের কথা। ফিলিস্তিনে গঠন করা হয় ব্লাক সেপ্টেম্বর অর্গানাইজেশন (বিএসও)। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এই ব্লাক সেপ্টেম্বর অর্গানাইজেশনকে দেখে থাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। জর্ডানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ওয়াসফি আল-তাল’কে হত্যায় দায়ী করা হয় এই সংগঠনকে। এ ছাড়া সাত ইসরাইলি ও বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অপহরণ ও হত্যার জন্য দায়ী করা হয় ব্লাক সেপ্টেম্বরকে। ১৯৭২ সালে জার্মানির মিউনিখে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক চলাকালে তখনকার পশ্চিম জার্মানির এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা। এ ঘটনায় সবচেয়ে আলোচিত হয় ব্লাক সেপ্টেম্বর। এর ফলে ইউরোপীয় বেশির ভাগ দেশেই সন্ত্রাস বিরোধী স্থায়ী, পোশাদার ও সামরিক প্রশিক্ষিত বাহিনী গড়ে তোলা হয়। এমন বাহিনির মধ্যে অন্যতম জিএসজি ৯, জিআইজএন।
ইতালিতে হত্যা করা হয় ওয়ায়েল জাইটারকে। ধারণা করা হয়, তিনি ব্লাক সেপ্টেম্বরের একজন সদস্য।
ইসরাইলের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও শান্তি বিষয়ক কর্মী ছিলেন মরডেচাই ভানুনু। তিনি জন ক্রসম্যান নামেও পরিচিত। তিনি ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের বিরোধিতা করে ১৯৮৬ সালে বৃটিশ মিডিয়ার কাছে ইসরাইলের পারমাণবিক কর্মসূচির বিস্তারিত প্রকাশ করে দেন। এ বছরই তার পিছনে লাগে মোসাদ। তাদের ছদ্মবেশধারী একজন এজেন্টকে ব্যবহার করা হয়। হানি ট্রাপ হিসেবে ইতালিতে ফাঁদ পাতা হয়। তিনি সেই ফাঁদে পা দেন। ইতালি থেকেই তাকে অপহরণ করা হয়। ফিরিয়ে নেয়া হয় ইসরাইলে। এরপর তার বিচার হয়। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
এ পাসপোর্টগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। এভাবে আইরিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করার কারণে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় আয়ারল্যান্ড সরকার। তারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূততে তলব করে। বহিষ্কার করে ইসরাইলি কূটনীতিকদের। তার আগে চালানো হয় তদন্ত। ইসরাইলের দূতাবাস তখন আয়ারল্যান্ডের বলসব্রিজ এলাকার পেমব্রুক রোডে। এই একই সড়কে বসবাসকারী একজনের নামে একটি পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। যে বাড়িটির ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্টটি বানানো হয়েছিল সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি ফাঁকা। তখনই আইরিশ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তারা ধরে নেন এর আগেই এ বাড়িটি ব্যবহার করেছে মোসাদের কোনো এজেন্ট। তারা এটাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছিল।
এক পর্যায়ে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে ইসরাইল। তারা আয়ারল্যান্ডকে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আয়ারল্যান্ডের ভিন্ন মতাবলম্বীদের কাছে অস্ত্রের বিশাল এক চালান যাচ্ছে। এ খবর দিয়ে তারা আয়ারল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে থাকে। ফলে তারা ওই চালান আটকে দেয়। অনেককে গ্রেপ্তার করে। আর এর মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে থাকে।
১৯৭০ সালের কথা। ফিলিস্তিনে গঠন করা হয় ব্লাক সেপ্টেম্বর অর্গানাইজেশন (বিএসও)। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এই ব্লাক সেপ্টেম্বর অর্গানাইজেশনকে দেখে থাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। জর্ডানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ওয়াসফি আল-তাল’কে হত্যায় দায়ী করা হয় এই সংগঠনকে। এ ছাড়া সাত ইসরাইলি ও বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অপহরণ ও হত্যার জন্য দায়ী করা হয় ব্লাক সেপ্টেম্বরকে। ১৯৭২ সালে জার্মানির মিউনিখে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক চলাকালে তখনকার পশ্চিম জার্মানির এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা। এ ঘটনায় সবচেয়ে আলোচিত হয় ব্লাক সেপ্টেম্বর। এর ফলে ইউরোপীয় বেশির ভাগ দেশেই সন্ত্রাস বিরোধী স্থায়ী, পোশাদার ও সামরিক প্রশিক্ষিত বাহিনী গড়ে তোলা হয়। এমন বাহিনির মধ্যে অন্যতম জিএসজি ৯, জিআইজএন।
ইতালিতে হত্যা করা হয় ওয়ায়েল জাইটারকে। ধারণা করা হয়, তিনি ব্লাক সেপ্টেম্বরের একজন সদস্য।
ইসরাইলের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও শান্তি বিষয়ক কর্মী ছিলেন মরডেচাই ভানুনু। তিনি জন ক্রসম্যান নামেও পরিচিত। তিনি ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের বিরোধিতা করে ১৯৮৬ সালে বৃটিশ মিডিয়ার কাছে ইসরাইলের পারমাণবিক কর্মসূচির বিস্তারিত প্রকাশ করে দেন। এ বছরই তার পিছনে লাগে মোসাদ। তাদের ছদ্মবেশধারী একজন এজেন্টকে ব্যবহার করা হয়। হানি ট্রাপ হিসেবে ইতালিতে ফাঁদ পাতা হয়। তিনি সেই ফাঁদে পা দেন। ইতালি থেকেই তাকে অপহরণ করা হয়। ফিরিয়ে নেয়া হয় ইসরাইলে। এরপর তার বিচার হয়। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
No comments