লতিফের উপর মহিউদ্দিন সমর্থকদের হামলা
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) দরপত্র নিয়ে বিরোধের জের ধরে
আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ এমএ লতিফের ওপর হামলা চালিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি
করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর
সমর্থকরা।
এসময় তারা চেম্বার ভবনের সামনের বেশকিছু কাঁচের আয়নাও ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর করেন। এনসিটি
টেন্ডার নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার একই সময়ে চেম্বার ভবনের
সামনে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ঘোষণা দেয় উভয় পক্ষ। এসময়ই হামলার ঘটনা
ঘটে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যানারে চেম্বার ভবনের সামনে সমাবেশ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
এর প্রায় ৪৫ মিনিট পর পৌনে
১১টার দিকে সেখানে মিছিল নিয়ে আসেন মহিউদ্দিনের কয়েক`শ সমর্থক অনুসারী।
দু`গ্রুপ মুখোমুখি হওয়ার পরই মহিউদ্দিনের সমর্থকরা চেম্বার ভবনে ব্যাপক
ভাঙচুর ও এমএ লতিফের ওপর হামলা চালায়।
হামলা ও ধাওয়ার মুখে অধিকাংশ ব্যবসায়ী চেম্বার ভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন। দৌঁড়ে পালিয়ে যান লতিফের অনুসারীরা। হামলার পর পুলিশ জোরপূর্বক সাংসদ লতিফকে চেম্বার ভবনের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে দেন। এরপর মহিউদ্দিন সমর্থকদের সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যণ্ত তারা চেম্বার ভবনের ভেতরে কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।
সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে কটূক্তি করায় সকাল ১১টায় প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে ১৪ দল।
এর আগে সকাল ১০টায় চেম্বার ভবনের সামনে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করে চেম্বার ব্যবসায়ীরা। শুরুতে চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম সহ কয়েকজন চেম্বার নেতা উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী সমাবেশে সংহতি জানাতে আসেন স্থানীয় সাংসদ ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ। এরপর বন্দর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এমএ লতিফের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে। মিছিলে তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যানারে চেম্বার ভবনের সামনে সমাবেশ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
হামলা ও ধাওয়ার মুখে অধিকাংশ ব্যবসায়ী চেম্বার ভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন। দৌঁড়ে পালিয়ে যান লতিফের অনুসারীরা। হামলার পর পুলিশ জোরপূর্বক সাংসদ লতিফকে চেম্বার ভবনের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে দেন। এরপর মহিউদ্দিন সমর্থকদের সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যণ্ত তারা চেম্বার ভবনের ভেতরে কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।
সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে কটূক্তি করায় সকাল ১১টায় প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে ১৪ দল।
এর আগে সকাল ১০টায় চেম্বার ভবনের সামনে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করে চেম্বার ব্যবসায়ীরা। শুরুতে চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম সহ কয়েকজন চেম্বার নেতা উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী সমাবেশে সংহতি জানাতে আসেন স্থানীয় সাংসদ ও চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ। এরপর বন্দর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে এমএ লতিফের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে থাকে। মিছিলে তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়।
বেলা
পৌনে ১১টার দিকে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেনের
নেতৃত্বে মহিউদ্দিনের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতল এলাকা
থেকে চেম্বারের সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে চেম্বারের সামনে সমাবেশে উপস্থিতদের ‘ধর ধর’ করে ধাওয়া দেয়। এসময় লতিফের সমর্থনে মিছিল নিয়ে আসা লোকজন পালিয়ে যায়। আর চেম্বার নেতারা চেম্বার ভবনে অবস্থান নেন।
চেম্বার নেতারা উপরে উঠে অবস্থান নিলেও সমাবেশ স্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন এমএ লতিফ। মহিউদ্দিন সমর্থকরা তার উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চেম্বার ভবনে নিয়ে যায়।
তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে চেম্বারের সামনে সমাবেশে উপস্থিতদের ‘ধর ধর’ করে ধাওয়া দেয়। এসময় লতিফের সমর্থনে মিছিল নিয়ে আসা লোকজন পালিয়ে যায়। আর চেম্বার নেতারা চেম্বার ভবনে অবস্থান নেন।
চেম্বার নেতারা উপরে উঠে অবস্থান নিলেও সমাবেশ স্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন এমএ লতিফ। মহিউদ্দিন সমর্থকরা তার উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চেম্বার ভবনে নিয়ে যায়।
এদিকে সকাল পৌনে ১১ টা থেকে প্রায় ২০
মিনিট ধরে চলা এ অপ্রীতিকর ঘটনার সময় পুলিশকে কোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
নিতে দেখা যায়নি। এসময় নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের ব্যাংক, বীমা,
কর্পোরেট হাউজের কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বাণিজ্যিক
প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সহ স্থানীয় সরকারী কমার্স কলেজের ছাত্রছাত্রীদের
মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
হামলা ও ভাংচুরের সময় অনেকে ঘটনাস্থলের আশাপাশে ছুটাছুটি করতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১২টায় ১৪ দলের সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো এলাকা জুড়ে ছিল আতংক। তবে আগেই পুলিশ আগ্রাবাদ বাদামতলির মোড়ের দু`পাশে অবস্থান নিয়ে চেম্বার ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
হামলা ও ভাংচুরের সময় অনেকে ঘটনাস্থলের আশাপাশে ছুটাছুটি করতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১২টায় ১৪ দলের সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরো এলাকা জুড়ে ছিল আতংক। তবে আগেই পুলিশ আগ্রাবাদ বাদামতলির মোড়ের দু`পাশে অবস্থান নিয়ে চেম্বার ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার
হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, `১৪ দলের সমাবেশ করার কথা ছিল চেম্বার
অদূরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেণ্টারের সামনে। ১৪ দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে
যাবার সময় ব্যবসায়ী সমাবেশ থেকে কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে গিয়ে তাদের মিছিলে
ধাওয়া দেয়। এসময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।`
ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে ২০০ শতাধিক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে মোতয়েন ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চেম্বার ভবনের সামনে থাকবে।
এরপর চেম্বারের সামনের রাস্তায় ট্রাকের উপর মহিউদ্দিন সমর্থকরা সমাবেশ শুরু করে। ১৪ দলের ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, নগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, সাম্যবাদী দলের নেতা অমূল্য বড়ুয়া, আওয়ামীলীগ নেতা শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট এম এ নাসের, রোটারিয়ান মো.ইলিয়াছ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু, নগর যুবলীগের সভাপতি চন্দন ধর, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম আর আজিম প্রমুখ।
সমাবেশে ১৪ দলের নেতারা বলেন, `চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম চেম্বারকে জাতীয় পার্টির অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। চেম্বারের সঙ্গে মহিউদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ কিংবা ১৪ দলের কোন বিরোধ নেই। আমাদের নেতা মহিউদ্দিন আন্দোলন করছেন বন্দরের অনিয়ম নিয়ে। কিন্তু চেম্বারে বসে সভাপতি বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বিবৃতি দিচ্ছেন।`
সমাবেশ নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু সাংসদ এম এ লতিফকে সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
বেলা সাড়ে ১২টায় সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবারও চেম্বার ভবনের আশপাশে মিছিল করেন।
ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে ২০০ শতাধিক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে মোতয়েন ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চেম্বার ভবনের সামনে থাকবে।
এরপর চেম্বারের সামনের রাস্তায় ট্রাকের উপর মহিউদ্দিন সমর্থকরা সমাবেশ শুরু করে। ১৪ দলের ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, নগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, সাম্যবাদী দলের নেতা অমূল্য বড়ুয়া, আওয়ামীলীগ নেতা শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট এম এ নাসের, রোটারিয়ান মো.ইলিয়াছ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু, নগর যুবলীগের সভাপতি চন্দন ধর, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম আর আজিম প্রমুখ।
সমাবেশে ১৪ দলের নেতারা বলেন, `চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম চেম্বারকে জাতীয় পার্টির অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। চেম্বারের সঙ্গে মহিউদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ কিংবা ১৪ দলের কোন বিরোধ নেই। আমাদের নেতা মহিউদ্দিন আন্দোলন করছেন বন্দরের অনিয়ম নিয়ে। কিন্তু চেম্বারে বসে সভাপতি বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বিবৃতি দিচ্ছেন।`
সমাবেশ নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু সাংসদ এম এ লতিফকে সব ধরনের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
বেলা সাড়ে ১২টায় সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবারও চেম্বার ভবনের আশপাশে মিছিল করেন।
No comments