এইচআইভি থেকে ‘মুক্ত’ দ্বিতীয় মার্কিন শিশু
জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রাণঘাতী এইডস রোগের জন্য দায়ী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। প্রায় এক বছর পর তাকে ওই ভাইরাসের কবল থেকে ‘মুক্ত’ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিৎসক। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গত বুধবার বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা খুব তাড়াতাড়ি শুরু করলে সাফল্য পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত দুটি শিশুকে এইচআইভিমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের একটি শিশুর চিকিৎসা বন্ধ করার ২১ মাস পরও তার শরীরে নতুন করে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়েনি। এইচআইভি প্রতিরোধে দুটি শিশুর ওপর পরিচালিত সর্বশেষ গবেষণার ফলাফল বোস্টনে এক সম্মেলনে (সিআরওআই) উপস্থাপন করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি শিশুর মায়ের শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি ছিল।
জন্মের পর তার শরীরে এইচআইভির উপস্থিতি শনাক্ত করার আগেই প্রয়োগ করা হয় ভাইরাসনাশক উচ্চমাত্রার ওষুধ। সংশ্লিষ্ট গবেষক ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিড গেফেন স্কুল অব মেডিসিনের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ইভন ব্রিসন বলেন, জন্মের চার ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটির চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। ব্যাপারটা ছিল মিসিসিপির সেই শিশুটির চিকিৎসার চেয়েও দ্রুততর। লস অ্যাঞ্জেলেসের শিশুটির শরীরে এইচআইভির উপস্থিতি ছিল বলে পরে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা শুরুর ছয় দিন পর ভাইরাসটি আর শনাক্ত করা যায়নি। ব্রিসন বলেন, শিশুটির শরীর থেকে এত দ্রুত ভাইরাসটি নির্মূল করার বিষয়টি সত্যিই অনেক বড় সাফল্য। বর্তমানে ১১ মাস বয়সী শিশুটি এখনো একেবারে ‘ঝুঁকিমুক্ত’ নয়। শিশুটির চিকিৎসা এখনো চলছে। বয়স দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে। এইডস রোগের চিকিৎসা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। বিশ্বজুড়ে এই মারণব্যাধিতে প্রায় সাত কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি মানুষ এইডস রোগে মারা গেছে। এএফপি।
No comments