স্বপ্নভঙ্গের পর বোধোদয়
জিতেও পরশু ড্রেসিংরুমে আনন্দের ঢেউ ছিল না। হবেই বা কেন! এশিয়া থেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে যে ওঠা হলো না বাংলাদেশের। ঢোকা হলো না এশিয়ার সেরা বিশে। লেবাননকে ২-০ গোলে হারানোর পরও তাই আকাশে ওড়েননি ফুটবলাররা। ম্যাচের পরই কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি এমিলি-মিঠুনদের বলেছেন, পরের রাউন্ডে উঠলেই আনন্দ করা যেত। বাস্তবের মাটিতে পা রাখা কোচের উপলব্ধি, আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে। গতকাল ছুটি নিয়ে মেসিডোনিয়ায় যাওয়ার আগেও সেটাই বললেন, ‘আমার এখন একটাই চাওয়া, প্রতি মাসে যেন অন্তত দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারি।’
বাংলাদেশের পরের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আগামী ডিসেম্বরে—সাফ ফুটবল। কোচ ছুটি নিয়েছেন এক মাসের। তবে যাওয়ার আগে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে দিয়ে গেছেন কয়েকটি প্রস্তাব।
এশিয়ার সেরা বিশে ঢোকার এমন সোনালি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর চারদিকে শুধুই আফসোস। এখান থেকে শিক্ষা নিয়েই সামনের দিকে এগোতে চান কর্মকর্তারা। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় বললেন, ‘আমাদের বসে থাকার সময় নেই। সামনেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলা, সাফ ফুটবল ডিসেম্বরে। এর জন্য কয়েক দিন পরই প্রস্তুতি শুরু করব। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে যদি ভালো কিছু খেলোয়াড় পাই, তাহলে তাঁদের সাফ ফুটবলে খেলানোর চেষ্টা করব। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার চিন্তাভাবনাও করছি।’
কর্মকর্তাদের মতো আক্ষেপ খেলোয়াড়দেরও। জয়ের অন্যতম নায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘খারাপ তো লাগছেই। কিন্তু কী আর করা! আবার চার বছর পর বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে হবে।’ জাতীয় দলের প্রস্তুতিটা যেন অনেক দিনের হয় সেটাই প্রত্যাশা, ‘এবার যেন অনেক দিনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ভালো প্রস্তুতি নিয়েই এমন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া উচিত।’ লেবানন জয়ের আরেক নায়ক মিঠুন চৌধুরী অ্যাওয়ে ম্যাচের দুর্বলতাই বড় করে দেখছেন, ‘বাইরে খেলতে গেলে অনেক সমস্যা হয় আমাদের। এসব ম্যাচ খেলার আগে তাই বিদেশে গিয়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা উচিত।’
তরুণ গোলরক্ষক মামুন খান পরশু ম্যাচ শেষ করেই গেছেন গ্রামের বাড়ি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগ দিয়েছেন ভাইয়ের বিয়েতে। কোচের দেওয়া চ্যালেঞ্জ উতরে গেছেন, এখন তাঁর চোখ সাফ ফুটবলে, ‘কোচ প্র্যাকটিসেই বলতেন যে তোমাকে খেলাতে চাই। আমি আমার সাধ্যমতো কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করেছি। এখন আমার চিন্তাভাবনা সাফ ফুটবল নিয়ে।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হক মনে করেন, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের কাউন্সেলিং দরকার। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কেমন টেম্পারমেন্ট, কী মানসিকতা নিয়ে খেলা উচিত, সেটা জানা নেই। মূল কথা, আমরা যেন হারার আগে হেরে না বসি। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা।’
বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী কালকের খেলা দেখে খুশি, ‘আমাদের সমস্যা হলো, আমরা অনেক সময় বাজে গোল খেয়ে বসি। কালকের খেলায় সেটা ছিল না। দল ছিল গোছানো। সবার মধ্যে ভালো বোঝাপড়া ছিল। একসঙ্গে ১৫-২০টা পাসও খেলেছে ওরা। অনেক ছোট ছোট পাসে খেলেছে। এটাই ধরে রাখতে হবে। আর একটা ব্যাপার, বেশি করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বিষয়টি ভাবতে হবে আমাদের।’
প্রতিবারই কোনো টুর্নামেন্ট শেষে এমন বোধোদয় হয় বাফুফের। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। দেখা যাক, এবার কী হয়!
বাংলাদেশের পরের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আগামী ডিসেম্বরে—সাফ ফুটবল। কোচ ছুটি নিয়েছেন এক মাসের। তবে যাওয়ার আগে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে দিয়ে গেছেন কয়েকটি প্রস্তাব।
এশিয়ার সেরা বিশে ঢোকার এমন সোনালি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর চারদিকে শুধুই আফসোস। এখান থেকে শিক্ষা নিয়েই সামনের দিকে এগোতে চান কর্মকর্তারা। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায় বললেন, ‘আমাদের বসে থাকার সময় নেই। সামনেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলা, সাফ ফুটবল ডিসেম্বরে। এর জন্য কয়েক দিন পরই প্রস্তুতি শুরু করব। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে যদি ভালো কিছু খেলোয়াড় পাই, তাহলে তাঁদের সাফ ফুটবলে খেলানোর চেষ্টা করব। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার চিন্তাভাবনাও করছি।’
কর্মকর্তাদের মতো আক্ষেপ খেলোয়াড়দেরও। জয়ের অন্যতম নায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘খারাপ তো লাগছেই। কিন্তু কী আর করা! আবার চার বছর পর বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে হবে।’ জাতীয় দলের প্রস্তুতিটা যেন অনেক দিনের হয় সেটাই প্রত্যাশা, ‘এবার যেন অনেক দিনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ভালো প্রস্তুতি নিয়েই এমন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া উচিত।’ লেবানন জয়ের আরেক নায়ক মিঠুন চৌধুরী অ্যাওয়ে ম্যাচের দুর্বলতাই বড় করে দেখছেন, ‘বাইরে খেলতে গেলে অনেক সমস্যা হয় আমাদের। এসব ম্যাচ খেলার আগে তাই বিদেশে গিয়ে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা উচিত।’
তরুণ গোলরক্ষক মামুন খান পরশু ম্যাচ শেষ করেই গেছেন গ্রামের বাড়ি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগ দিয়েছেন ভাইয়ের বিয়েতে। কোচের দেওয়া চ্যালেঞ্জ উতরে গেছেন, এখন তাঁর চোখ সাফ ফুটবলে, ‘কোচ প্র্যাকটিসেই বলতেন যে তোমাকে খেলাতে চাই। আমি আমার সাধ্যমতো কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করেছি। এখন আমার চিন্তাভাবনা সাফ ফুটবল নিয়ে।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হক মনে করেন, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের কাউন্সেলিং দরকার। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কেমন টেম্পারমেন্ট, কী মানসিকতা নিয়ে খেলা উচিত, সেটা জানা নেই। মূল কথা, আমরা যেন হারার আগে হেরে না বসি। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা।’
বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী কালকের খেলা দেখে খুশি, ‘আমাদের সমস্যা হলো, আমরা অনেক সময় বাজে গোল খেয়ে বসি। কালকের খেলায় সেটা ছিল না। দল ছিল গোছানো। সবার মধ্যে ভালো বোঝাপড়া ছিল। একসঙ্গে ১৫-২০টা পাসও খেলেছে ওরা। অনেক ছোট ছোট পাসে খেলেছে। এটাই ধরে রাখতে হবে। আর একটা ব্যাপার, বেশি করে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার বিষয়টি ভাবতে হবে আমাদের।’
প্রতিবারই কোনো টুর্নামেন্ট শেষে এমন বোধোদয় হয় বাফুফের। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। দেখা যাক, এবার কী হয়!
No comments