বাজারে সিন্ডিকেটের ধারণা নিয়ে প্রশ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ‘সিন্ডিকেট’ বা মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী চক্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে—এমন ধারণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ জন্য প্রায়ই সিন্ডিকেট বা মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী চক্রের প্রভাবকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এর কোনো শক্ত প্রমাণ বা তথ্য মিলে না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, এটা সত্যি যে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজার ক্রমাগতভাবে অধিকতর সংগঠিত হয়েছে। এখানে ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর বড় ব্যবসায়ীদের প্রভাবও বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আগামী দিনগুলোয় এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে ফটকা কারবারিদের প্রভাব বাড়ার আশঙ্কাও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এরা প্রভাব বিস্তার করলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এই বাস্তবতায় বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী চক্রের উত্থান ও ফটকা কারবারিদের প্রভাব নিয়ে একটি সর্বাত্মক গবেষণা পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে এ ধরনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে কী কী কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার নামে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করতে গেলে তা জটিলতা বাড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ এমনই হওয়া প্রয়োজন যা জোগান-প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে না।
প্রতিবেদনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সাময়িকভাবে কিছু নগদ সহায়তা বা সহনীয় মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাল, জ্বালানি তেল, চিনির দাম বাড়তে থাকায় তা আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের ভোক্তামূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সম্পদ বাজার (শেয়ারবাজার ও জমি-বাড়ির বাজার) ইতিমধ্যে যথেষ্ট স্ফীত হয়ে উঠেছে। একদিকে প্রবাসী-আয়ের উচ্চ প্রবাহ, অন্যদিকে কথিত কালো টাকা এই সম্পদ বাজারের স্ফীতি ঘটাতে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশি-বিদেশি বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ও সরকারের রাজস্ব প্রণোদনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য ব্যয়। এগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে, যা পর্যায়ক্রমে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াবে।
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারের ঋণ গ্রহণ হ্রাস পাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষি খাতসহ সামগ্রিকভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ গ্রহণের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি প্রশমন করার জন্য মুদ্রানীতির হাতিয়ারগুলোর ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সম্পদের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই খাতে ঋণপ্রবাহে রাশ টেনে ধরার কথা।
এত কিছুর পরও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের শেষে এসে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।
অন্যদিকে মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছর সাড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে তাকে রক্ষণশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নতুন কিছু বিনিয়োগসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হচ্ছে, যার পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা জোরদার হওয়া।
পাশাপাশি রপ্তানির গতি প্রত্যাশার চেয়ে শ্লথ হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা টেকসই হলে তা বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ জন্য প্রায়ই সিন্ডিকেট বা মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী চক্রের প্রভাবকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এর কোনো শক্ত প্রমাণ বা তথ্য মিলে না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, এটা সত্যি যে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজার ক্রমাগতভাবে অধিকতর সংগঠিত হয়েছে। এখানে ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর বড় ব্যবসায়ীদের প্রভাবও বাড়ছে।
প্রতিবেদনে আগামী দিনগুলোয় এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে ফটকা কারবারিদের প্রভাব বাড়ার আশঙ্কাও করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এরা প্রভাব বিস্তার করলে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
এই বাস্তবতায় বাজারে মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী চক্রের উত্থান ও ফটকা কারবারিদের প্রভাব নিয়ে একটি সর্বাত্মক গবেষণা পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে এ ধরনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে কী কী কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার নামে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ করতে গেলে তা জটিলতা বাড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ এমনই হওয়া প্রয়োজন যা জোগান-প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে না।
প্রতিবেদনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সাময়িকভাবে কিছু নগদ সহায়তা বা সহনীয় মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চাল, জ্বালানি তেল, চিনির দাম বাড়তে থাকায় তা আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের ভোক্তামূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সম্পদ বাজার (শেয়ারবাজার ও জমি-বাড়ির বাজার) ইতিমধ্যে যথেষ্ট স্ফীত হয়ে উঠেছে। একদিকে প্রবাসী-আয়ের উচ্চ প্রবাহ, অন্যদিকে কথিত কালো টাকা এই সম্পদ বাজারের স্ফীতি ঘটাতে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশি-বিদেশি বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি ও সরকারের রাজস্ব প্রণোদনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য ব্যয়। এগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে, যা পর্যায়ক্রমে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াবে।
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারের ঋণ গ্রহণ হ্রাস পাওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষি খাতসহ সামগ্রিকভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ গ্রহণের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি প্রশমন করার জন্য মুদ্রানীতির হাতিয়ারগুলোর ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সম্পদের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই খাতে ঋণপ্রবাহে রাশ টেনে ধরার কথা।
এত কিছুর পরও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের শেষে এসে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।
অন্যদিকে মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছর সাড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে তাকে রক্ষণশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নতুন কিছু বিনিয়োগসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হচ্ছে, যার পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা জোরদার হওয়া।
পাশাপাশি রপ্তানির গতি প্রত্যাশার চেয়ে শ্লথ হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা টেকসই হলে তা বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
No comments