সৌদি সমর্থিত ‘সালমান সেন্টার’ বন্ধ করে দিলো মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায়
অবস্থিত সৌদি আরবভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 'দ্য কিং
সালমান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস' (কেএসসিআইপি) নামের ওই
প্রতিষ্ঠানটিকে সৌদি বাদশার সন্ত্রাসবিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৃষ্ঠপোষকতা
দেয় রিয়াদ। তবে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ সাবু
জানিয়েছেন, কুয়ালালামপুর অবস্থিত এ সেন্টারটি দ্রুত গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।
কুয়ালালামপুরে একটি অস্থায়ী ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল কেএসসিআইপি। শিগগিরই এটি দ্রুত পুত্রজায়ার স্থায়ী ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মাহাথির সরকার। ঠিক কী কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।
২০১৭ সালে বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। এটি তৈরিতে তখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মালয়েশিয়ার তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাম উদ্দীন হুসেইন। তবে গত নির্বাচনে নাজিব সরকারের পতনের পর সৌদি আরবের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্কে কিছু দৃশ্যমান পরবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়।
গত জুনে সৌদি আরবে মোতায়েন মালয়েশীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনার কথা জানান মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ সাবু। ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসন বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন তিনি।
মোহাম্মদ সাবু জানান, সৌদি আরবে মালয়েশিয়ার যেসব সেনা রয়েছে তারা কোনও দেশের ওপর হামলায় অংশ নেয় না।
মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে সৌদি আরবের দীর্ঘ প্রভাব রয়েছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ২০১৩ সালের নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫০ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহামেদ আপানদি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এই অর্থ ছিল মূলত সৌদি অনুদান।
মূলত মালয়েশিয়ায় মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ঠেকাতেই নাজিব রাজাককে এই অর্থ দিয়েছিল সৌদি আরব। তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ অর্থ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন করেছিলেন।
মালয়েশিয়ার বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পিএএস)। এ দলটির উদ্যোক্তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত। ফলে যে কোনওভাবে পিএএস-এর প্রভাব কমাতে নাজিব রাজাকের দ্বারস্থ হয় সৌদি সরকার। তবে মালয়েশিয়ার গত নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দল পরাজিত হয়। আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের প্রধানমন্ত্রী হন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসেরও কম সময়ের মাথায় সৌদি আরব থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। এর দুই মাসের মাথায় এবার সৌদি সমর্থিত ‘সালমান সেন্টার’ বন্ধ করে দিলো মাহাথির প্রশাসন।
মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে এমন এক সময়ে সালমান সেন্টার বন্ধের ঘোষণা এলো যখন উত্তর আমেরিকার প্রভাবশালী দেশ কানাডার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে। সম্প্রতি সৌদিতে আটক অ্যাক্টিভিস্টদের ‘অবিলম্বে মুক্তি’ দাবির জেরে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় রিয়াদ। এমনকি টরন্টোগামী সরাসরি ফ্লাইটও বাতিলের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। সূত্র: আল জাজিরা।
কুয়ালালামপুরে একটি অস্থায়ী ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল কেএসসিআইপি। শিগগিরই এটি দ্রুত পুত্রজায়ার স্থায়ী ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই এটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মাহাথির সরকার। ঠিক কী কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।
২০১৭ সালে বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। এটি তৈরিতে তখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মালয়েশিয়ার তৎকালীন নাজিব রাজাক সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাম উদ্দীন হুসেইন। তবে গত নির্বাচনে নাজিব সরকারের পতনের পর সৌদি আরবের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্কে কিছু দৃশ্যমান পরবর্তন লক্ষ্যণীয় হয়।
গত জুনে সৌদি আরবে মোতায়েন মালয়েশীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনার কথা জানান মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ সাবু। ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসন বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন তিনি।
মোহাম্মদ সাবু জানান, সৌদি আরবে মালয়েশিয়ার যেসব সেনা রয়েছে তারা কোনও দেশের ওপর হামলায় অংশ নেয় না।
মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে সৌদি আরবের দীর্ঘ প্রভাব রয়েছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ২০১৩ সালের নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছিল সৌদি আরব। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৫৫ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫০ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহামেদ আপানদি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এই অর্থ ছিল মূলত সৌদি অনুদান।
মূলত মালয়েশিয়ায় মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ঠেকাতেই নাজিব রাজাককে এই অর্থ দিয়েছিল সৌদি আরব। তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ অর্থ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন করেছিলেন।
মালয়েশিয়ার বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পিএএস)। এ দলটির উদ্যোক্তারা মুসলিম ব্রাদারহুডের দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত। ফলে যে কোনওভাবে পিএএস-এর প্রভাব কমাতে নাজিব রাজাকের দ্বারস্থ হয় সৌদি সরকার। তবে মালয়েশিয়ার গত নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দল পরাজিত হয়। আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের প্রধানমন্ত্রী হন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসেরও কম সময়ের মাথায় সৌদি আরব থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। এর দুই মাসের মাথায় এবার সৌদি সমর্থিত ‘সালমান সেন্টার’ বন্ধ করে দিলো মাহাথির প্রশাসন।
মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে এমন এক সময়ে সালমান সেন্টার বন্ধের ঘোষণা এলো যখন উত্তর আমেরিকার প্রভাবশালী দেশ কানাডার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে। সম্প্রতি সৌদিতে আটক অ্যাক্টিভিস্টদের ‘অবিলম্বে মুক্তি’ দাবির জেরে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় রিয়াদ। এমনকি টরন্টোগামী সরাসরি ফ্লাইটও বাতিলের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। সূত্র: আল জাজিরা।
No comments