বুশকে ওয়াশিংটনের বাইরে থাকতে ‘আদেশ’ দিয়েছিলেন রাইস!
সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিৎসা রাইস বলেছেন, ৯/১১ হামলার কিছুক্ষণ পরই তিনি ফ্লোরিডায় অবস্থানরত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে ওয়াশিংটনে না আসার জন্য রীতিমতো আদেশ দিয়েছিলেন। হামলার ভয়ে তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা হোয়াইট হাউসের পরিখায় (বাংকারে) লুকিয়েছিলেন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে রাইস এসব কথা বলেন।
চ্যানেল ফোর বলেছে, ৯/১১ হামলার নবম বার্ষিকী উপলক্ষে তারা একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান তৈরি করেছে। ওই অনুষ্ঠানে রাইস ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সেই দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর তারা অনুষ্ঠানটি প্রচার করবে।
প্রামাণ্য অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রাইস বলেন, ‘খবর শুনেই ফ্লোরিডা থেকে প্রেসিডেন্ট বুশ আমাকে ফোন করে বললেন, আমি ওয়াশিংটনে ফিরে আসছি।’ ‘আমি তাঁকে বললাম, আপনার এখানে আসা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভয়ংকর হামলা নেমে এসেছে। এ মুহূর্তে আপনাকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে হবে। এখন কী কী ঘটছে তার কিছুই আমরা বুঝতে পারছি না।’ প্রেসিডেন্ট আবার বললেন, ‘আমি আসছি।’ ‘এবার আমি প্রায় ধমকের সুরে তাঁকে বললাম, আপনি আসতে পারবেন না।’ ‘আমি এত চড়া গলায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো দিন কথা বলিনি। কিন্তু সে দিন আদেশের সুরে আপনি আসতে পারবেন না বলেই আমি ফোনটা কেটে দিলাম।’ ‘প্রেসিডেন্ট আমার কথায় বিরক্ত হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন থেকে আমি যেহেতু তাঁকে চিনতাম সে জন্য বুঝতে পারছিলাম প্রেসিডেন্ট সশরীরে ওয়াশিংটনে এসে পরিস্থিতির হাল ধরতে চাইছেন।’
কন্ডোলিত্সা রাইস বলেন, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সে দিন তিনি নিজে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসের পরিখায় লুকিয়েছিলেন। একসময় পরিখার মধ্যে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। তাঁদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে কয়েকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাইস বলেন, হোয়াইট হাউসে যোগাযোগের স্বয়ংক্রিয় নানা মাধ্যম থাকলেও ওই সময় রহস্যজনকভাবে তাঁর অনেকগুলোই ঠিকমতো কাজ করছিল না। ফলে অনেকেই ব্যক্তিগত সাধারণ মোবাইল ফোন দিয়ে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। তিনি বলেন, তিনি তখন ভাবছিলেন সন্ত্রাসীরা যদি সে মুহূর্তে তাদের সাধারণ ফোনে আঁড়ি পাতে তাহলে বহু স্পর্শকাতর খবর তাদের কাছে চলে যাবে।
চ্যানেল ফোর বলেছে, ৯/১১ হামলার নবম বার্ষিকী উপলক্ষে তারা একটি প্রামাণ্য অনুষ্ঠান তৈরি করেছে। ওই অনুষ্ঠানে রাইস ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা সেই দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। ১১ সেপ্টেম্বর তারা অনুষ্ঠানটি প্রচার করবে।
প্রামাণ্য অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রাইস বলেন, ‘খবর শুনেই ফ্লোরিডা থেকে প্রেসিডেন্ট বুশ আমাকে ফোন করে বললেন, আমি ওয়াশিংটনে ফিরে আসছি।’ ‘আমি তাঁকে বললাম, আপনার এখানে আসা হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভয়ংকর হামলা নেমে এসেছে। এ মুহূর্তে আপনাকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে হবে। এখন কী কী ঘটছে তার কিছুই আমরা বুঝতে পারছি না।’ প্রেসিডেন্ট আবার বললেন, ‘আমি আসছি।’ ‘এবার আমি প্রায় ধমকের সুরে তাঁকে বললাম, আপনি আসতে পারবেন না।’ ‘আমি এত চড়া গলায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো দিন কথা বলিনি। কিন্তু সে দিন আদেশের সুরে আপনি আসতে পারবেন না বলেই আমি ফোনটা কেটে দিলাম।’ ‘প্রেসিডেন্ট আমার কথায় বিরক্ত হয়েছিলেন। তবে দীর্ঘদিন থেকে আমি যেহেতু তাঁকে চিনতাম সে জন্য বুঝতে পারছিলাম প্রেসিডেন্ট সশরীরে ওয়াশিংটনে এসে পরিস্থিতির হাল ধরতে চাইছেন।’
কন্ডোলিত্সা রাইস বলেন, সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সে দিন তিনি নিজে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ও অন্যান্য কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসের পরিখায় লুকিয়েছিলেন। একসময় পরিখার মধ্যে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। তাঁদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে কয়েকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাইস বলেন, হোয়াইট হাউসে যোগাযোগের স্বয়ংক্রিয় নানা মাধ্যম থাকলেও ওই সময় রহস্যজনকভাবে তাঁর অনেকগুলোই ঠিকমতো কাজ করছিল না। ফলে অনেকেই ব্যক্তিগত সাধারণ মোবাইল ফোন দিয়ে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। তিনি বলেন, তিনি তখন ভাবছিলেন সন্ত্রাসীরা যদি সে মুহূর্তে তাদের সাধারণ ফোনে আঁড়ি পাতে তাহলে বহু স্পর্শকাতর খবর তাদের কাছে চলে যাবে।
No comments