যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের নগ্ন মূর্তি
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে -ইউএসএ টুডে |
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেঢপ সাইজের নগ্ন মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে। মোটা পেট, ছোট আঙ্গুল ও বিশেষ কিছু অঙ্গ ছাড়া ট্রাম্পের মূর্তিগুলো বিশ্বব্যাপী আলোচনার খোরাকে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মূর্তিগুলো শহরের উম্মুক্ত স্থানে দেখা যাচ্ছে বলে জানায় দ্য ইউএসএ টুডে। নিউইয়র্ক, সানফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলস, ক্লিভল্যান্ড এবং সিয়াটলের জনারণ্যে স্থাপিত মূর্তিগুলোকে কেন্দ্র করে হাসি-তামাশা ও ফটোশেসনে মেতে উঠেছে লোকজন। ইনডেকলাইন নামক একটি সংগঠন এগুলো স্থাপন করেছে। সংগঠনটির একজন মুখপাত্র বলেন, রূপকথার ‘সম্রাটের নতুন কাপড়’ শীর্ষক গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মূর্তিগুলো তৈরি করা হয়েছে। ‘নপুংশক সম্রাট’ শিরোনামের একটি ব্যানারের আওতায় তারা ট্রাম্পের মূর্তিগুলো নির্মাণ করেছে।
রয়টার্স জানায়, নগ্ন ও বিকৃতভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদপ্রত্যাশী এ সাবেক ক্যাসিনো ব্যবসায়ীকে সর্বোচ্চ হেনস্তা করা হয়েছে। ইনডেকলাইনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেকে যতটা বৈপ্লবিক ব্যক্তি বলে দাবি করেন তিনি আসলে ততটাই পশ্চাদপদ চিন্তার অধিকারী।’ জিনজার নামে পরিচিত লাস ভেগাসের এক ভাস্কর এগুলো তৈরি করেন। ট্রাম্পের মূর্তিগুলো তৈরির জন্য তিনি ৩০০ পাউন্ড কাদামাটি এবং সিলিকন ব্যবহার করেছেন। কিছুদিন আগে বিভিন্ন দানবের ভাস্কর্য তৈরি করে দেশজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন জিনজার। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘দানবীয় অবয়ব তৈরিতে আমার পারদর্শিতার জন্য ইনডেকলাইনের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ট্রাম্পকেও আমরা একটা দানব বলে মনে করি। এ কারণেই আমি দানবের আদলে তার মূর্তিগুলো তৈরি করে দিয়েছি।’ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ারে ট্রাম্পের কাপড়বিহীন মূর্তি স্থাপন করেছে ইনডেকলাইনের সদস্যরা। এরপর বাকি চার শহরেও দেখা যায় এ ধরনের মূর্তি। তবে বিকাল নাগাদ নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ সরিয়ে ফেলেছে ইউনিয়ন স্কয়ারের মূর্তিটি। তাদের মুখপাত্র মায় ফার্গুসন বলেন, ‘অননুমোদিতভাবে পার্ক এলাকায় মূর্তি স্থাপন করায় তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া খুব ছোট কোনো ভাস্কর্য স্থাপন করাটাও এখানে অবৈধ।’
এদিকে অনলাইনে মূর্তিগুলোর ভিডিও প্রকাশ করেছে ইনডেকলাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে তা। মানুষের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে ট্রাম্প-মূর্তির ছবিগুলো। ৫৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোনট বোরক্স জানান, ট্রেন থেকে নেমেই এমন কিছু দেখবেন বলে ধারণাই করেননি তিনি। মূর্তিগুলো অনেকের জন্য মজার উপাদান যোগাচ্ছে এবং বিস্ময় উপহার দিচ্ছে অনেক মানুষকে। বিভিন্ন ভঙ্গিতে মূর্তিগুলোর সঙ্গে সেলফি তুলতেও মেতে উঠেছেন অনেকে। এদিকে ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্রূপ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার নর্থ ক্যারোলিনায় নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় উল্টো নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে আক্রমণ করার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে এবং উত্তপ্ত পরিবেশে বিতর্কের সময় অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক সময় ভুল শব্দ প্রয়োগ করেছি আমি। সেজন্য আমি অনুতপ্ত। তবে আপনারা নিশ্চিত থাকবেন যে আমি সবসময় সত্য কথাই বলব। সেটা কারও ভালো লাগুক অথবা না লাগুক।’
‘মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ নিষদ্ধি করা উচিত’, ‘মিডিয়া অসৎ’ ‘ওবামা আইএসের প্রতিষ্ঠা’, ‘কুটিল হিলারি’, ‘হিলারি দুর্নীতির রানী’ এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশে নানা কটূক্তিসহ বিভিন্ন মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এ বিলিওনিয়ার বিজনেস ম্যাগনেট। অন্যদিকে হ্যাকিংকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণা। ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিপাবলিকান দল এবং ডেমোক্রেটিক দলের কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক হ্যাকাররা নষ্ট করার পাঁয়তারা করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার বা ম্যালওয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তার সহকর্মীদেরও ভাইরাস আক্রান্ত মেইল পাঠানো হয়েছিল। রিপাবলিকান প্রার্থীদের এক প্রচারণাকারী এবং বাইরের একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এ তথ্য জানিয়েছেন।
রয়টার্স জানায়, নগ্ন ও বিকৃতভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদপ্রত্যাশী এ সাবেক ক্যাসিনো ব্যবসায়ীকে সর্বোচ্চ হেনস্তা করা হয়েছে। ইনডেকলাইনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেকে যতটা বৈপ্লবিক ব্যক্তি বলে দাবি করেন তিনি আসলে ততটাই পশ্চাদপদ চিন্তার অধিকারী।’ জিনজার নামে পরিচিত লাস ভেগাসের এক ভাস্কর এগুলো তৈরি করেন। ট্রাম্পের মূর্তিগুলো তৈরির জন্য তিনি ৩০০ পাউন্ড কাদামাটি এবং সিলিকন ব্যবহার করেছেন। কিছুদিন আগে বিভিন্ন দানবের ভাস্কর্য তৈরি করে দেশজুড়ে খ্যাতি পেয়েছেন জিনজার। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘দানবীয় অবয়ব তৈরিতে আমার পারদর্শিতার জন্য ইনডেকলাইনের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ট্রাম্পকেও আমরা একটা দানব বলে মনে করি। এ কারণেই আমি দানবের আদলে তার মূর্তিগুলো তৈরি করে দিয়েছি।’ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ারে ট্রাম্পের কাপড়বিহীন মূর্তি স্থাপন করেছে ইনডেকলাইনের সদস্যরা। এরপর বাকি চার শহরেও দেখা যায় এ ধরনের মূর্তি। তবে বিকাল নাগাদ নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ সরিয়ে ফেলেছে ইউনিয়ন স্কয়ারের মূর্তিটি। তাদের মুখপাত্র মায় ফার্গুসন বলেন, ‘অননুমোদিতভাবে পার্ক এলাকায় মূর্তি স্থাপন করায় তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া খুব ছোট কোনো ভাস্কর্য স্থাপন করাটাও এখানে অবৈধ।’
এদিকে অনলাইনে মূর্তিগুলোর ভিডিও প্রকাশ করেছে ইনডেকলাইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে তা। মানুষের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে ট্রাম্প-মূর্তির ছবিগুলো। ৫৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোনট বোরক্স জানান, ট্রেন থেকে নেমেই এমন কিছু দেখবেন বলে ধারণাই করেননি তিনি। মূর্তিগুলো অনেকের জন্য মজার উপাদান যোগাচ্ছে এবং বিস্ময় উপহার দিচ্ছে অনেক মানুষকে। বিভিন্ন ভঙ্গিতে মূর্তিগুলোর সঙ্গে সেলফি তুলতেও মেতে উঠেছেন অনেকে। এদিকে ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্রূপ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার নর্থ ক্যারোলিনায় নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন তিনি। জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় উল্টো নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগতভাবে মানুষকে আক্রমণ করার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে এবং উত্তপ্ত পরিবেশে বিতর্কের সময় অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক সময় ভুল শব্দ প্রয়োগ করেছি আমি। সেজন্য আমি অনুতপ্ত। তবে আপনারা নিশ্চিত থাকবেন যে আমি সবসময় সত্য কথাই বলব। সেটা কারও ভালো লাগুক অথবা না লাগুক।’
‘মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ নিষদ্ধি করা উচিত’, ‘মিডিয়া অসৎ’ ‘ওবামা আইএসের প্রতিষ্ঠা’, ‘কুটিল হিলারি’, ‘হিলারি দুর্নীতির রানী’ এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশে নানা কটূক্তিসহ বিভিন্ন মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এ বিলিওনিয়ার বিজনেস ম্যাগনেট। অন্যদিকে হ্যাকিংকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণা। ডোনাল্ড ট্রাম্প, রিপাবলিকান দল এবং ডেমোক্রেটিক দলের কম্পিউটার সিস্টেম নেটওয়ার্ক হ্যাকাররা নষ্ট করার পাঁয়তারা করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার বা ম্যালওয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তার সহকর্মীদেরও ভাইরাস আক্রান্ত মেইল পাঠানো হয়েছিল। রিপাবলিকান প্রার্থীদের এক প্রচারণাকারী এবং বাইরের একজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এ তথ্য জানিয়েছেন।
No comments