পরিবেশ রক্ষার অঙ্গীকার -স্থানীয় উদ্যোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই
গত শনিবার কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে স্থানীয় জনগণ পাহাড়, বন, হ্রদ ধ্বংস না করার অঙ্গীকার করেছে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেত হয়েছেন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে। একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়ার লক্ষ্যে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের এমন সম্মিলন নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।
প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আজ মানুষের যৌথতা, সবাই মিলে এক জায়গায় সমবেত হওয়ার তাগিদ জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে দুনিয়াব্যাপী। পরিবেশ রক্ষা ও মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় ঠেকাতে সারা দুনিয়ার মানুষ সোচ্চার হচ্ছে। জলবায়ু প্রশ্ন এক ধরনের বিশ্বায়ন ঘটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাশাপাশি বাড়ছে স্থানীয় উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা।
সভ্যতার অগ্রগতির পথে মানুষের নানা তাণ্ডব যে ছাপ প্রকৃতির ওপর ফেলে যায়, এর ফল আজ আমরা ইতিমধ্যে ভোগ করতে শুরু করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আর কোনো দূরবর্তী বিষয় নয়, এর উত্তাপ আমরা টের পেতে শুরু করেছি। তেমনি করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রভাবও পড়ছে আমাদের প্রতিবেশব্যবস্থায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা প্রাণী, জীবজন্তুর অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। আমাদের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। প্রতিবেশব্যবস্থা যেভাবে ক্রমে হুমকির মধ্যে পড়ছে, এতে আরও অনেক প্রাণ হুমকির মুখে পড়বে সন্দেহ নেই।
আমাদের দেশে পাহাড়, বন, হ্রদ ধ্বংসের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সাধারণত স্থানীয় প্রভাবশালীরা এর জন্য দায়ী। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে পান। এটি শুধু আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত বিষয় নয়। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করেই এ সমস্যার সমাধানে পৌঁছা সম্ভব নয়; যারা পরিবেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত, তাদের যেমন কঠোর হস্তে দমন করা দরকার, তেমনি দরকার এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।
পরিবেশ ধ্বংসের কাজটি এত দীর্ঘদিন ধরে চলে এবং এর প্রভাব এত দীর্ঘমেয়াদি হয় যে, যে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তার জীবদ্দশায় এর প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। তাই তারা নির্দ্বিধায় এ ধরনের কাজ করে। ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে নিজের অস্তিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে দেখতে না পারলে, তাদের সঙ্গে কোনো যোগসূত্রের বোধ না থাকলে এ ধরনের কাজ বন্ধ করা অত্যন্ত কঠিন হবে। এ জন্য নিজের বাইরে বেরিয়ে অন্যকে আপন করে নেওয়ার মনোভাব জাগাতে উপযুক্ত শিক্ষা প্রয়োজন। কক্সবাজার ও রাঙামাটির মতো জন-উদ্যোগগুলো সে কাজে বড় ভূমিকা রাখবে আশা করি।
প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আজ মানুষের যৌথতা, সবাই মিলে এক জায়গায় সমবেত হওয়ার তাগিদ জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে দুনিয়াব্যাপী। পরিবেশ রক্ষা ও মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় ঠেকাতে সারা দুনিয়ার মানুষ সোচ্চার হচ্ছে। জলবায়ু প্রশ্ন এক ধরনের বিশ্বায়ন ঘটাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাশাপাশি বাড়ছে স্থানীয় উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা।
সভ্যতার অগ্রগতির পথে মানুষের নানা তাণ্ডব যে ছাপ প্রকৃতির ওপর ফেলে যায়, এর ফল আজ আমরা ইতিমধ্যে ভোগ করতে শুরু করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আর কোনো দূরবর্তী বিষয় নয়, এর উত্তাপ আমরা টের পেতে শুরু করেছি। তেমনি করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রভাবও পড়ছে আমাদের প্রতিবেশব্যবস্থায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা প্রাণী, জীবজন্তুর অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। আমাদের কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। প্রতিবেশব্যবস্থা যেভাবে ক্রমে হুমকির মধ্যে পড়ছে, এতে আরও অনেক প্রাণ হুমকির মুখে পড়বে সন্দেহ নেই।
আমাদের দেশে পাহাড়, বন, হ্রদ ধ্বংসের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সাধারণত স্থানীয় প্রভাবশালীরা এর জন্য দায়ী। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে পান। এটি শুধু আইনশৃঙ্খলা-সম্পর্কিত বিষয় নয়। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করেই এ সমস্যার সমাধানে পৌঁছা সম্ভব নয়; যারা পরিবেশ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত, তাদের যেমন কঠোর হস্তে দমন করা দরকার, তেমনি দরকার এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি।
পরিবেশ ধ্বংসের কাজটি এত দীর্ঘদিন ধরে চলে এবং এর প্রভাব এত দীর্ঘমেয়াদি হয় যে, যে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তার জীবদ্দশায় এর প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। তাই তারা নির্দ্বিধায় এ ধরনের কাজ করে। ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে নিজের অস্তিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে দেখতে না পারলে, তাদের সঙ্গে কোনো যোগসূত্রের বোধ না থাকলে এ ধরনের কাজ বন্ধ করা অত্যন্ত কঠিন হবে। এ জন্য নিজের বাইরে বেরিয়ে অন্যকে আপন করে নেওয়ার মনোভাব জাগাতে উপযুক্ত শিক্ষা প্রয়োজন। কক্সবাজার ও রাঙামাটির মতো জন-উদ্যোগগুলো সে কাজে বড় ভূমিকা রাখবে আশা করি।
No comments