আর্চারিতে দুই ভাইয়ের লড়াই
বাংলাদেশ আর্চারি দলের কর্মকর্তা রাজীব উদ্দিন আহমেদ দুঃখ করে বলছিলেন, ‘আমাদের মুখ থেকে হাসি উধাও হয়ে গেছে। এমনই পোড়া কপাল, আমাদেরই দুজন কাল (আজ) মুখোমুখি হবে নকআউট পর্বে। এর চেয়েও ভয়ানক খবর, শেষ ষোলতে প্রতিপক্ষ ভারতের বিশ্বমানের আর্চার। কাজেই শেষ আটে যাওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেল।’
বাংলাদেশ আর্চারি দলের কাছে দিল্লি সফরটা বিষাদময় হয়ে উঠেছে প্রথম দিনেই। যদিও ১৯তম কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষ ব্যক্তিগত রিকোর্ব বো ইভেন্টের বাছাইপর্বে ৬৫১ স্কোর করে ৩৮ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের ইমদাদুল হক (মিলন), ৬৪১ করে ১৬তম শেখ সজীব, ৬২৭ স্কোর নিয়ে ২৩তম জিয়াউল হক। কিন্তু এক রাউন্ড পরই যে ভারতের আর্চারের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন, সেটা কাল বাছাইয়ে ৬৭৯ স্কোর করে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের রাহুল ব্যানার্জি।
বাংলাদেশের ইমদাদুল ও জিয়াউল আপন ভাই, থাকেন ঢাকার মিরপুরে। ইমদাদুল বিশ্ব যুব আর্চারিতে এখন সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংধারী। বড় ভাই জিয়াউলকে হারিয়ে তিনি যে শেষ আটে যাবেন, তাতে সংশয় খুব কমই। সামনে যে ভারতের ‘বিপৎসংকেত’, তা দেখে মুষড়ে পড়া আর্চারি দল অবশ্য নিজেদের পারফরম্যান্সে খুশিই। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের দলগত অবস্থান যে সেরা দলগুলোর কাতারে—ষষ্ঠ।
ব্যক্তিগতভাবে ইমদাদুলও ভালো অবস্থানে আছেন ধরে নিচ্ছে আর্চারি দল। ইমদাদুলও আশা ছাড়ছেন না। কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য।
আসিফ-বিন্দ্রার লড়াই: আজ ড. কারনি সিং শ্যুটিং রেঞ্জে দেখা হচ্ছে আসিফ হোসেন খান আর অভিনব বিন্দ্রার। ২০০২ ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের বিন্দ্রাকে হারিয়ে আসিফ সোনা জিতেছিলেন। সেই বিন্দ্রা গত বেইজিং অলিম্পিকে জিতেছেন সোনা। তাই আজ ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশ দলীয় সোনা জেতার স্বপ্ন দেখতে পারছে না। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইমরান চৌধুরী সেটাই বললেন, ‘সোনা জেতা খুবই কঠিন। রুপা জিতলেও সেটা বড় অর্জন হবে আমাদের জন্য।’
জার্মানিতে গত বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ে বিন্দ্রা ৬০০-তে ৫৯৩ স্কোর করেছিলেন, একই স্কোর করে শ্যুট-অফে তাঁকে পেছনে ফেলেন বাংলাদেশেরই তরুণ আবদুল্লাহ হেল বাকি, আজ যিনি আসিফের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন বাংলাদেশ দলের হয়ে। বিন্দ্রাকে তাই বড় বাধা মানছে না বাংলাদেশ, বড় বাধার নাম তাঁরই সতীর্থ গগন নারাং, যিনি দুবার ৬০০-তে ৬০০ স্কোর করেছেন এর আগে! আসিফের সেরা হলো ৫৯৬। বাকির আরও কম।
ওদিকে আজই মেয়েদের থ্রি পজিশন শ্যুটিংয়ে শারমিন শিল্পাকে সঙ্গী করে লড়াইয়ে নামছেন বহু লড়াইয়ের যোদ্ধা সাবরিনা সুলতানা। তবে এই ইভেন্টে পদক জেতা বেশ কঠিন বাংলাদেশের জন্য। যেমন বক্সিংয়ের শুরুর দিনে পদক জেতা কঠিন বাংলাদেশের আবদুর রহিমের পক্ষেও।
বাংলাদেশ আর্চারি দলের কাছে দিল্লি সফরটা বিষাদময় হয়ে উঠেছে প্রথম দিনেই। যদিও ১৯তম কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষ ব্যক্তিগত রিকোর্ব বো ইভেন্টের বাছাইপর্বে ৬৫১ স্কোর করে ৩৮ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশের ইমদাদুল হক (মিলন), ৬৪১ করে ১৬তম শেখ সজীব, ৬২৭ স্কোর নিয়ে ২৩তম জিয়াউল হক। কিন্তু এক রাউন্ড পরই যে ভারতের আর্চারের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন, সেটা কাল বাছাইয়ে ৬৭৯ স্কোর করে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের রাহুল ব্যানার্জি।
বাংলাদেশের ইমদাদুল ও জিয়াউল আপন ভাই, থাকেন ঢাকার মিরপুরে। ইমদাদুল বিশ্ব যুব আর্চারিতে এখন সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংধারী। বড় ভাই জিয়াউলকে হারিয়ে তিনি যে শেষ আটে যাবেন, তাতে সংশয় খুব কমই। সামনে যে ভারতের ‘বিপৎসংকেত’, তা দেখে মুষড়ে পড়া আর্চারি দল অবশ্য নিজেদের পারফরম্যান্সে খুশিই। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের দলগত অবস্থান যে সেরা দলগুলোর কাতারে—ষষ্ঠ।
ব্যক্তিগতভাবে ইমদাদুলও ভালো অবস্থানে আছেন ধরে নিচ্ছে আর্চারি দল। ইমদাদুলও আশা ছাড়ছেন না। কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য।
আসিফ-বিন্দ্রার লড়াই: আজ ড. কারনি সিং শ্যুটিং রেঞ্জে দেখা হচ্ছে আসিফ হোসেন খান আর অভিনব বিন্দ্রার। ২০০২ ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের বিন্দ্রাকে হারিয়ে আসিফ সোনা জিতেছিলেন। সেই বিন্দ্রা গত বেইজিং অলিম্পিকে জিতেছেন সোনা। তাই আজ ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশ দলীয় সোনা জেতার স্বপ্ন দেখতে পারছে না। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইমরান চৌধুরী সেটাই বললেন, ‘সোনা জেতা খুবই কঠিন। রুপা জিতলেও সেটা বড় অর্জন হবে আমাদের জন্য।’
জার্মানিতে গত বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ে বিন্দ্রা ৬০০-তে ৫৯৩ স্কোর করেছিলেন, একই স্কোর করে শ্যুট-অফে তাঁকে পেছনে ফেলেন বাংলাদেশেরই তরুণ আবদুল্লাহ হেল বাকি, আজ যিনি আসিফের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন বাংলাদেশ দলের হয়ে। বিন্দ্রাকে তাই বড় বাধা মানছে না বাংলাদেশ, বড় বাধার নাম তাঁরই সতীর্থ গগন নারাং, যিনি দুবার ৬০০-তে ৬০০ স্কোর করেছেন এর আগে! আসিফের সেরা হলো ৫৯৬। বাকির আরও কম।
ওদিকে আজই মেয়েদের থ্রি পজিশন শ্যুটিংয়ে শারমিন শিল্পাকে সঙ্গী করে লড়াইয়ে নামছেন বহু লড়াইয়ের যোদ্ধা সাবরিনা সুলতানা। তবে এই ইভেন্টে পদক জেতা বেশ কঠিন বাংলাদেশের জন্য। যেমন বক্সিংয়ের শুরুর দিনে পদক জেতা কঠিন বাংলাদেশের আবদুর রহিমের পক্ষেও।
No comments