সেনা হস্তক্ষেপ চাইছে গণমাধ্যম!
মিসরের
চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে সমর্থন দিচ্ছে দেশটির অনেক সংবাদপত্র। তাদের
অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড অগণতান্ত্রিক
হয়ে উঠছে। দেশটির বিভিন্ন শীর্ষ পত্রিকার প্রতিবেদক ও বিশ্লেষকেরা এ
অভিযোগ করছেন। একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে
জনগণকে ‘স্বাধীনতা’ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেনা হস্তক্ষেপের পক্ষে কথা
বলেছে একাধিক পত্রিকা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পত্রিকা আল-জুমহুরিয়া
পর্যন্ত স্বীকার করেছে যে বিপ্লবের আশা পূরণ হয়নি। আল-তাহরির পত্রিকা
লিখেছে, মুসলিম ব্রাদারহুড এখন দুঃস্বপ্নের নাম। তারা নিজেদেরকে গণতন্ত্রের
চেয়ে বড় মনে করছে। তারা ফ্যাসিবাদী নিপীড়ক, যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা
করে...। তাদের বিতাড়িত করার এখনই সময়। সরকারবিরোধী আল-ওয়াফ্দ পত্রিকা
লিখেছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের শাসনের অবসান অবশ্যই হবে এবং প্রেসিডেন্ট
মুরসির পদত্যাগ অবশ্যম্ভাবী। এই নতুন দখলদারদের হাত থেকে দেশের মানুষকে
স্বাধীন করতে সাহায্য করবে মিসরের মহান সেনাবাহিনী। আল-শুরুক পত্রিকা
লিখেছে, মানুষের এই ব্যাপক বিক্ষোভ থেকে মুসলিম ব্রাদারহুড এবং প্রেসিডেন্ট
মুরসির কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাওয়ার কথা যে তাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপকহারে
হ্রাস পেয়েছে...বিচারক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিক এবং সাধারণ জনগণের
সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যখন আপনার বিপক্ষে...এর পরও আপনি জোর করে চালিয়ে
যাওয়ার চেষ্টা করছেন...তখন এ কথা বলা খুবই কঠিন যে আপনিই সঠিক আর অন্যরা
ভুল করছে। আল-জুমহুরিয়া পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, জানুয়ারির
বিপ্লবের পর থেকে যারা দেশ শাসন করছে এবং দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে,
তারা ওই বিপ্লবে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষের আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজপথে নামা মানুষের লক্ষ্য ভেদাভেদ সরিয়ে ঐক্যের একটি নতুন অধ্যায় শুরু
করা। আর মুসলিম ব্রাদারহুডের পত্রিকা আল-হুরিয়া ওয়াল আদালাহ লিখেছে,
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়াচ্ছে। এই সহিংসতার
পেছনে আছে সাবেক সরকারের সমর্থক, বিরোধী ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট, তামারদ
ও কট্টরপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এবং বামপন্থীরা। এরা সবাই মিলে বিপ্লবের
বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইছে...এমনকি তাতে যদি গৃহযুদ্ধও বেধে যায়। এ
অবস্থায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেবে এবং তাদের পক্ষে দেশ শাসন করবে।
বিবিসি।
No comments