লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল হেডলির
মুম্বাই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি বলেছেন, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রধানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ২৬/১১ ঘটনায় লস্কর-ই-তাইয়েবার কয়েকজন নেতা এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাও জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তদন্ত দলের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
হেডলি জানান, মুম্বাই হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদ, অপারেশন কমান্ডার জাকি উর রেহমান লাকভি, ইউসুফ মুজাম্মেল ও সাজিদ মীর এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একটি অংশ জড়িত ছিল।
ভারত সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের দলটি গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির কর্মকর্তাদের জানান, লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা হাফিজ সাঈদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেছেন হেডলি। তিনি বলেছেন, লস্কর-ই-তাইয়েবার অপারেশন কমান্ডার লাকভি, মুজাম্মেল ও মীর ছাড়াও পাকিস্তানের সেনা-কর্মকর্তা মেজর ইকবালের সঙ্গেও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ২৬/১১ হামলার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণকালে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর।
সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের যেসব সামরিক স্থাপনা লস্কর-ই-তাইয়েবার হামলার তালিকায় ছিল, ওই সব স্থাপনা সম্পর্কে ডেলিকে অবহিত করেছিলেন মেজর ইকবাল। গত মাসে রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালতে লাকভিসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মুম্বাই হামলার অভিযোগ আনা হয়।
এফবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের পরমাণু স্থাপনাগুলোয় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তানি সহযোগীদের কাছে হেডলির পাঠানো কোনো ই-মেইল বা কল লিস্টের নমুনা থাকলে তা হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুর তালিকায় নাগপুর, পুনে ও আহমেদাবাদের নাম আছে কি না, তা জানতে হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারেও এফবিআইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, এফবিআই নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে যে হেডলি গোপনে ফটোগ্রাফির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আর তাঁকে এ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা।
২৬/১১ হামলার লক্ষ্যস্থল ছাড়াও হেডলি ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। তিনি ট্রোম্বেতে ভভা আণবিক গবেষণা কেন্দ্রের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভিডিওচিত্রও ধারণ করেছেন। হেডলি এফবিআইকে জানিয়েছেন যে লস্কর-ই-তাইয়েবার কমান্ডার লাকভি, মুজাম্মেল ও মীর ভারতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় হামলার ইচ্ছা করলেও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারা ভারতের সামরিক স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে জোর দেন।
হেডলি জানান, মুম্বাই হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদ, অপারেশন কমান্ডার জাকি উর রেহমান লাকভি, ইউসুফ মুজাম্মেল ও সাজিদ মীর এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একটি অংশ জড়িত ছিল।
ভারত সফররত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের দলটি গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির কর্মকর্তাদের জানান, লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা হাফিজ সাঈদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেছেন হেডলি। তিনি বলেছেন, লস্কর-ই-তাইয়েবার অপারেশন কমান্ডার লাকভি, মুজাম্মেল ও মীর ছাড়াও পাকিস্তানের সেনা-কর্মকর্তা মেজর ইকবালের সঙ্গেও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ২৬/১১ হামলার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণকালে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর।
সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের যেসব সামরিক স্থাপনা লস্কর-ই-তাইয়েবার হামলার তালিকায় ছিল, ওই সব স্থাপনা সম্পর্কে ডেলিকে অবহিত করেছিলেন মেজর ইকবাল। গত মাসে রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালতে লাকভিসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মুম্বাই হামলার অভিযোগ আনা হয়।
এফবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের পরমাণু স্থাপনাগুলোয় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পাকিস্তানি সহযোগীদের কাছে হেডলির পাঠানো কোনো ই-মেইল বা কল লিস্টের নমুনা থাকলে তা হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তুর তালিকায় নাগপুর, পুনে ও আহমেদাবাদের নাম আছে কি না, তা জানতে হেডলিকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারেও এফবিআইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, এফবিআই নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে যে হেডলি গোপনে ফটোগ্রাফির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আর তাঁকে এ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা।
২৬/১১ হামলার লক্ষ্যস্থল ছাড়াও হেডলি ভারতের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। তিনি ট্রোম্বেতে ভভা আণবিক গবেষণা কেন্দ্রের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভিডিওচিত্রও ধারণ করেছেন। হেডলি এফবিআইকে জানিয়েছেন যে লস্কর-ই-তাইয়েবার কমান্ডার লাকভি, মুজাম্মেল ও মীর ভারতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় হামলার ইচ্ছা করলেও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তারা ভারতের সামরিক স্থাপনায় হামলার ব্যাপারে জোর দেন।
No comments