ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম রুট: অপ্রতুল বরাদ্দ, যাত্রীরা জড়াচ্ছেন বিতণ্ডায় by এম ইদ্রিস আলী
ঢাকা
ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের চাহিদা দ্বিগুণ-তিনগুণ বেড়েছে।
চাহিদার তুলনায় টিকিট দিতে না পারায় সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে স্টেশনে
কর্তব্যরত কাউন্টার ম্যানেজার ও স্টেশন মাস্টারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার
সৃষ্টি হচ্ছে। এই চিত্র এখন শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের নিত্যদিনকার ঘটনা।
পর্যটকের একটি অংশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিরাপদ বাহন মনে করে আন্তঃনগর
ট্রেনসমূহে যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিন, বিভিন্ন উৎসবে,
সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার স্টেশনের বরাদ্দকৃত টিকিটের কোটার চেয়ে
তিনগুণ টিকিটের চাহিদা বেড়ে যায়। তাছাড়া প্রতিবছরের নভেম্বর, ডিসেম্বর,
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে টিকিটের চাহিদা দ্বিগুণ থাকে। শ্রীমঙ্গল রেল
স্টেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে-৭১৮ নং আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ট্রেনে শোভন চেয়ার
ঢাকার দৈনিক কোটা ২৫টি। প্রথম শ্রেণি এসি ৬টি। শোভন ২০টি। মাসিক কোটা
৬৫০টি। অথচ শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের গত মার্চ মাসের টিকিট বিক্রির এক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ স্টেশনে মাসিক কোটার বিপরীতে ৬৫৩ টি টিকিট বিক্রি
হয়েছে। বিক্রির হার ১০১%। শোভন সিটে এ স্টেশনে দৈনিক কোটা আছে ২০টি। মাসিক
কোটা ৫২০টি। বিক্রি হয় ৭২৩ টি। বিক্রির হার ১৩৯%। এ ট্রেনে প্রথম সিট বা
কেবিনের দৈনিক কোটা আছে ৯টি। বিক্রির হার ২৩৩%। কালনী ট্রেনে প্রথম শ্রেণির
শ্রীমঙ্গল স্টেশনে দৈনিক কোটা ৬টি। শোভন চেয়ার ২০টি। শোভন ২৫টি। মাসিক
কোটা ১৫৬। বিক্রি শতভাগ। শোভন চেয়ারের দৈনিক কোটা ২০টি। মাসিক কোটা ৫২০টি।
বিক্রি শতভাগ। শোভন সিটের দৈনিক কোটা ২৫টি। মাসিক ৬৫০টি। বিক্রি ৮৩৭। হার
১২৯%। এ ট্রেনে এসি নেই। চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। ৭১০ নং পারাবত ট্রেনে দৈনিক
ঢাকার কোটা শোভন চেয়ার ৬০টি। এসি চেয়ার ৩০টি ও এসি কেবিন ১৫টি। মাসিক
১৬২০টি। বিক্রি হয় ১৯১৫টি। বিক্রির হার ১১৮%। কোটা নেই অথচ শায়েস্তাগঞ্জে
বিক্রি হয় ৮৬টি। নোয়াপাড়া স্টেশনে বিক্রি হয় ১৫৮টি। একই ভাবে আজমপুর
স্টেশনে বিক্রি হয় ৯৯টি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে দৈনিক কোটা ৫টি। মাসিক
কোটা ১৩৫। বিক্রি হয় ১৭৪টি। হার ১২৯%। ভৈরব স্টেশনে কোনও কোটা নেই অথচ
বিক্রি হয় ২২টি। ৭৪০ নং উপবন ট্রেনে ঢাকার দৈনিক কোটা চেয়ার ২০টি। শোভন
২৫টি। নন এসি প্রথম শ্রেণি চেয়ার ৬টি। স্লিপিং বার্থ ৬টি। সব মিলিয়ে মাসিক
কোটা ৯৩০টি। কিন্তু এর বিপরীতে বিক্রি হয় ১৪৫৬টি। টিকিট বিক্রির হার ১৫৭%।
শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামগামী ৭২০ নং পাহাড়িকা ট্রেনে চট্টগ্রামে দৈনিক
কোটা ৪০টি। মাসিক কোটা ১০৪০টি। বিক্রি হয় ১২৩৫টি। হার ১২৯%। এর মধ্যে শোভন
৩০টি। এসি ৪টি। প্রথম শ্রেণি নন এসি ৪টি। কুমিল্লা লাকসাম ১০টি। কুমিল্লা
স্টেশনের দৈনিক যাত্রী কোটা ১৩০। কিন্তু সেখানে বিক্রি হয় ২৯৭টি। বিক্রির
হার ২২৮%। কসবা স্টেশনে কোন কোটা নেই। অথচ এ স্টেশনে বিক্রি হয় ১০৯টি।
আখাউড়া স্টেশনে মাসিক কোটা ১৩০। বিক্রি হয় ৪২৭ টি। লাকসামে কোন কোটা নেই
অথচ বিক্রি হয় ৩৩৯টি। লাঙ্গলকোটে মাসিক কোটা ১৩০। বিক্রি হয় ২১৯। বিক্রির
হার ১৬৮%।
৭২৪ নং চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামে দৈনিক কোটা শোভন ৩০টি। মাসিক কোটা ৮১০। বিক্রি হয় ১১১৩। হার ১৩৭%। এ স্টেশন থেকে আখাউড়া স্টেশনে কোটা নেই অথচ বিক্রি হয় ৪৫টি। কুমিল্লা স্টেশনে মাসিক কোটা ১৩৫। বিক্রি ৩৫২। টিকিট বিক্রির হার ১৬১%। লাকসাম স্টেশনের মাসিক কোটা ১৩৫। বিক্রি ২৭৭। বিক্রির হার ২০৫%। এ ট্রেনে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার ও স্লিপিং বার্থ নেই।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন- ‘শ্রীমঙ্গল স্টেশনে যাত্রীদের টিকিট পাওয়ার সংখ্যা আর না পাওয়ার সংখ্যা প্রায় সমান। এক্ষেত্রে যারা টিকিট পান না তারা আমাদের গালাগাল দিচ্ছে বাক-বিতণ্ডা হচ্ছে। না পেয়ে ক্ষোভে কেউ বলছে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে। স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আরও বলেন- ‘এসব ট্রেনে এসি চেয়ার, কেবিনসহ অন্যান্য সিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যাত্রীদের দাবি অনুযায়ী বৃহস্পতি, শুক্র, শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে যদি ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন হতো তাহলে সাধারণ যাত্রী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলে স্বাচ্ছন্দ্যে রেলভ্রমণ করতে পারতেন। অন্যদিকে রেলের সুনাম বৃদ্ধিসহ আয় বাড়ার পাশাপাশি যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হতো’।
৭২৪ নং চট্টগ্রামগামী উদয়ন ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে চট্টগ্রামে দৈনিক কোটা শোভন ৩০টি। মাসিক কোটা ৮১০। বিক্রি হয় ১১১৩। হার ১৩৭%। এ স্টেশন থেকে আখাউড়া স্টেশনে কোটা নেই অথচ বিক্রি হয় ৪৫টি। কুমিল্লা স্টেশনে মাসিক কোটা ১৩৫। বিক্রি ৩৫২। টিকিট বিক্রির হার ১৬১%। লাকসাম স্টেশনের মাসিক কোটা ১৩৫। বিক্রি ২৭৭। বিক্রির হার ২০৫%। এ ট্রেনে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার ও স্লিপিং বার্থ নেই।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের মাস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক মানবজমিনকে বলেন- ‘শ্রীমঙ্গল স্টেশনে যাত্রীদের টিকিট পাওয়ার সংখ্যা আর না পাওয়ার সংখ্যা প্রায় সমান। এক্ষেত্রে যারা টিকিট পান না তারা আমাদের গালাগাল দিচ্ছে বাক-বিতণ্ডা হচ্ছে। না পেয়ে ক্ষোভে কেউ বলছে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে। স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আরও বলেন- ‘এসব ট্রেনে এসি চেয়ার, কেবিনসহ অন্যান্য সিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যাত্রীদের দাবি অনুযায়ী বৃহস্পতি, শুক্র, শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনে যদি ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন হতো তাহলে সাধারণ যাত্রী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলে স্বাচ্ছন্দ্যে রেলভ্রমণ করতে পারতেন। অন্যদিকে রেলের সুনাম বৃদ্ধিসহ আয় বাড়ার পাশাপাশি যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হতো’।
No comments