সাইমন্ডসকে এখনো পোড়ায় সিডনি
বর্ণবাদী মন্তব্যের মতো গুরুতর অভিযোগ, অথচ হরভজন সিং পার পেয়ে গেলেন কোনো শাস্তি ছাড়াই! ২০০৮ সালের সেই বহুল আলোচিত সিডনি টেস্ট-পরবর্তী ঘটনগুলো এখনো মানতে কষ্ট হয় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় বিস্মৃত হতে যাওয়া অলরাউন্ডারের দাবি, শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল হরভজনের।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর ‘ওপেনিং আপ’ শোতে সাইমন্ডস খোলামেলা অনেক কথা বলেছেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের কাছে। হরভজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনে সাইমন্ডসকে বলেছিলেন ‘বানর’। বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য তিন ম্যাচ বহিষ্কারও করা হয়েছিল ভারতীয় অফ স্পিনারকে। কিন্তু ভারত দল ও ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) শক্ত অবস্থান পুরো ঘটনার মোড় পাল্টে যায়। হরভজন শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেন। হরভজনের শাস্তি বাতিল না হলে দলকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল বিসিসিআই। যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় হরভজনের ওপর থেকে অভিযোগ তুলে নেন আপিল আবেদনের বিচারক জন হ্যানসেন।
সাইমন্ডের দাবি, বিসিসিআইয়ের ভয়েই হরভজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ‘যদি সত্য, সততা ও সাধারণ বিবেচনা-বোধ কাজে লাগানো হতো, তাহলে অবশ্যই ওই ক্রিকেটারকে (হরভজন) শাস্তি দেওয়া হতো। যদি শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য সেটা দারুণ একটা দৃষ্টান্ত হতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমার ধারণা, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিসিসিআইকে ভয় পেয়েছিল। যে ব্যাপারটা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে, সেটা হলো মিথ্যার পসরা। বলা হচ্ছিল, এমন কোনো ঘটনাই নাকি ঘটেনি, আসলে কিন্তু ঘটেছিল। এরপর আরও মিথ্যা বলা হলো। আস্তে আস্তে পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক রূপ নিল। অধিনায়ক রিকি পন্টিংসহ পুরো দলই বোকা হয়ে গিয়েছিল। কোর্ট রুমে পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটা প্রহসনের মতো। আমাদের প্রতিনিধিরা যেভাবে লড়াই করেছে, সেটা যথেষ্ট ছিল না। আমার ধারণা, গুরুত্বপূর্ণ দু-তিনটি ব্যাপার তারা তুলে ধরতে পারেনি, যার খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের।’
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর ‘ওপেনিং আপ’ শোতে সাইমন্ডস খোলামেলা অনেক কথা বলেছেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের কাছে। হরভজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনে সাইমন্ডসকে বলেছিলেন ‘বানর’। বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য তিন ম্যাচ বহিষ্কারও করা হয়েছিল ভারতীয় অফ স্পিনারকে। কিন্তু ভারত দল ও ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) শক্ত অবস্থান পুরো ঘটনার মোড় পাল্টে যায়। হরভজন শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেন। হরভজনের শাস্তি বাতিল না হলে দলকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিল বিসিসিআই। যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় হরভজনের ওপর থেকে অভিযোগ তুলে নেন আপিল আবেদনের বিচারক জন হ্যানসেন।
সাইমন্ডের দাবি, বিসিসিআইয়ের ভয়েই হরভজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ‘যদি সত্য, সততা ও সাধারণ বিবেচনা-বোধ কাজে লাগানো হতো, তাহলে অবশ্যই ওই ক্রিকেটারকে (হরভজন) শাস্তি দেওয়া হতো। যদি শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য সেটা দারুণ একটা দৃষ্টান্ত হতো। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমার ধারণা, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিসিসিআইকে ভয় পেয়েছিল। যে ব্যাপারটা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে, সেটা হলো মিথ্যার পসরা। বলা হচ্ছিল, এমন কোনো ঘটনাই নাকি ঘটেনি, আসলে কিন্তু ঘটেছিল। এরপর আরও মিথ্যা বলা হলো। আস্তে আস্তে পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক রূপ নিল। অধিনায়ক রিকি পন্টিংসহ পুরো দলই বোকা হয়ে গিয়েছিল। কোর্ট রুমে পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটা প্রহসনের মতো। আমাদের প্রতিনিধিরা যেভাবে লড়াই করেছে, সেটা যথেষ্ট ছিল না। আমার ধারণা, গুরুত্বপূর্ণ দু-তিনটি ব্যাপার তারা তুলে ধরতে পারেনি, যার খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের।’
No comments