বুশকে হুমকির দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় ছাত্রের কারাদণ্ড
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে হুমকি দেওয়ার দায়ে ভারতীয় ছাত্র বিক্রম বুদ্ধিকে (৩৮) চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। পারডু ইউনিভার্সিটির পিএইচডির ছাত্র বিক্রম প্রায় তিন বছর ধরে মার্কিন কারাগারে রয়েছেন।
ইরাকে যুদ্ধ না থামালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলা চালানোর আহ্বান এবং তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বুশ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ও তাঁদের স্ত্রীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিক্রমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক চিঠিতে তিনি এ হুমকি দিয়েছিলেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিক্রম বুদ্ধি বলেন, ‘আদালত সুষ্ঠু বিচারে ব্যর্থ হয়েছেন। মার্কিন সরকার আমাকে যেভাবে চিত্রিত করছে, আমি সে ধরনের মানুষ নই। প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব মতামত থাকার অধিকার রয়েছে।’
বিক্রম আরও জানান, রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। আপিল করার জন্য তাঁর হাতে ১০ দিন সময় রয়েছে। বিক্রম বুদ্ধির বাবা সুব্বা রাও জানান, তিনি আদালতের রায়ে বিস্মিত নন। শুরু থেকেই বিচারক বুদ্ধির বিরুদ্ধে ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের আদালতে এক চরম নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। আদালতে বিক্রম বলেন, তিনি তাঁর আইনজীবী আর্লিংটন ফলেকে বাদ দিতে চান। মামলার কৌশল নিয়ে আর্লিংটন তাঁর সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করেননি।
এর আগে প্রথম আইনজীবীকেও বাদ দিয়েছিলেন বিক্রম বুদ্ধি। গত জুলাই মাসে মামলাটির দায়িত্ব নেন আর্লিংটন। গত বৃহস্পতিবার তাঁকেও বাদ দিয়ে বিক্রম বলেন, নিজের মামলায় তিনি প্রতিনিধিত্ব করতে চান। তখন বিচারক বলেন, চাইলে বিক্রম নিজেই প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। এর পর সাত ঘণ্টা ধরে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা করেন বিক্রম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত বিক্রমকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ড দেন।
গণিত ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবেক এই ছাত্র কারাগারের গ্রন্থাগারে আইনবিষয়ক বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
ইরাকে যুদ্ধ না থামালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলা চালানোর আহ্বান এবং তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বুশ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ও তাঁদের স্ত্রীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিক্রমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক চিঠিতে তিনি এ হুমকি দিয়েছিলেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিক্রম বুদ্ধি বলেন, ‘আদালত সুষ্ঠু বিচারে ব্যর্থ হয়েছেন। মার্কিন সরকার আমাকে যেভাবে চিত্রিত করছে, আমি সে ধরনের মানুষ নই। প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব মতামত থাকার অধিকার রয়েছে।’
বিক্রম আরও জানান, রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। আপিল করার জন্য তাঁর হাতে ১০ দিন সময় রয়েছে। বিক্রম বুদ্ধির বাবা সুব্বা রাও জানান, তিনি আদালতের রায়ে বিস্মিত নন। শুরু থেকেই বিচারক বুদ্ধির বিরুদ্ধে ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের আদালতে এক চরম নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। আদালতে বিক্রম বলেন, তিনি তাঁর আইনজীবী আর্লিংটন ফলেকে বাদ দিতে চান। মামলার কৌশল নিয়ে আর্লিংটন তাঁর সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করেননি।
এর আগে প্রথম আইনজীবীকেও বাদ দিয়েছিলেন বিক্রম বুদ্ধি। গত জুলাই মাসে মামলাটির দায়িত্ব নেন আর্লিংটন। গত বৃহস্পতিবার তাঁকেও বাদ দিয়ে বিক্রম বলেন, নিজের মামলায় তিনি প্রতিনিধিত্ব করতে চান। তখন বিচারক বলেন, চাইলে বিক্রম নিজেই প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। এর পর সাত ঘণ্টা ধরে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের প্রাণান্ত চেষ্টা করেন বিক্রম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত বিক্রমকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ড দেন।
গণিত ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাবেক এই ছাত্র কারাগারের গ্রন্থাগারে আইনবিষয়ক বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
No comments