কোটা বাতিল প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি নেই by দীন ইসলাম
সরকারি
চাকরিতে কোটা বাতিল করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে
প্রশ্নোত্তর-পর্বে গত ১১ই এপ্রিল এ ঘোষণা দেন। বলেন, সরকারি চাকরিতে আর
কোটা রাখারই দরকার নেই। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের অন্যভাবে
চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এর পাঁচ দিন পর এখন পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা
বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারির কোনো অগ্রগতি নেই। এছাড়া কোটা সংস্কার খতিয়ে দেখতে এ
সংক্রান্ত কমিটি গঠনের আলোচনা হলেও তা এখনো দৃশ্যমান হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটা সংস্কার বা বাতিল নিয়ে কাজ করার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয়টির সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ফাইলটি উঠানোর কথা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিলে কাজ শুরু করবেন তারা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ই এপ্রিল মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোটা সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, কোটা সংস্কার নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এরপর কোটা সংস্কারকারীদের আন্দোলন অন্যদিকে রূপ নেয়। যার কারণে কমিটি গঠন থেমে যায়। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, কোটা সংস্কারের কমিটি এখনো গঠিত হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতিও নেই। এর আগে গত ৮ই এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সারা দেশের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার কারণে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সারা দেশেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন তীব্রতা পেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সচিবালয়ের দপ্তরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সভা করে সরকার পক্ষ। ওই সভার সিদ্ধান্ত মানতে অপারগতা জানায় আন্দোলনকারীদের এক পক্ষ। এরপর সারা দেশে আন্দোলন তীব্রতা পায়। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। একই দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। ওই সময় জানতে চাওয়া হয় প্রজ্ঞাপন কবে নাগাদ হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন যথাসময়েই হবে। সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেলেই এই বিষয়ে বলা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার পর দিন কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
এদিকে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে সফরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। আট দিনের সফর শেষে ২৩শে এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। এটা অনেকটা নিশ্চিত। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। আর বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটা সংস্কার বা বাতিল নিয়ে কাজ করার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয়টির সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ফাইলটি উঠানোর কথা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিলে কাজ শুরু করবেন তারা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ই এপ্রিল মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোটা সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, কোটা সংস্কার নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এরপর কোটা সংস্কারকারীদের আন্দোলন অন্যদিকে রূপ নেয়। যার কারণে কমিটি গঠন থেমে যায়। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, কোটা সংস্কারের কমিটি এখনো গঠিত হয়নি। এ বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতিও নেই। এর আগে গত ৮ই এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সারা দেশের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার কারণে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সারা দেশেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন তীব্রতা পেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সচিবালয়ের দপ্তরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সভা করে সরকার পক্ষ। ওই সভার সিদ্ধান্ত মানতে অপারগতা জানায় আন্দোলনকারীদের এক পক্ষ। এরপর সারা দেশে আন্দোলন তীব্রতা পায়। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। একই দিনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। ওই সময় জানতে চাওয়া হয় প্রজ্ঞাপন কবে নাগাদ হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন যথাসময়েই হবে। সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেলেই এই বিষয়ে বলা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার পর দিন কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
এদিকে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে সফরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। আট দিনের সফর শেষে ২৩শে এপ্রিল তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। এটা অনেকটা নিশ্চিত। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। আর বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ হয়।
No comments