তারেক রহমানের বার্তায় বিভক্ত খুলনা বিএনপি একাট্টা by রাশিদুল ইসলাম
দীর্ঘদিন
ধরে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি ছিল দ্বিধা বিভক্ত। আন্দোলন সংগ্রামে পৃথক
পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিল। সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)
নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দ্বিধা-বিভক্তি প্রকাশ্যে
রূপ নেয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একাধিকবার হস্তক্ষেপের পরেও এর কোনো সুরাহা
হয়নি। অবশেষে সব বিভক্তি নিরসন করে ঐক্যবদ্ধভাবে ‘নগর ভবন’র কর্তৃত্ব ধরে
রাখতে নির্দেশ দেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক
রহমান। তার নির্দেশে খুলনা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দফায়
দফায় বৈঠক করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম
অমিত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। সে মোতাবেক
গতকাল সকালে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২০
দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব প্রদান করা
হয় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনাকে। এ ছাড়া কেসিসি
নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এতে নগর
বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজাকে আহ্বায়ক, আমীর এজাজ
খানকে সদস্য সচিব এবং নগর ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সদস্য করে
একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নগর ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দূরত্ব বেশ বছর খানেকের পুরানো। পৃথক কর্মসূচি পালন ও মনোমালিন্য ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। সেটার প্রকাশ্যে রূপ নিলো কেসিসি নির্বাচনে। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান দলের মনোনয়ন চাইলেন, সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও। এ দু’জন গেল কেসিসি নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, পরে মনিরুজ্জামানকে প্রার্থী মনোনীত করে শফিকুল আলম মনাকে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট করে দলটির কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারকরা। ফলে এবারেও দাবি করে বসেন শফিকুল আলম মনা। একপর্যায়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম ও মনোনয়ন বোর্ড কাকতালীয়ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকেই কেসিসির মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেন। ফলে তিন জন হয়ে যায় দলের প্রার্থী, প্রত্যেকেই মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন কেসিসি রিটার্নিং অফিসার থেকে। শেষমেশ বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট মনোনীত নজরুল ইসলাম মঞ্জু ব্যতীত মনিরুজ্জামান ও শফিকুল আলম মনা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তবে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েই যায় অভ্যন্তরে। সর্বশেষ গত ১৩ই এপ্রিল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় কেসিসি নির্বাচন পরিচালনায় ১১১ সদস্যের কমিটি গঠন ও নগর বিএনপির গঠিত বোর্ডে মনোনয়ন না পাওয়া দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হয়। এর আগে গত ১০ই এপ্রিল নগর বিএনপির অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় নির্বাচন পরিচালনায় ১০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এতে বিরোধ ও অনৈক্য প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ থাকায় নগর ও জেলা বিএনপির এ বিরোধের দীর্ঘসূত্রিতা পেয়েছে। এ দু’টি ইউনিটের দূরত্ব নিরসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে খুলনাতে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে পাঠিয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে তিনি খুলনায় পৌঁছান। পৌঁছেই নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও পরে শফিকুল আলম মনার সঙ্গে একান্তে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জানান।
সেখানে উপস্থিত বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেকোনো মূল্যে খুলনা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কেসিসি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী দেখতে চাইছেন। সে জন্য দলটির শীর্ষ নেতাদের যার যা করণীয় তাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনৈক্য থাকলে তৃণমূলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সে সুযোগটি ক্ষমতাসীনরা লুফে নেবে বলে খুলনার শীর্ষ নেতাদের সতর্ক করেছেন তিনি। যদিও এসব বিষয়ে খুলনা বিএনপির শীর্ষ নেতারা কেউ মুখ খুলছেন না। খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ‘দলের জন্য তো সারাজীবনই ছাড় দিয়েছি, এবারো দিলাম। অবশ্যই আমরা ‘ধানের শীষ’র পক্ষে ঐক্যবদ্ধ; কারণ প্রতীকটি শহীদ জিয়ার, প্রতীকটি কারারুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার। ‘ধানের শীষ’র ব্যাপারে কোনো ছাড় নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।’ তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে খুলনা বিএনপি আজ ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে কেসিসি ও গাজীপুরের নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এ জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আমাদের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা আমি খুলনার শীর্ষ নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তারা দলের বৃহত্তর স্বার্থে সব দ্বিধাবিভক্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের চ্যালেঞ্জ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে জেলা ও মহানগর বিএনপি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভা থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সভায় বলা হয়, ১৫ই মে কেসিসির আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে জনজোয়ার সৃষ্টি করা হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফলাফল বুঝে নেয়া হবে। যাতে কোনো ভোট ডাকাত, সন্ত্রাসী, পেশীশক্তি ও কালো টাকার মালিকরা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে।
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি এবং কেসিসি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেসিসির মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।
সভা থেকে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব প্রদান করা হয় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনাকে। এ ছাড়া কেসিসি নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এতে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজাকে আহ্বায়ক, আমীর এজাজ খানকে সদস্য সচিব এবং নগর ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আরো ১১টি উপ-কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নগর ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দূরত্ব বেশ বছর খানেকের পুরানো। পৃথক কর্মসূচি পালন ও মনোমালিন্য ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। সেটার প্রকাশ্যে রূপ নিলো কেসিসি নির্বাচনে। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান দলের মনোনয়ন চাইলেন, সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনাও। এ দু’জন গেল কেসিসি নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, পরে মনিরুজ্জামানকে প্রার্থী মনোনীত করে শফিকুল আলম মনাকে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট করে দলটির কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারকরা। ফলে এবারেও দাবি করে বসেন শফিকুল আলম মনা। একপর্যায়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম ও মনোনয়ন বোর্ড কাকতালীয়ভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকেই কেসিসির মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেন। ফলে তিন জন হয়ে যায় দলের প্রার্থী, প্রত্যেকেই মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন কেসিসি রিটার্নিং অফিসার থেকে। শেষমেশ বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট মনোনীত নজরুল ইসলাম মঞ্জু ব্যতীত মনিরুজ্জামান ও শফিকুল আলম মনা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তবে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েই যায় অভ্যন্তরে। সর্বশেষ গত ১৩ই এপ্রিল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় কেসিসি নির্বাচন পরিচালনায় ১১১ সদস্যের কমিটি গঠন ও নগর বিএনপির গঠিত বোর্ডে মনোনয়ন না পাওয়া দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হয়। এর আগে গত ১০ই এপ্রিল নগর বিএনপির অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় নির্বাচন পরিচালনায় ১০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এতে বিরোধ ও অনৈক্য প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ থাকায় নগর ও জেলা বিএনপির এ বিরোধের দীর্ঘসূত্রিতা পেয়েছে। এ দু’টি ইউনিটের দূরত্ব নিরসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে খুলনাতে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাকে পাঠিয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে তিনি খুলনায় পৌঁছান। পৌঁছেই নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও পরে শফিকুল আলম মনার সঙ্গে একান্তে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জানান।
সেখানে উপস্থিত বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেকোনো মূল্যে খুলনা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কেসিসি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী দেখতে চাইছেন। সে জন্য দলটির শীর্ষ নেতাদের যার যা করণীয় তাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনৈক্য থাকলে তৃণমূলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সে সুযোগটি ক্ষমতাসীনরা লুফে নেবে বলে খুলনার শীর্ষ নেতাদের সতর্ক করেছেন তিনি। যদিও এসব বিষয়ে খুলনা বিএনপির শীর্ষ নেতারা কেউ মুখ খুলছেন না। খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ‘দলের জন্য তো সারাজীবনই ছাড় দিয়েছি, এবারো দিলাম। অবশ্যই আমরা ‘ধানের শীষ’র পক্ষে ঐক্যবদ্ধ; কারণ প্রতীকটি শহীদ জিয়ার, প্রতীকটি কারারুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার। ‘ধানের শীষ’র ব্যাপারে কোনো ছাড় নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।’ তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে খুলনা বিএনপি আজ ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে কেসিসি ও গাজীপুরের নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এ জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আমাদের বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা আমি খুলনার শীর্ষ নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তারা দলের বৃহত্তর স্বার্থে সব দ্বিধাবিভক্তি ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।
এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের চ্যালেঞ্জ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে জেলা ও মহানগর বিএনপি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভা থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সভায় বলা হয়, ১৫ই মে কেসিসির আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে জনজোয়ার সৃষ্টি করা হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফলাফল বুঝে নেয়া হবে। যাতে কোনো ভোট ডাকাত, সন্ত্রাসী, পেশীশক্তি ও কালো টাকার মালিকরা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে না পারে।
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি এবং কেসিসি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেসিসির মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা। সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।
সভা থেকে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব প্রদান করা হয় জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনাকে। এ ছাড়া কেসিসি নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। এতে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজাকে আহ্বায়ক, আমীর এজাজ খানকে সদস্য সচিব এবং নগর ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আরো ১১টি উপ-কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
No comments