কিয়োটো চুক্তির ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাতিসংঘের সম্মতি by ইফতেখার মাহমুদ
বাংলাদেশসহ ক্ষুদ্র দ্বীপ ও স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলোর দাবি ও প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কিয়োটো চুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক ফর কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসি) এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ডি ভোয়ের বলেছেন, চলতি কোপ-১৫ সম্মেলনেই বিশ্বের সব দেশের সম্মতি আদায়ের জন্য সংশোধিত কিয়োটো চুক্তি উপস্থাপন করা হবে। সবার সম্মতি পাওয়া গেলে ২০১২ সালের পর এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৩ সালে নতুন চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হবে।
গতকাল কিয়োটো প্রটোকল চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘এডহক ওয়াকিং গ্রুপ অন লং টার্ম কো-অপারেটিভ অ্যাকশন আন্ডার দ্য কনভেনশন’-এর আলোচনায় সব দেশের সম্মতি নিয়ে নতুন চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
খসড়ায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেড় বা দুই ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। আবহাওয়া মণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস ঘনীভবনের পরিমাণ ২০৫০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য কার্বন নিঃসরণের হার ৫০ বা ৮৫ বা ৯৫ শতাংশ হ্রাস হবে, তা খসড়া চূড়ান্ত করার আগে নির্দিষ্ট করা হবে।
সম্মেলনের শুরুতে শিল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বালি অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কোপ-১৫ সম্মেলনের চুক্তি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, উন্নত দেশগুলো চলতি শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা চার শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে। কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন, ভারত ও ব্রাজিলের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যতটুকু কমাতে পারবে, ততটুকুই মেনে নিতে হবে।
প্রথমে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার কিয়োটো প্রটোকল চুক্তিতে কিছু সংশোধন করে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য দাবি জানানো হয়। ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবির প্রতি সমর্থন জানানো হয়। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোট এলডিসি থেকেও তা সমর্থন করা হয়।
গতকাল ইউএনএফসিসির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ডি ভোয়ের সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন, কোপ-১৫ সম্মেলনেই কিয়োটো প্রটোকল চুক্তির ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় রেখে নতুন চুক্তি করা হবে।
কিয়োটো প্রটোকল চুক্তির শর্তের মধ্যে ছিল, শিল্পোন্নত এনেক্স-১ দেশগুলো ২০১২ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ১৯৯০ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কমাবে। ১৯৯৭ সালে এই চুক্তি হওয়ার সময় বিশ্বের ৯০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। বর্তমানে তারা ৪০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে। বাকিগুলো করে উন্নয়নশীল দেশগুলো।
বর্তমানে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে চীন, ভারত ও ব্রাজিল মিলে বিশ্বের ৩০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে। ফলে নতুন চুক্তিতে এদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে হলে শিল্পোন্নয়নশীল এই দেশগুলোকে ধনী দেশের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। নইলে চুক্তি অনুযায়ী ধনী দেশগুলো কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমালেও মোট কার্বন নিঃসরণ তেমন একটা কমবে না। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গবেষক স্যার নিকোলাস স্টার্নের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে এককভাবে চীনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বিশ্বের মোট নিঃসরণের ৫০ শতাংশ হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ থেকে নতুন চুক্তিতে এনেক্স-১ দেশের তালিকায় চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল চীনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে, তারা কার্বনের পরিমাণ কমাতে রাজি রয়েছে, যদি তাদের কম কার্বন নিঃসরণ করে এমন শিল্পপ্রযুক্তি কেনার জন্য অর্থ দেওয়া হয়। ভারত ও ব্রাজিলের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে।
গতকাল কিয়োটো প্রটোকল চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘এডহক ওয়াকিং গ্রুপ অন লং টার্ম কো-অপারেটিভ অ্যাকশন আন্ডার দ্য কনভেনশন’-এর আলোচনায় সব দেশের সম্মতি নিয়ে নতুন চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
খসড়ায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেড় বা দুই ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। আবহাওয়া মণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস ঘনীভবনের পরিমাণ ২০৫০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য কার্বন নিঃসরণের হার ৫০ বা ৮৫ বা ৯৫ শতাংশ হ্রাস হবে, তা খসড়া চূড়ান্ত করার আগে নির্দিষ্ট করা হবে।
সম্মেলনের শুরুতে শিল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বালি অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী কোপ-১৫ সম্মেলনের চুক্তি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, উন্নত দেশগুলো চলতি শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা চার শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে। কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন, ভারত ও ব্রাজিলের ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যতটুকু কমাতে পারবে, ততটুকুই মেনে নিতে হবে।
প্রথমে দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে উন্নত দেশগুলোর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার কিয়োটো প্রটোকল চুক্তিতে কিছু সংশোধন করে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য দাবি জানানো হয়। ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবির প্রতি সমর্থন জানানো হয়। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোট এলডিসি থেকেও তা সমর্থন করা হয়।
গতকাল ইউএনএফসিসির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ডি ভোয়ের সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেন, কোপ-১৫ সম্মেলনেই কিয়োটো প্রটোকল চুক্তির ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় রেখে নতুন চুক্তি করা হবে।
কিয়োটো প্রটোকল চুক্তির শর্তের মধ্যে ছিল, শিল্পোন্নত এনেক্স-১ দেশগুলো ২০১২ সালে তাদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ১৯৯০ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কমাবে। ১৯৯৭ সালে এই চুক্তি হওয়ার সময় বিশ্বের ৯০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। বর্তমানে তারা ৪০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে। বাকিগুলো করে উন্নয়নশীল দেশগুলো।
বর্তমানে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে চীন, ভারত ও ব্রাজিল মিলে বিশ্বের ৩০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে। ফলে নতুন চুক্তিতে এদের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে হলে শিল্পোন্নয়নশীল এই দেশগুলোকে ধনী দেশের তালিকায় নিয়ে আসতে হবে। নইলে চুক্তি অনুযায়ী ধনী দেশগুলো কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমালেও মোট কার্বন নিঃসরণ তেমন একটা কমবে না। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গবেষক স্যার নিকোলাস স্টার্নের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে এককভাবে চীনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ বিশ্বের মোট নিঃসরণের ৫০ শতাংশ হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ থেকে নতুন চুক্তিতে এনেক্স-১ দেশের তালিকায় চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল চীনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে, তারা কার্বনের পরিমাণ কমাতে রাজি রয়েছে, যদি তাদের কম কার্বন নিঃসরণ করে এমন শিল্পপ্রযুক্তি কেনার জন্য অর্থ দেওয়া হয়। ভারত ও ব্রাজিলের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে।
No comments