ফিলিপাইনে ‘অরাজক অবস্থা’ ঘোষণা
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের নিজ শহরে একটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৬৭ জন আহত হয়েছেন। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী দাভাওয়ের একটি জনাকীর্ণ মার্কেটে শুক্রবার রাত ১১টায় এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ক্ষুদ্র জঙ্গিগোষ্ঠী আবু সায়াফ এ হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন ফিলিপাইনের সরকারি কর্মকর্তারা। খবর এএফপির। বিস্ফোরণের পর ফিলিপাইনে অরাজক অবস্থা ঘোষণা করেন দুতের্তে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমাকে দেশে ‘অরাজক অবস্থা’ ঘোষণা করতে হচ্ছে, এটি মার্শাল ল’ নয়। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এটি ততক্ষণ পর্যন্ত মার্শাল ল’ নয়, যতক্ষণ না এই পরিস্থিতি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য হুমকি আকারে দেখা দেয়। দুতের্তে আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে নগরীগুলোতে সৈন্য মোতায়েন করা যাবে এবং তারা চেকপয়েন্টে পুলিশকে সহায়তা করতে পারবে।
এদিকে, স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে একটি মর্টার চালিত বিস্ফোরকের (আইইডি) অংশ পেয়েছেন। রাজধানী ম্যানিলায় এ ভয়াবহ হামলার পর পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। মাক্রো পোলো হোটেলের বাইরে এ হামলাটি চালানো হয়। ওই এলাকায় প্রেসিডেন্ট দুতের্তে প্রায়ই যাতায়াত করেন। তিনি বিস্ফোরণের সময় দাভাওয়ে থাকলেও আহত হননি। এ ঘটনার পেছনে হোতা হিসেবে আবু সায়াফকে দোষারোপ করলেও এই হামলার পেছনে মাদক চক্রের হাতও থাকতে পারে বলে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আবু সায়েফ গ্র“পের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের কারণে ওই অঞ্চলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা বলবৎ রয়েছে। মে মাসে দুতের্তে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই দেশটির সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা।
এদিকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে ব্রুনাইয়ে তার প্রথম বিদেশ সফর বাতিল করেছেন। তার নিজ শহরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনার পর শনিবার তিনি এ সফর বাতিল করেন। প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ সচিব মার্টিন আন্দানার এএফপিকে বলেন, রোববার প্রেসিডেন্টের ব্র“নাই সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে। মাত্র দু’মাস আগে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করা দুতের্তের প্রতিবেশী দেশগুলোতে উদ্বোধনী সফরের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে বন্দর সেরি বেগাওয়ান সফরের কর্মসূচি ছিল। আন্দার জানান, একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের জন্য মঙ্গলবার দুতের্তের লাওসে এবং সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে, স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা খুবই আশংকাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে একটি মর্টার চালিত বিস্ফোরকের (আইইডি) অংশ পেয়েছেন। রাজধানী ম্যানিলায় এ ভয়াবহ হামলার পর পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। মাক্রো পোলো হোটেলের বাইরে এ হামলাটি চালানো হয়। ওই এলাকায় প্রেসিডেন্ট দুতের্তে প্রায়ই যাতায়াত করেন। তিনি বিস্ফোরণের সময় দাভাওয়ে থাকলেও আহত হননি। এ ঘটনার পেছনে হোতা হিসেবে আবু সায়াফকে দোষারোপ করলেও এই হামলার পেছনে মাদক চক্রের হাতও থাকতে পারে বলে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আবু সায়েফ গ্র“পের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের কারণে ওই অঞ্চলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা বলবৎ রয়েছে। মে মাসে দুতের্তে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই দেশটির সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা।
এদিকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে ব্রুনাইয়ে তার প্রথম বিদেশ সফর বাতিল করেছেন। তার নিজ শহরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনার পর শনিবার তিনি এ সফর বাতিল করেন। প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ সচিব মার্টিন আন্দানার এএফপিকে বলেন, রোববার প্রেসিডেন্টের ব্র“নাই সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে। মাত্র দু’মাস আগে দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করা দুতের্তের প্রতিবেশী দেশগুলোতে উদ্বোধনী সফরের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে বন্দর সেরি বেগাওয়ান সফরের কর্মসূচি ছিল। আন্দার জানান, একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের জন্য মঙ্গলবার দুতের্তের লাওসে এবং সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল।
No comments