বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার- আশানুরূপ সুফল নেই এক বছরেও

ত বছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে ঘোষিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ইশতেহারের আশানুরূপ সুফল দেখা যায়নি। ইশতেহার বাস্তবায়নেও দেখা যায় ধীরগতি। যৌথ ইশতেহারের আশ্বাস বা প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে ধীরগতির ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি কয়েক মাস আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কিছু বিষয় বাস্তবায়ন দ্রুত হচ্ছে।
আবার কিছু বিষয় বাস্তবায়নে সময় লাগছে। অন্যদিকে যৌথ ইশতেহার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা বুঝতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সংযম প্রদর্শন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর বিএসএফের গুলিবর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে ওই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘিত হয়েছে বারবার। অন্যদিকে ভারতের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সড়ক নির্মাণ করে সেই পথ দিয়ে বিনা শুল্কে ভারতের ওভার ডাইমেনশনাল কার্গো (ওডিসি) চলাচলের চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হয়েছে তা নিয়েও বিতর্ক আছে। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের সামনে বিপুল অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনার কথা বলা হলেও এখনো ঠিক হয়নি মাশুলের হার। এ ছাড়া ভারতের দেওয়া ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা শর্ত।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইশতেহারের স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য আছে। হয়তো ততটা অগ্রগতি হয়নি। আবার কিছুই যে হয়নি তাও নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারত সময় নিচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি হতে পারে। এ ছাড়া সীমান্ত সমস্যার সমাধানের কথাও শোনা যাবে।’
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা : সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংযম প্রদর্শনের কথা ছিল যৌথ ইশতেহারে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে তা মানা হয়নি বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ রয়েছে। গত মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মানবাধিকার পরিস্থিতি গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের চেয়েও ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, গত বছর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৭৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ২৪ জনকে নির্যাতন এবং ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া গত বছর ৪৩ জন বাংলাদেশিকে বিএসএফ অপহরণ করেছে বলে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে অধিকার। গত সপ্তাহে সীমান্তে ফেলানী হত্যাকাণ্ডও ভয়াবহ পরিস্থিতির নিদর্শন।
১৯৭৪ সালের চুক্তির আলোকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত ১০-১১ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে যৌথ সীমান্ত ওয়ার্কিং গ্র“পের (জেবিডাব্লিউজি) বৈঠক হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।
ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ও ভারতীয় ঋণ : যৌথ ইশতেহারে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের কথা বলা হলেও এ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনেকেরই ধারণা নেই। কিভাবে কোন রুটে ট্রানজিট দিলে দেশ লাভবান হবে তারও নেই কোনো সমীক্ষা। এ অবস্থায় ট্রানজিটের অবকাঠামো উন্নয়ন সামনে রেখে ভারতীয় ১০০ কোটি ডলার ঋণে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ঝুলে পড়েছে। প্রকল্প অনুমোদনের আগেই দরপত্র আহ্বানের নীতি অনুসরণ করলেও ঋণদাতাদের বিভিন্ন শর্ত এবং ঋণের অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার অভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ট্রানজিটের জন্য অবকাঠামো তৈরি না করেই আশুগঞ্জ দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য চুক্তিও সই হয়েছে।
ভারতীয় ঋণের আওতায় রেল ও সড়ক খাতেই এ পর্যন্ত ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও বাস্তবায়নের গতি খুবই ধীর। জানা গেছে, এসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও পণ্য ভারত থেকেই কিনতে হবে। এতে করে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরাই।
গত বছরের ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরকালে ভারত বাংলাদেশকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাবদ ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্র“তি দেয়। এরপর এ বিষয়ে চুক্তি সই হয় সাত মাস দেরিতে গত বছরের ৭ আগস্ট। কিন্তু অর্থ ছাড়ের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত।
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিতে বছরখানেক লেগেছে। এতে অর্থায়ন করবে ভারত। যৌথ ইশতেহার অনুযায়ী, সাবরুম স্থলবন্দর চালুর ব্যাপারে উভয় দেশ একমত হয়। গত ২ থেকে ৪ জানুয়ারি ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সম্ভাব্য এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল।
এদিকে ত্রিপুরার পালাটানায় ৭২৬ দশমিক ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কম্পানি লিমিটেড (ওটিপিসি)। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পূর্ব দিকে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য ভারত বিভিন্ন ধরনের ভারী যন্ত্রপাতি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এনে সড়কপথে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় পরিবহন করবে। এ জন্য গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং ভারতের ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। কিন্তু সড়কপথে অবকাঠামোগত বাধা দূর না হওয়াসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা সৃষ্টি না হওয়ায় ভারী পণ্য পরিবহন শুরু করতে ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ট্রানজিটের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও সংস্থা জড়িত। এসব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের জন্য একটি স্থায়ী সচিবালয় থাকা উচিত। ট্রানজিটের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার আদলে দুটি করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কমিটি গঠন করার কথা ছিল আগেই। তবে ট্রানজিটের অবকাঠামোর প্রকল্প নিয়ে ধারণা না থাকায় যৌথ ইশতেহার ঘোষণার প্রায় ১১ মাস পর গত ২ ডিসেম্বর ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট বিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এম রহমত উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ট্রানজিটের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য এখন বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য রেলওয়ে বা সড়কের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে অনেক স্থানে। যৌথ ইশতেহারের বছর পূর্তির এই সময়ে বলা যায়, ভারতীয় এই ঋণের আওতায় নেওয়া প্রকল্পগুলো অবকাঠামো নির্মাণে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু ট্রানজিটের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের একটা অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রথম এ ধরনের কাজ করতে গিয়েই সমস্যাটা হচ্ছে। তবে তা কেটে যাবে অচিরেই।’
কূটনৈতিক ও কনসুলার সেবা : যৌথ ইশতেহারের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদে কূটনৈতিক ও কনসুলার সেবা জোরদার করার কথা বলা হয়েছিল। ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভিসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আবেদনকারীরা বলছেন, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া জটিল। ভিসা প্রক্রিয়া যতটা সহজ হবে বলে আশা করা হয়েছিল, বাস্তবে ততটা সফল হয়নি। অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া সহজ। ভিসা ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে বাংলাদেশ ভারতে আরো উপহাইকমিশন খোলার সম্ভাব্যতা যাচাই করছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
সন্ত্রাসবাদ রোধ : যৌথ ইশতেহারের ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে প্রতিশ্র“তি ছিল, এক দেশ তার ভূখণ্ড ব্যবহার করে অপর দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে দেবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে তার প্রতিশ্র“তি রক্ষা করেছে। বর্তমান সরকার এ দেশের মাটিতে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেয়নি। এমনকি ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারাও আদালতে বলেছেন, বাংলাদেশে আটক হওয়ার পর তাদের ভারতের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
দহগ্রাম আঙ্গরপোতায় বিদ্যুৎ : নানা জটিলতা শেষে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনের মাধ্যমে ছিটমহল দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় বিদ্যুৎ পৌঁছে এবং আনন্দে ভাসে ছিটমহলবাসী। অন্যদিকে ভারতীয়দের ব্যবহারের জন্য তিনবিঘা করিডরের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণের বিষয়টি ভারতে প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।
তিস্তার পানি বণ্টন : গত সোমবার ঢাকায় দুদেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনে ১৫ বছরের জন্য অন্তর্বর্তী চুক্তির ব্যাপারে মতপার্থক্য নিরসনের কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় এই চুক্তি হবে। তবে এ চুক্তির শর্ত সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ ব্যাপারে অবগত না থাকার কথা জানিয়েছে।
টিপাইমুখ বাঁধ : টিপাইমুখ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু না করার। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ভারতের আর কোনো উদ্যোগের কথা শোনা যায়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গের সেচ প্রকল্পের জন্য আটটি নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনার খবর শোনা যাচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জš§বার্ষিকী : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জš§বার্ষিকী যৌথভাবে উদ্যাপনে দুই দেশেই জোর প্রস্তুতি চলছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। আগামী ৭ মে নয়াদিল্লিতে শুরু হবে রবীন্দ্রজš§বার্ষিকী পালনের আনুষ্ঠানিকতা। ঢাকায় অনুষ্ঠান শুরু হবে পরদিন ৮ মে। এ ছাড়া ৯ মে কলকাতায় অনুষ্ঠান শুরু হতে পারে। রবীন্দ্রজš§বার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী উৎসবে মাতবে দিল্লি থেকে ঢাকা।
মনমোহনের ঢাকা সফর : যৌথ ইশতেহার অনুযায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ গত সপ্তাহে এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে মনমোহন সিং কবে আসছেন তা উল্লেখ করেননি কৃষ্ণ। ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পরই মনমোহনের ঢাকা সফরের সম্ভাবনা বেশি। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে প্রস্তাবিত ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট হবে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে। তা ছাড়া পানি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ভারতের রাজ্য সরকারগুলোর। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সম্মতি নিয়েই আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
==============================
ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাজনীতি  মাস্টারদা সূর্যসেন ও যুব বিদ্রোহ সাতাত্তর  রসভা নির্বাচন ২০১১: একটি পর্যালোচনা  ড. ইউনূস অর্থ আত্মসাৎ করেননি  প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ৩৯ বছর  স্বাধীনতাযুদ্ধের 'বিস্মৃত' কূটনৈতিক মুক্তিযোদ্ধারা  আতঙ্কে শেয়ারবাজার বন্ধঃ বিক্ষোভ  আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে  মানবকল্যাণ আমাদের মন্ত্র  ট্রানজিট নিয়ে সবে গবেষণা শুরু  ভারতের একতরফা সেচ প্রকল্পঃ বাংলাদেশের আপত্তিতে বিশ্বব্যাংকের সাড়া  আমলাদের যাচ্ছেতাই বিদেশ সফর  সরকারের ব্যর্থতায় হতাশাঃ বিরোধী দলের ব্যর্থতায় বিকল্পের অনুপস্থিতি  ক্ষমতা ও গণতন্ত্র  পানি সংকট পানি বাণিজ্য  ২০১০ সালের অর্থনীতি কেমন গেল  গণতান্ত্রিক বিকাশের পথে বাধা অনেক  কপাটে তালা দিয়ে কেন এই মৃতু্যর আয়োজন  বিজয়ের অর্থনীতি ও সম্ভাবনা  মুক্তিযুদ্ধের বিজয়লক্ষ্মীর মুখোমুখি  একেই কি বলে আমলাতন্ত্র?  আত্মসমর্পণের সেই বিকেল  আমরা তাঁদের ভুলতে পারি না  সংবিধানের অনেক বক্তব্য পারস্পরিক সংঘাতমূলক  পরাশক্তির বিরুদ্ধে এক ‘ভবঘুরের’ স্পর্ধা  আবু সাঈদ চৌধুরীর ভাষণ দেওয়া হলো না  শুভ নববর্ষ ২০১১- দিনে দিনে বর্ষ হলো গত  এরশাদের বিচারে দুই দলেরই আগ্রহ কম  কিশোরদের সাদামাটা ফল  জিপিএ-৫ পেয়েছে আট হাজার ৫২ জন  এরশাদের বিচার হওয়া উচিত  ছোটদের বড় সাফল্য  প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাঃ পাস ৯২%, প্রথম বিভাগ বেশি  বাংলাদেশের বন্ধুঃ জুলিয়ান ফ্রান্সিস  নিষ্ফল উদ্ধার অভিযানঃ দখলচক্রে ২৭ খাল  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভ টিজিং : জরুরি ভিত্তিতে যা করণীয়  প্রতিশ্রুতির দিন  শোকের মাস, বিজয়ের মাস  চীনা প্রধানমন্ত্রীর পাক-ভারত সফর


দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মেহেদী হাসান ও পার্থ সারথী দাস


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.