আলোচনায় আইসিএল আর ইনজুরি
সকালে ইনডোরে এসেই নতুন দুই ছাত্রকে নিয়ে খাতা-কলম হাতে বসে গেলেন বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েকে। কোচের কথা অখণ্ড মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে প্রথম ডাক পাওয়া দুই পেসার। তবে চম্পকার ক্লাসটাকে ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দলের প্রথম দিনের অনুশীলনে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাই মনে হলো শেষ পর্যন্ত। অনুশীলনের বাকিটা হলো কেমন ছাড়া ছাড়া।
ছাড়া ছাড়া না হয়ে উপায়ও ছিল না আসলে। গত কিছুদিন ক্রিকেটারদের ইনজুরির সঙ্গে এমনই সখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইনডোর বা মাঠের চেয়ে জিমনেসিয়াম আর মেডিকেল রুমেই দৌড়াতে হচ্ছে বেশি। মাশরাফি বিন মুর্তজা আর তামিম ইকবাল এখনো অনুশীলনে নামার মতো ফিট নন। মাশরাফি নিজেই বলছেন, ঝুঁকি নিতে চান না। আর বিসিবির চিকিত্সক দেবাশিষ চৌধুরীর ভাষ্য, ‘মাশরাফির যেহেতু এটাই শেষ সুযোগ, তাঁর ব্যাপারে সতর্ক হয়ে এগোতে চাই আমরা। তামিমের অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও ১৮ ডিসেম্বর স্ক্যান করানোর পরই তাঁর সুুস্থতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’ আইসিএল-ফেরত আফতাব আহমেদ মাশরাফি-তামিমদের ইনজুরির মিছিলে নতুন সংযোজন। প্রিমিয়ার লিগে খেলাঘরের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়েছে আফতাবের। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে না ওঠায় কাল অনুশীলনের প্রথম দিনে ব্যাট হাতে নিলেন না। সকালে এসে ঘণ্টাখানেক জিমনেসিয়ামে কাটিয়েই চলে গেলেন।
ইনজুরির কথা বাদ দিলে কাল সুপার লিগ আর রেলিগেশন লিগের খেলা নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন কেউ কেউ। সূর্যতরুণের ধীমান ঘোষ সে কারণেই প্রথম দিনের অনুশীলনে অনুপস্থিত। বোনের আকস্মিক মৃত্যুসংবাদ পেয়ে অলক কাপালি সিলেটে। আইসিএল-ফেরতদের মধ্যে প্রথম দিনের অনুশীলনে শাহরিয়ার নাফীসকেই দেখা গেল কেবল। আরও একবার জাতীয় দলের পরিবেশে আসতে পেরে খুবই খুশি এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘তিন জাতি সিরিজের আরও দুই সপ্তাহের মতো আছে। আমি চেষ্টা করব এই সময়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে মূল দলে জায়গা করে নেওয়ার। আর যদি সেটা নাও হয়, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জাতীয় দলে লম্বা সময় ধরে খেলতে চাই।’ আইসিএল অধ্যায়ের পর আবার দেশের ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পেয়ে, জাতীয় দলের প্রাথমিক তালিকায় আসতে পেরে বোর্ড এবং নির্বাচকদের ধন্যবাদও দিয়েছেন। বোর্ড তাঁর ওপর আস্থা রাখায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে শাহরিয়ারের।
কিন্তু কোচ জেমি সিডন্সের কথায় কেমন যেন নিরাসক্তি আইসিএল ক্রিকেটারদের ব্যাপারে। অথচ একটি সূত্রমতে, আইসিএল ক্রিকেটারদের এখনই প্রাথমিক দলে ডাকার ইচ্ছা বোর্ডের খুব একটা ছিল না। অনেকটা কোচের একক ইচ্ছাতেই তাঁরা অনুশীলন শুরু করেন, প্রাথমিক দলেও এলেন। অথচ আইসিএল-ফেরত ক্রিকেটারদের ব্যাপারে কোচকে নিরুত্তাপ মনে হলো কাল, ‘তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছে, চারজন ২৬ জনের দলেও এসেছে। এর মানে জাতীয় দলের বিবেচনায় আছে তারা। এখন পারফর্ম করে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।’ আইসিএল-ফেরতদের মধ্যে যে দুজনের নাম বেশি করে উচ্চারিত হচ্ছে, সেই শাহরিয়ার আর আফতাবের আইসিএল-পূর্ব ফর্মটাকেও সামনে আনতে চাইলেন সিডন্স, ‘শাহরিয়ার নাফীস যখন আইসিএলে গেছে তখন তার ফর্ম ধারাবাহিক ছিল না। আফতাবেরও তা-ই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য। ক্লাব ক্রিকেটে পারফর্ম করা মানে এই না যে সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পারফর্ম করবে।’
সিডন্সের কথার সুরে মনে হলো, জয়ের মধ্যে থাকা দলটাতে এই মুহূর্তে কোনো ভাঙাগড়া চাইছেন না তিনি। তবে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক প্রসঙ্গ উঠতে কোচও বলতে বাধ্য হলেন, ‘জুনায়েদ ২০-৩০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে সংগ্রাম করছে। ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার সন্দেহ নেই, তবে এখন রান করতে পারছে না। ওপেনিং জুটি নিয়ে আমরা অবশ্যই ভাবব...দলের সব পজিশন নিয়েই ভাবব।’
বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, থিংক ট্যাঙ্কের চিন্তায় বড় কোনো ওলট-পালট না হলে তিন জাতি সিরিজে জুনায়েদের জায়গা নিয়ে ওপেনার হিসেবে শাহরিয়ারের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। তবে আফতাবের ফেরার সম্ভাবনায় কোচের সঙ্গে বিতর্ক হতে পারে থিংক ট্যাঙ্কের অন্য সদস্যদের। আফতাবের ফেরাটা অনেকেই রকিবুল হাসানের জায়গায় হওয়া উচিত মনে করলেও কোচ সেটা মনে করছেন না। সিডন্সের চোখে আফতাব দলে এলে শুধু মোহাম্মদ আশরাফুলকে সরিয়েই আসতে পারেন, রকিবুলকে নয়। ওয়ানডেতে রকিবুলের গড় ৩০.৫০। আশরাফুলের ২৩.৭৮ ও আফতাবের ২৫.৩২। ৩০ গড়ের কারও সঙ্গে ২৩-২৫ গড়ের খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে ২৩ আর ২৫-এর মধ্যে লড়াইটাকেই বেশি যৌক্তিক মনে হচ্ছে সিডন্সের কাছে। অঙ্কের জটিলতায় না গিয়ে সিডন্সের চাওয়ার আরও সহজ সারমর্ম হতে পারে এই—আশরাফুল বা আফতাব, যেকোনো একজনের ভারই বহন করতে চান তিনি জাতীয় দলে।
শেষ পর্যন্ত সিডন্সের চাওয়াই মূল্য পাচ্ছে কি না, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেদিনই ত্রিদেশীয় সিরিজের দল ঘোষণা করার কথা নির্বাচকদের।
ছাড়া ছাড়া না হয়ে উপায়ও ছিল না আসলে। গত কিছুদিন ক্রিকেটারদের ইনজুরির সঙ্গে এমনই সখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইনডোর বা মাঠের চেয়ে জিমনেসিয়াম আর মেডিকেল রুমেই দৌড়াতে হচ্ছে বেশি। মাশরাফি বিন মুর্তজা আর তামিম ইকবাল এখনো অনুশীলনে নামার মতো ফিট নন। মাশরাফি নিজেই বলছেন, ঝুঁকি নিতে চান না। আর বিসিবির চিকিত্সক দেবাশিষ চৌধুরীর ভাষ্য, ‘মাশরাফির যেহেতু এটাই শেষ সুযোগ, তাঁর ব্যাপারে সতর্ক হয়ে এগোতে চাই আমরা। তামিমের অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও ১৮ ডিসেম্বর স্ক্যান করানোর পরই তাঁর সুুস্থতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’ আইসিএল-ফেরত আফতাব আহমেদ মাশরাফি-তামিমদের ইনজুরির মিছিলে নতুন সংযোজন। প্রিমিয়ার লিগে খেলাঘরের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়েছে আফতাবের। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে না ওঠায় কাল অনুশীলনের প্রথম দিনে ব্যাট হাতে নিলেন না। সকালে এসে ঘণ্টাখানেক জিমনেসিয়ামে কাটিয়েই চলে গেলেন।
ইনজুরির কথা বাদ দিলে কাল সুপার লিগ আর রেলিগেশন লিগের খেলা নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন কেউ কেউ। সূর্যতরুণের ধীমান ঘোষ সে কারণেই প্রথম দিনের অনুশীলনে অনুপস্থিত। বোনের আকস্মিক মৃত্যুসংবাদ পেয়ে অলক কাপালি সিলেটে। আইসিএল-ফেরতদের মধ্যে প্রথম দিনের অনুশীলনে শাহরিয়ার নাফীসকেই দেখা গেল কেবল। আরও একবার জাতীয় দলের পরিবেশে আসতে পেরে খুবই খুশি এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘তিন জাতি সিরিজের আরও দুই সপ্তাহের মতো আছে। আমি চেষ্টা করব এই সময়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে মূল দলে জায়গা করে নেওয়ার। আর যদি সেটা নাও হয়, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জাতীয় দলে লম্বা সময় ধরে খেলতে চাই।’ আইসিএল অধ্যায়ের পর আবার দেশের ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পেয়ে, জাতীয় দলের প্রাথমিক তালিকায় আসতে পেরে বোর্ড এবং নির্বাচকদের ধন্যবাদও দিয়েছেন। বোর্ড তাঁর ওপর আস্থা রাখায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে শাহরিয়ারের।
কিন্তু কোচ জেমি সিডন্সের কথায় কেমন যেন নিরাসক্তি আইসিএল ক্রিকেটারদের ব্যাপারে। অথচ একটি সূত্রমতে, আইসিএল ক্রিকেটারদের এখনই প্রাথমিক দলে ডাকার ইচ্ছা বোর্ডের খুব একটা ছিল না। অনেকটা কোচের একক ইচ্ছাতেই তাঁরা অনুশীলন শুরু করেন, প্রাথমিক দলেও এলেন। অথচ আইসিএল-ফেরত ক্রিকেটারদের ব্যাপারে কোচকে নিরুত্তাপ মনে হলো কাল, ‘তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছে, চারজন ২৬ জনের দলেও এসেছে। এর মানে জাতীয় দলের বিবেচনায় আছে তারা। এখন পারফর্ম করে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।’ আইসিএল-ফেরতদের মধ্যে যে দুজনের নাম বেশি করে উচ্চারিত হচ্ছে, সেই শাহরিয়ার আর আফতাবের আইসিএল-পূর্ব ফর্মটাকেও সামনে আনতে চাইলেন সিডন্স, ‘শাহরিয়ার নাফীস যখন আইসিএলে গেছে তখন তার ফর্ম ধারাবাহিক ছিল না। আফতাবেরও তা-ই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য। ক্লাব ক্রিকেটে পারফর্ম করা মানে এই না যে সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পারফর্ম করবে।’
সিডন্সের কথার সুরে মনে হলো, জয়ের মধ্যে থাকা দলটাতে এই মুহূর্তে কোনো ভাঙাগড়া চাইছেন না তিনি। তবে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক প্রসঙ্গ উঠতে কোচও বলতে বাধ্য হলেন, ‘জুনায়েদ ২০-৩০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে সংগ্রাম করছে। ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার সন্দেহ নেই, তবে এখন রান করতে পারছে না। ওপেনিং জুটি নিয়ে আমরা অবশ্যই ভাবব...দলের সব পজিশন নিয়েই ভাবব।’
বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, থিংক ট্যাঙ্কের চিন্তায় বড় কোনো ওলট-পালট না হলে তিন জাতি সিরিজে জুনায়েদের জায়গা নিয়ে ওপেনার হিসেবে শাহরিয়ারের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। তবে আফতাবের ফেরার সম্ভাবনায় কোচের সঙ্গে বিতর্ক হতে পারে থিংক ট্যাঙ্কের অন্য সদস্যদের। আফতাবের ফেরাটা অনেকেই রকিবুল হাসানের জায়গায় হওয়া উচিত মনে করলেও কোচ সেটা মনে করছেন না। সিডন্সের চোখে আফতাব দলে এলে শুধু মোহাম্মদ আশরাফুলকে সরিয়েই আসতে পারেন, রকিবুলকে নয়। ওয়ানডেতে রকিবুলের গড় ৩০.৫০। আশরাফুলের ২৩.৭৮ ও আফতাবের ২৫.৩২। ৩০ গড়ের কারও সঙ্গে ২৩-২৫ গড়ের খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে ২৩ আর ২৫-এর মধ্যে লড়াইটাকেই বেশি যৌক্তিক মনে হচ্ছে সিডন্সের কাছে। অঙ্কের জটিলতায় না গিয়ে সিডন্সের চাওয়ার আরও সহজ সারমর্ম হতে পারে এই—আশরাফুল বা আফতাব, যেকোনো একজনের ভারই বহন করতে চান তিনি জাতীয় দলে।
শেষ পর্যন্ত সিডন্সের চাওয়াই মূল্য পাচ্ছে কি না, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেদিনই ত্রিদেশীয় সিরিজের দল ঘোষণা করার কথা নির্বাচকদের।
No comments