৮ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৯৭ হাজার কোটি টাকা
পণ্য
ও সেবা ক্ষেত্রে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আট
মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মোট বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ২০
লাখ ডলার বা ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে
বেশি বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০১০-১১ অর্থবছরে; ৯৯৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৩২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি এক হাজার ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার দাঁড়ায়। যা দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাস শেষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৫৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৯২ শতাংশের উপরে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি ডলার ৮৩ টাকা হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় যতটুকু বেশি, তার পার্থক্যই বাণিজ্য ঘাটতি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। আর এসব কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। তবে এই ঘাটতি মেটানো হয় রেমিট্যান্স ও বিদেশি বিনিয়োগ দিয়ে। এই খাতেও নিম্নগতি রয়েছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বা বিওপি) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের আমদানি যে হারে হয়েছে সেই হারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়েনি। এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্রুযারি শেষে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৪০৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৫৮২ কোটি ডলার। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি ডলার ৮৩ টাকা হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ ছাড়া আলোচিত সময়ে, আমদানি বেড়েছে ২৬.২২ শতাংশ হারে। অন্যদিকে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৮.০৬ শতাংশ। ফলে চলতি হিসাবে ঘাটতি বড় হয়েছে।বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছর জুড়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে বৈদেশিক দায় পরিশোধে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১৪৮ কোটি ডলার (-) ঋণাত্মক হয়। যা এখনো অব্যাহত রযেছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি শেষে ৬৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। আলোচিত সময়ে সেবাখাতে বিদেশিদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ২৮০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে আট মাসে সেবায় বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল (ঘাটতি) ২১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৩২ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি এক হাজার ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার দাঁড়ায়। যা দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাস শেষে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬০৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৫৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা ৯২ শতাংশের উপরে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি ডলার ৮৩ টাকা হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় যতটুকু বেশি, তার পার্থক্যই বাণিজ্য ঘাটতি। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনীয় যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। আর এসব কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। তবে এই ঘাটতি মেটানো হয় রেমিট্যান্স ও বিদেশি বিনিয়োগ দিয়ে। এই খাতেও নিম্নগতি রয়েছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বা বিওপি) ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের আমদানি যে হারে হয়েছে সেই হারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়েনি। এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্রুযারি শেষে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ৪০৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৫৮২ কোটি ডলার। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি ডলার ৮৩ টাকা হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ ছাড়া আলোচিত সময়ে, আমদানি বেড়েছে ২৬.২২ শতাংশ হারে। অন্যদিকে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৮.০৬ শতাংশ। ফলে চলতি হিসাবে ঘাটতি বড় হয়েছে।বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছর জুড়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে বৈদেশিক দায় পরিশোধে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১৪৮ কোটি ডলার (-) ঋণাত্মক হয়। যা এখনো অব্যাহত রযেছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি শেষে ৬৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। আলোচিত সময়ে সেবাখাতে বিদেশিদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ২৮০ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ হিসাবে আট মাসে সেবায় বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারে। যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল (ঘাটতি) ২১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
No comments