ডেভিড পেট্রাউসের ‘দ্বিতীয় নারী’!
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধান ডেভিড পেট্রাউসের পদত্যাগের পেছনে দায়ী তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে নতুন তথ্য জানা গেছে। পেট্রাউসের সঙ্গে দ্বিতীয় কোনো নারীর যুক্ত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
জানা গেছে, দ্বিতীয় এই নারীর নাম জিল কেলি। তিনি পেট্রাউসের পরিবারের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং ফ্লোরিডার একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের সদস্য। পেট্রাউসের প্রেমিকা পলা ব্রডওয়েলের কাছ থেকে ই-মেইলে হুমকি পাওয়ায় কেলি এফবিআই-এর শরণাপন্ন হন। মূলত তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেন এবং পেট্রাউস ও ব্রডওয়েলের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে কেলি বলেন, “আমি ও আমার পরিবার জেনারেল পেট্রাউস ও তার পরিবারের পাঁচ বছরেরও বেশি বন্ধু।”
ব্রডওয়েল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি, এফবিআই ও সিআইএ-ও প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পেট্রাউসও শুক্রবার পদত্যাগ করার পর থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
এফবিআই জানিয়েছে, ব্রডওয়েলের মেইলে প্রচ্ছন্ন হুমকির কথা থাকলেও সেটি প্রেমজনিত ঈর্ষা ছাড়া কিছুই নয়।
অন্যদিকে, পেট্রাউসের সময়কার একজন সামরিক মুখপাত্র সূত্র জানিয়েছেন, ব্রডওয়েলের সঙ্গে পেট্রাউসের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের আগস্ট মাসে, পেট্রাউস গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর। কিন্তু চার মাস আগে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে তারা এ সম্পর্কের ইতি টানেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই সন্তানের মা ব্রডওয়েল কেলিকে বলেছিলেন, “আমি জানি তুমি কি করেছো”। পাশাপাশি তিনি ৬০ বছর বয়সী প্রাক্তন জেনারেলের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে আদেশ দেন কেলিকে।
এবিসি নিউজের সূত্রে জানা যায়, পেট্রাউস ও কেলির পরিবার ২০১০ সালে একসঙ্গে বড়দিন উদযাপন করেছিল। তবে এটা এখনও পরিস্কার নয় যে ঠিক কি কারণে ব্রডওয়েল পেট্রাউসের ব্যাপারে কেলিকে হুমকি দিয়েছিলন।
প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা ও পেট্রাউসের বিশ্বাসভাজন স্টিভ বয়লান জানান, পেট্রাউস তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ‘আমেরিকার মানুষদের কাছে স্বচ্ছ হতে চাচ্ছেন’।
বয়লান আরও বলেন, “তিনি ভুল করেছিলেন, এবং সেটা তিনি জানেন। এখন তিনি তার পরিবারের সাথে বোঝাপড়া করবেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাক ও আফগানিস্তানে পেট্রাউসের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, “তিনি আমাদের দেশকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী রেখেছেন”।
ব্রডওয়েল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি, এফবিআই ও সিআইএ-ও প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। পেট্রাউসও শুক্রবার পদত্যাগ করার পর থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
এফবিআই জানিয়েছে, ব্রডওয়েলের মেইলে প্রচ্ছন্ন হুমকির কথা থাকলেও সেটি প্রেমজনিত ঈর্ষা ছাড়া কিছুই নয়।
অন্যদিকে, পেট্রাউসের সময়কার একজন সামরিক মুখপাত্র সূত্র জানিয়েছেন, ব্রডওয়েলের সঙ্গে পেট্রাউসের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের আগস্ট মাসে, পেট্রাউস গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে যোগ দেওয়ার পর। কিন্তু চার মাস আগে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে তারা এ সম্পর্কের ইতি টানেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের সূত্র থেকে জানা গেছে, দুই সন্তানের মা ব্রডওয়েল কেলিকে বলেছিলেন, “আমি জানি তুমি কি করেছো”। পাশাপাশি তিনি ৬০ বছর বয়সী প্রাক্তন জেনারেলের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে আদেশ দেন কেলিকে।
এবিসি নিউজের সূত্রে জানা যায়, পেট্রাউস ও কেলির পরিবার ২০১০ সালে একসঙ্গে বড়দিন উদযাপন করেছিল। তবে এটা এখনও পরিস্কার নয় যে ঠিক কি কারণে ব্রডওয়েল পেট্রাউসের ব্যাপারে কেলিকে হুমকি দিয়েছিলন।
প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা ও পেট্রাউসের বিশ্বাসভাজন স্টিভ বয়লান জানান, পেট্রাউস তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ‘আমেরিকার মানুষদের কাছে স্বচ্ছ হতে চাচ্ছেন’।
বয়লান আরও বলেন, “তিনি ভুল করেছিলেন, এবং সেটা তিনি জানেন। এখন তিনি তার পরিবারের সাথে বোঝাপড়া করবেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাক ও আফগানিস্তানে পেট্রাউসের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, “তিনি আমাদের দেশকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালী রেখেছেন”।
No comments