কে এই শহীদুল আলম
বাংলাদেশের
খ্যাতনামা চিত্রগ্রাহক শহিদুল আলমের গ্রেপ্তার বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভের
ঝড় তুলেছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সাংবাদিকদের
বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে), পেন
ইন্টারন্যাশনাল, দক্ষিণ এশিয়া মিডিয়া ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্ক (সামডেন) সহ
গার্ডিয়ান ও ওয়াশিংটন পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যম নিন্দা জানিয়েছে। ডেইলি
স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম তার সাম্প্রতিক এক লেখায় শহিদুল আলমের পরিচিতি
তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, শহিদুল আলম বিশ্বের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয়
চিত্রগ্রাহকদের একজন। বাংলাদেশে এই পেশায় তার মতো বৈশ্বিক মর্যাদা খুব কম
লোকই পেয়েছেন।
বিশ্বের সব বড় বড় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার ছবি ছাপা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে নানা অ্যাসাইনমেন্টের কাজে তাকে নিয়মিত নিয়োগ দিয়ে থাকে খ্যাতনামা সব প্রকাশনা। লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান তার গ্রেপ্তারের সংবাদে লিখেছে, নিজের চারদশকব্যপী ক্যারিয়ারে শহিদুলের ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকসহ প্রত্যেক খ্যাতনামা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।
মাহফুজ আনাম লিখেছেন, দেশের ফটোসাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব আনয়নে আর যে কারও চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছেন শহিদুল আলম। তার হাতে প্রশিক্ষিত হয়েছেন শ’ শ’ ফটোসাংবাদিক। নিজের ব্যক্তিগত উদাহরণ ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে এই পেশায় আকৃষ্ট করেছেন। আজ যে বহু বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক বৈশ্বিক প্রকাশনায় নিজের ছবি ছাপানো কিংবা আন্তর্জাতিক পদক লাভের বাসনা লালন করেন, তার কারণ সম্ভবত কেবল তিনিই।
শহিদুল পদকজয়ী ফটোএজেন্সি দৃক প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘পাঠশালা’ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রখ্যাত ফটোগ্রাফি স্কুল। এই স্কুলে পড়তে বিদেশ থেকে শিক্ষার্থী ও অতিথি শিক্ষকরা আসেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট ও সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠা করেছেন। দৃক ও পাঠশালা - দুই প্রতিষ্ঠানই তিনি গড়েছেন নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে।
তার সবচেয়ে সফল সৃষ্টি হলো ছবি মেলা। এই আন্তর্জাতিক চিত্রপ্রদর্শনীতে বিশ্বের সব জায়গা থেকে কাজ জমা পড়ে। অংশ নিতে ঢাকায় আসেন বিশ্বের সেরা সব ফটোগ্রাফাররা। ২০০০ সালে শুরু হওয়া এই চিত্রপ্রদর্শনীর প্রথম থিম ছিল ‘যেই যুদ্ধ আমরা ভুলে গেছি।’ এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে সবচেয়ে সফল চিত্রপ্রদর্শনীর একটি।
১৯৮৩ সালে তিনি হার্ভে হ্যারিস ট্রফি জেতেন। ১৯৯৩ সালে তথ্যচিত্রের জন্য জিতে নেন মাদার জোন্স পদক। ‘৯৮-এ তিনি আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক ফাউন্ডেশন ও হাওয়ার্ড চ্যাপনিক অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন। ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক ও ২০১৭ সালে চীনের ডালি ইন্টারন্যাশনাল চিত্রপ্রদর্শনীতে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। এই বছর তিনি পান লুসি ফাউন্ডেশন হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড।
চিত্রগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি তিনি লেখক, কিউরেটর ও অ্যাক্টিভিস্ট। ২০০৭ সালে তিনি কাশ্মীরের ভূমিকম্প নিয়ে ‘নেচার’স ফিউরি’ ও দক্ষিণ এশিয়ায় এইচআইভি/এইডস নিয়ে ‘পোর্ট্রেইট অব কমিটমেন্ট’ শীর্ষক দুটি বই লিখেন। তার লেখা বই ‘মাই জার্নি অ্যাজ অ্যা উইটনেস’ সম্পর্কে লাইফ ম্যাগাজিনের সাবেক পিকচার এডিটর জন মরিস লিখেছেন, কোনো চিত্রগ্রাহকের লেখা সর্বকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই এটি।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্গানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে পিএইচডি আছে তার। যুক্তরাজ্যের সান্ডারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউসিএলএ) তিনি ভিজিটিং প্রফেসর। এছাড়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি লেকচারার ছিলেন।
বিশ্বের সব বড় বড় পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার ছবি ছাপা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে নানা অ্যাসাইনমেন্টের কাজে তাকে নিয়মিত নিয়োগ দিয়ে থাকে খ্যাতনামা সব প্রকাশনা। লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান তার গ্রেপ্তারের সংবাদে লিখেছে, নিজের চারদশকব্যপী ক্যারিয়ারে শহিদুলের ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমস, টাইম ম্যাগাজিন ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকসহ প্রত্যেক খ্যাতনামা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।
মাহফুজ আনাম লিখেছেন, দেশের ফটোসাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব আনয়নে আর যে কারও চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছেন শহিদুল আলম। তার হাতে প্রশিক্ষিত হয়েছেন শ’ শ’ ফটোসাংবাদিক। নিজের ব্যক্তিগত উদাহরণ ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে তিনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে এই পেশায় আকৃষ্ট করেছেন। আজ যে বহু বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক বৈশ্বিক প্রকাশনায় নিজের ছবি ছাপানো কিংবা আন্তর্জাতিক পদক লাভের বাসনা লালন করেন, তার কারণ সম্ভবত কেবল তিনিই।
শহিদুল পদকজয়ী ফটোএজেন্সি দৃক প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘পাঠশালা’ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রখ্যাত ফটোগ্রাফি স্কুল। এই স্কুলে পড়তে বিদেশ থেকে শিক্ষার্থী ও অতিথি শিক্ষকরা আসেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট ও সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠা করেছেন। দৃক ও পাঠশালা - দুই প্রতিষ্ঠানই তিনি গড়েছেন নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে।
তার সবচেয়ে সফল সৃষ্টি হলো ছবি মেলা। এই আন্তর্জাতিক চিত্রপ্রদর্শনীতে বিশ্বের সব জায়গা থেকে কাজ জমা পড়ে। অংশ নিতে ঢাকায় আসেন বিশ্বের সেরা সব ফটোগ্রাফাররা। ২০০০ সালে শুরু হওয়া এই চিত্রপ্রদর্শনীর প্রথম থিম ছিল ‘যেই যুদ্ধ আমরা ভুলে গেছি।’ এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে সবচেয়ে সফল চিত্রপ্রদর্শনীর একটি।
১৯৮৩ সালে তিনি হার্ভে হ্যারিস ট্রফি জেতেন। ১৯৯৩ সালে তথ্যচিত্রের জন্য জিতে নেন মাদার জোন্স পদক। ‘৯৮-এ তিনি আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক ফাউন্ডেশন ও হাওয়ার্ড চ্যাপনিক অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেন। ২০১৪ সালে শিল্পকলা পদক ও ২০১৭ সালে চীনের ডালি ইন্টারন্যাশনাল চিত্রপ্রদর্শনীতে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। এই বছর তিনি পান লুসি ফাউন্ডেশন হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড।
চিত্রগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি তিনি লেখক, কিউরেটর ও অ্যাক্টিভিস্ট। ২০০৭ সালে তিনি কাশ্মীরের ভূমিকম্প নিয়ে ‘নেচার’স ফিউরি’ ও দক্ষিণ এশিয়ায় এইচআইভি/এইডস নিয়ে ‘পোর্ট্রেইট অব কমিটমেন্ট’ শীর্ষক দুটি বই লিখেন। তার লেখা বই ‘মাই জার্নি অ্যাজ অ্যা উইটনেস’ সম্পর্কে লাইফ ম্যাগাজিনের সাবেক পিকচার এডিটর জন মরিস লিখেছেন, কোনো চিত্রগ্রাহকের লেখা সর্বকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই এটি।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্গানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে পিএইচডি আছে তার। যুক্তরাজ্যের সান্ডারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউসিএলএ) তিনি ভিজিটিং প্রফেসর। এছাড়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি লেকচারার ছিলেন।
No comments