অভিবাসন ও সন্ত্রাস দমন নিয়ে কঠোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমনে ন্যাটো এবং মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিবাসীদের কঠোরভাবে বাছাই এবং ‘স্নায়ুযুদ্ধের মতো’ করে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চালানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প গত সোমবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ ঠিক সেভাবেই দমন করব, যেমন করে প্রতি যুগে প্রতিটি হুমকি মোকাবিলা করেছি।’ ক্ষমতায় গেলে অভিবাসনবিরোধী কঠোর আইন করার পরিকল্পনাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইসলামি কট্টরপন্থা ও সন্ত্রাস দমনের লড়াই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে এক নতুন পরীক্ষা। অভিবাসী হতে চেয়ে যাঁরা আবেদন করবেন, ধর্মীয় ও সমকামিতার মতো বিষয়ে সহিষ্ণুতার মতো পশ্চিমা উদার মূল্যবোধ তাঁদের আছে কি না, সেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিতে আগ্রহীদের আদর্শিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। যাঁরা মার্কিন সংবিধানে বিশ্বাস করবেন না অথবা যাঁরা ধর্মান্ধতা ও বিদ্বেষ ছড়াবেন, তাঁরা অভিবাসনের যোগ্য বলে গণ্য হবেন না।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেসব দেশের সন্ত্রাসের ইতিহাস আছে, সেখানকার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে। তবে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। জঙ্গি সংগঠন আইএস পরাজিত করতে তিনি কী ধরনের সামরিক কৌশল নেবেন, সে বিষয়ে সোমবারের বক্তব্যে কিছু উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। এদিনের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গুয়ানতানামো বে কারাগার চালু রাখা হবে। কট্টর ইসলামপন্থীদের সন্ত্রাস তদন্তে একটি প্রেসিডেনশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে। হিলারির অন্তর্বর্তী দল: গতকাল মঙ্গলবার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন দলের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে হোয়াইট হাউসে যাওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ে তাঁরা ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়গুলো দেখভাল করবেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের সিনেটর কেন সালাজার এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন। হিলারির এ অন্তর্বর্তী দলে আরও আছেন বারাক ওবামার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা টম ডোনিলন, হিলারির দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা নিরা ট্যানডেন ও মিশিগানের সাবেক গভর্নর জেনিফার গ্রানহোম।
No comments