সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে সরানো সঠিক ছিল: টনি ব্লেয়ার
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেছেন, ইরাকের কাছে কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র নেই জানলেও ব্রিটেন সেই যুদ্ধে সহযোগিতা করত। কারণ তিনি মনে করেন, সে সময় সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকের রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরানো সঠিক ছিল। তিনি গতকাল শনিবার ইরাকযুদ্ধ-সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। খবর এএফপির।
টনি ব্লেয়ার মনে করেন, ইরাকযুদ্ধ নিয়ে অনেকের অনেক রকম যুক্তি থাকতে পারে, তবে সে সময় ইরাকের ক্ষমতা থেকে সাদ্দাম হোসেনকে সরানোর কোনো বিকল্প ছিল না। সাদ্দাম হোসেন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বিপক্ষে মস্ত বড় হুমকি ছিলেন। টনি বলেন, ‘তাঁকে ও তাঁর দুই ছেলেকে বহাল রেখে আমাদের অনেক লক্ষ্যই পূরণ হতো না।’
টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘রাসায়নিক অস্ত্রের চেয়ে সাদ্দাম বড় হুমকি ছিলেন। কারণ, এই সাদ্দামই তাঁর নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন। তাই ইরাকযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় মানববিধ্বংসী অস্ত্রের চেয়ে সাদ্দামকে তাঁর অবস্থান থেকে হটানোকেই আমি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
টনি ব্লেয়ার ২০০৩ সালে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করার ব্যাপারে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে সমর্থন দিয়েছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইরাকে নিহত ব্রিটিশ সেনাদের স্বজনেরা তাঁদের প্রিয়জনের মৃত্যুর জন্য টনি ব্লেয়ারকে দায়ী করে থাকেন। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘যেসব ব্রিটিশ সেনা ইরাকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বজনদের গর্বিত হওয়া উচিত।’ তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, নিহত ব্রিটিশ সেনাদের অনেকের বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন মনে করেন, ইরাকে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ছিল অপ্রয়োজনীয়। সেই সব প্রিয়জন হারানো স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা প্রয়োজন, তাঁরা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতেন। স্বজনদের উচিত, নিহতদের বীরত্বের জন্য গর্বিত হওয়া।
টনি ব্লেয়ার মনে করেন, ইরাকযুদ্ধ নিয়ে অনেকের অনেক রকম যুক্তি থাকতে পারে, তবে সে সময় ইরাকের ক্ষমতা থেকে সাদ্দাম হোসেনকে সরানোর কোনো বিকল্প ছিল না। সাদ্দাম হোসেন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বিপক্ষে মস্ত বড় হুমকি ছিলেন। টনি বলেন, ‘তাঁকে ও তাঁর দুই ছেলেকে বহাল রেখে আমাদের অনেক লক্ষ্যই পূরণ হতো না।’
টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘রাসায়নিক অস্ত্রের চেয়ে সাদ্দাম বড় হুমকি ছিলেন। কারণ, এই সাদ্দামই তাঁর নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন। তাই ইরাকযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সময় মানববিধ্বংসী অস্ত্রের চেয়ে সাদ্দামকে তাঁর অবস্থান থেকে হটানোকেই আমি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
টনি ব্লেয়ার ২০০৩ সালে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করার ব্যাপারে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে সমর্থন দিয়েছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইরাকে নিহত ব্রিটিশ সেনাদের স্বজনেরা তাঁদের প্রিয়জনের মৃত্যুর জন্য টনি ব্লেয়ারকে দায়ী করে থাকেন। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘যেসব ব্রিটিশ সেনা ইরাকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বজনদের গর্বিত হওয়া উচিত।’ তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, নিহত ব্রিটিশ সেনাদের অনেকের বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন মনে করেন, ইরাকে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ছিল অপ্রয়োজনীয়। সেই সব প্রিয়জন হারানো স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা প্রয়োজন, তাঁরা সামরিক বাহিনীতে চাকরি করতেন। স্বজনদের উচিত, নিহতদের বীরত্বের জন্য গর্বিত হওয়া।
No comments