আসক্তি থেকেই ইয়াবা বিক্রিতে নারী! by আদনান রহমান
গত কয়েকবছরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, ডিবি, র্যাব ও বিজিবি কয়েক
লাখ পিস ইয়াবার চালান আটক করেছে। অহরহই দেখা যায় চালানগুলোর সাথে নারীদের
আটক করা হয়।
ইয়াবা সুন্দরী নিকিতা, রিতা, কুলসুম, রুবিসহ আরও অনেক নারীকে ইয়াবা
ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত থাকতে দেখা গেছে। অন্যান্য ব্যবসায়ের প্রতি নারীদের
এত ঝোঁক না থাকলেও ইয়াবা ব্যবসায় তাদের বিপুল আগ্রহ দেখা যায়।প্রথমে
কোনোভাবে নিজেরা ইয়াবা আসক্তিতে পড়ে যায়। তারপরই এ পথে যেনো এসব নারীর
নতুন পথচলা শুরু।
গৃহবধূ, গার্মেন্টকর্মী, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি, কল সেন্টারকর্মী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীরা অল্প সময়ে বেশি উপার্জনের জন্য এই ব্যবসায় লিপ্ত হন।
সম্প্রতি ডিবি পুলিশ কর্তিক গ্রেফতারকৃত ২২ বছর বয়সী ম্যানিলা চৌধুরী তাদের মতই একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্রী ২০১০ সালে চাকরি খুঁজতে গিয়ে শাকু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়। আটকে পড়ে তার প্রলোভনের জালে, প্রেম থেকে শুরু করে লিভ টুগেদার।
ম্যানিলাকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেনি শাকু। নামায় ইয়াবা ব্যবসায়। একপর্যায়ে ২০১১ সালে র্যাবরে হাতে গ্রেফতার হয় ম্যানিলা। ১০ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে এ ম্যানিলা।
ম্যানিলাসহ ইয়াবার বিভিন্ন চালান আটকের পর আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নারীদের সংশ্লিষ্টতার নানা কারণ জানতে পারে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের এডিসি মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জিজ্ঞাসাবাদ হতে প্রাপ্ত তথ্য হিসেবে বলেন ‘প্রাথমিকভাবে গৃহবধূদের বাসার কাজে আর্থিক মূল্যায়ন করা হয় না বলে তাদের মধ্যে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছা জন্ম নেয়। সেই ইচ্ছা পূরণের খাতিরেই তারা এই ধরনের ব্যবসায় লিপ্ত হয়। সপ্তাহে তারা ন্যূনতম ১হাজার ট্যাবলেট প্রতিটি ১০ টাকা লাভে বিক্রি করে। এতে সপ্তাহে তাদের ১০ হাজার এবং মাসে চল্লিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। তাই গৃহবধূ, গার্মেন্টকর্মী, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ও কল সেন্টার কর্মী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীরা গোপনে এই ব্যবসায় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ওইসব নারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশিরভাগ স্টেজ শোঁ পারফর্মার এবং নারী মডেলরা ইয়াবা কেনে। এরপর সেই ব্যবসা সম্পর্কে ক্ষুদ্র ধারণা নিয়ে তারাও একই কাজ শুরু করে।
মশিউর আরও জানান, একই সাথে অনেকগুলো ইয়াবা ট্যাবলেট সংরক্ষণ, বহন ও হাতবদল করা অনেক সহজ। অনেক মেয়ে আবার অজানা কৌতূহলে এই ব্যবসায়ের সাথে লিপ্ত হন।
তবে যেসব গৃহবধূরা এইসব ট্যাবলেট বিক্রি করে অনেকের পেছনেই তাদের নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাত থাকে বলে জানান মশিউর।
ইয়াবার নিয়মিত একজন ক্রেতা ফিরোজ (ছদ্মনাম) বাংলানিউজকে বলেন, “সুন্দরী নারীদের কাছ থেকে অনেকেই ইয়াবা কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এছাড়া সমাজে নারীরা এমনিতেই সহানুভূতি পায়, তাই তাদের কেউ সন্দেহ করে না। ফলে এ লাইনে ওরাই বেশি।
এদিকে র্যাব ১০ এর অপারেশন অফিসার ও সিনিয়র এসপি ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নারীরা জানে যে তাদের প্রতি সবাই দুর্বল। তাই তাদের কেউ সন্দেহ করে না। নারীরা শরীরের এমন সব স্থানে এসব ট্যাবলেট লুকিয়ে রাখে যেখানে পুরুষ র্যাব সদস্যরা সার্চ করতে পারে না। এই সুযোগে টেকনাফ থেকেও নারীরা ইয়াবা বাংলাদেশে এনে বিক্রি করছে।’
ইয়াবা ট্যাবলেটের আরেক ক্রেতা রবিন বলেন, “ছেলেদের থেকে নারীরা এই ব্যবসায়ে খুবই বিশ্বাসযোগ্য, অনেকে নকল ট্যাবলেট বিক্রি করলেও নারীরা কারো সাথে প্রতারণা করে না। তাই বড় আমদানিকারকরা নারীদের দিয়েই ইয়াবার বাজারজাতকরণ করায়।”
মশিউর রহমান আরও জানান, জেলে যাওয়ার পরেও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেক নারীর মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে না। উল্টো জেলের মহিলাদের তারা এই ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করে।
গৃহবধূ, গার্মেন্টকর্মী, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি, কল সেন্টারকর্মী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীরা অল্প সময়ে বেশি উপার্জনের জন্য এই ব্যবসায় লিপ্ত হন।
সম্প্রতি ডিবি পুলিশ কর্তিক গ্রেফতারকৃত ২২ বছর বয়সী ম্যানিলা চৌধুরী তাদের মতই একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্রী ২০১০ সালে চাকরি খুঁজতে গিয়ে শাকু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়। আটকে পড়ে তার প্রলোভনের জালে, প্রেম থেকে শুরু করে লিভ টুগেদার।
ম্যানিলাকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেনি শাকু। নামায় ইয়াবা ব্যবসায়। একপর্যায়ে ২০১১ সালে র্যাবরে হাতে গ্রেফতার হয় ম্যানিলা। ১০ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে এ ম্যানিলা।
ম্যানিলাসহ ইয়াবার বিভিন্ন চালান আটকের পর আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ নারীদের সংশ্লিষ্টতার নানা কারণ জানতে পারে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের এডিসি মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জিজ্ঞাসাবাদ হতে প্রাপ্ত তথ্য হিসেবে বলেন ‘প্রাথমিকভাবে গৃহবধূদের বাসার কাজে আর্থিক মূল্যায়ন করা হয় না বলে তাদের মধ্যে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছা জন্ম নেয়। সেই ইচ্ছা পূরণের খাতিরেই তারা এই ধরনের ব্যবসায় লিপ্ত হয়। সপ্তাহে তারা ন্যূনতম ১হাজার ট্যাবলেট প্রতিটি ১০ টাকা লাভে বিক্রি করে। এতে সপ্তাহে তাদের ১০ হাজার এবং মাসে চল্লিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। তাই গৃহবধূ, গার্মেন্টকর্মী, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ও কল সেন্টার কর্মী, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীরা গোপনে এই ব্যবসায় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ওইসব নারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশিরভাগ স্টেজ শোঁ পারফর্মার এবং নারী মডেলরা ইয়াবা কেনে। এরপর সেই ব্যবসা সম্পর্কে ক্ষুদ্র ধারণা নিয়ে তারাও একই কাজ শুরু করে।
মশিউর আরও জানান, একই সাথে অনেকগুলো ইয়াবা ট্যাবলেট সংরক্ষণ, বহন ও হাতবদল করা অনেক সহজ। অনেক মেয়ে আবার অজানা কৌতূহলে এই ব্যবসায়ের সাথে লিপ্ত হন।
তবে যেসব গৃহবধূরা এইসব ট্যাবলেট বিক্রি করে অনেকের পেছনেই তাদের নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাত থাকে বলে জানান মশিউর।
ইয়াবার নিয়মিত একজন ক্রেতা ফিরোজ (ছদ্মনাম) বাংলানিউজকে বলেন, “সুন্দরী নারীদের কাছ থেকে অনেকেই ইয়াবা কিনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এছাড়া সমাজে নারীরা এমনিতেই সহানুভূতি পায়, তাই তাদের কেউ সন্দেহ করে না। ফলে এ লাইনে ওরাই বেশি।
এদিকে র্যাব ১০ এর অপারেশন অফিসার ও সিনিয়র এসপি ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নারীরা জানে যে তাদের প্রতি সবাই দুর্বল। তাই তাদের কেউ সন্দেহ করে না। নারীরা শরীরের এমন সব স্থানে এসব ট্যাবলেট লুকিয়ে রাখে যেখানে পুরুষ র্যাব সদস্যরা সার্চ করতে পারে না। এই সুযোগে টেকনাফ থেকেও নারীরা ইয়াবা বাংলাদেশে এনে বিক্রি করছে।’
ইয়াবা ট্যাবলেটের আরেক ক্রেতা রবিন বলেন, “ছেলেদের থেকে নারীরা এই ব্যবসায়ে খুবই বিশ্বাসযোগ্য, অনেকে নকল ট্যাবলেট বিক্রি করলেও নারীরা কারো সাথে প্রতারণা করে না। তাই বড় আমদানিকারকরা নারীদের দিয়েই ইয়াবার বাজারজাতকরণ করায়।”
মশিউর রহমান আরও জানান, জেলে যাওয়ার পরেও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেক নারীর মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে না। উল্টো জেলের মহিলাদের তারা এই ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করে।
No comments