মইনের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তি হয়নি সাড়ে ৬ বছরেও by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
ধীর
গতিতেই চলছে ১/১১-এর কুশীলবদের বিরুদ্ধে করা মামলা। সাড়ে ৬ বছরের বেশি
সময়েও নিষ্পত্তি হয়নি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদের
বিরুদ্ধে করা মামলাটি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মামলাটি
করেছিলেন। এই মামলার বয়স হয়েছে ৬ বছর ৭ মাস। কিন্তু এখনও মামলার কোন
কূল-কিনারা হয়নি। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি নিয়ে
মিথ্যাচারের অভিযোগে মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১২ই জুলাই এ
মামলাটি করেন টুকু। ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয় এ মামলায়। টুকুর
পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত
কমপক্ষে ৪০ বার সময় নিয়েছেন মইন ইউ আহমেদ। মামলাটি প্রসঙ্গে বিএনপি
চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু মানবজমিনকে বলেন, মামলটি এখন
নিম্ন আদালতে আছে। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট
থেকে আমার পক্ষে আদেশ হয়। ফলে মামলাটি চলবে। চলতি মাসের ১০ই মার্চ মামলটির
শুনানির দিন ধার্য আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাদীর পক্ষের আইনজীবী
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এই প্রসঙ্গে মানবজমিনকে বলেন, মইন ইউ আহমেদ
কালক্ষেপণ করে কমপক্ষে ৪০ বার সময় নিয়েছেন। উনি বিদেশে থাকায় যাতে তার
বাড়িটি বিক্রি না করতে পারে আদালত তা এটাচমেন্ট (সংযুক্তি) করেছেন।
এদিকে, ২০১৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দায়ের করা মানহানি মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মইন ইউ আহমেদের দায়ের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১২ই জুলাই এ মামলাটি করা হয়। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকু ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করেন। এতে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২৭শে মার্চ প্যারেড গ্রাউন্ডের এক সমাবেশে জেনারেল মইন বলেছিলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার হয়েছে। কিন্তু ওই আমলে বিদ্যুৎ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হয়েছে। তাই ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কথা বলা কাল্পনিক, অপপ্রচার ও মানহানিকর। মামলাটি বাতিলের জন্য ২০০৯ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর আবেদন করেন মইন ইউ আহমেদ। বিচারিক আদালত তার এ আবেদন নাকচ করে। নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করলে তা খারিজ হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করেন মইন ইউ আহমেদ। ২০১০ সালের ৪ঠা এপ্রিল আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। ২০১৪ সালে আপিলের অনুমতি না দিয়ে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এদিকে, ২০১৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দায়ের করা মানহানি মামলায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মইন ইউ আহমেদের দায়ের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগে মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১২ই জুলাই এ মামলাটি করা হয়। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকু ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করেন। এতে বলা হয়, ২০০৭ সালের ২৭শে মার্চ প্যারেড গ্রাউন্ডের এক সমাবেশে জেনারেল মইন বলেছিলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার হয়েছে। কিন্তু ওই আমলে বিদ্যুৎ খাতে মোট বরাদ্দ ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বেতন-ভাতা বাবদ খরচ হয়েছে। তাই ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের কথা বলা কাল্পনিক, অপপ্রচার ও মানহানিকর। মামলাটি বাতিলের জন্য ২০০৯ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর আবেদন করেন মইন ইউ আহমেদ। বিচারিক আদালত তার এ আবেদন নাকচ করে। নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করলে তা খারিজ হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করেন মইন ইউ আহমেদ। ২০১০ সালের ৪ঠা এপ্রিল আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। ২০১৪ সালে আপিলের অনুমতি না দিয়ে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
No comments