ঘটনাচক্রেই ধরা পড়ে অ্যান ফ্রাঙ্করা?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় আমস্টারডামে আশ্রয় নেওয়া ইহুদি বালিকা অ্যান ফ্রাঙ্ককে কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে নাৎসি বাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেয়নি। সম্ভবত রেশন প্রতারণা নিয়ে পুলিশি তল্লাশির সময় ঘটনাচক্রেই ধরা পড়ে যান বিশ্বযুদ্ধের সময়কার দিনলিপির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাওয়া কিশোরী অ্যান ফ্রাঙ্কদের পরিবারসহ আট ইহুদি। নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের অ্যান ফ্রাঙ্ক হাউস মিউজিয়াম একটি গবেষণা শেষে এমন একটি তত্ত্ব দিয়েছে। গবেষকেরা বলেছেন, প্রিনসেনগ্রাখটের গোপন আশ্রয় থেকে ধরে নিয়ে অ্যান ফ্রাঙ্কদেরকে অশউইৎজ ডেথ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা বলেছেন, বরাবরই যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খেয়েছে, সেটি হলো অ্যান ফ্রাঙ্ক ও অন্যদের পালিয়ে থাকা কুঠুরির খবর কে বিশ্বাসঘাতকতা করে নাৎসি বাহিনীর কাছে জানিয়ে দিয়েছিল?
এখন ওই গবেষকেরা বলেছেন, ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ থেকে পরের কয়েক দিন ধরে ডায়েরিতে অ্যান ফ্রাঙ্ক তাদের কাছে গোপনে রেশন কুপন সরবরাহ করতেন এমন দুই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের কথা বেশ কয়েকবার লিখেছে। প্রিনসেনগ্রাখটের যে বাসায় অ্যান ফ্রাঙ্করা লুকিয়ে ছিল, সেখানে গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ১৪ মার্চ অ্যান তার ডায়েরিতে লেখে, ‘বি (মার্টিন ব্রুভার) এবং ডি (পিটার ডাটজিলার) গ্রেপ্তার হয়েছে। তাই আমরা আর কুপনও পাচ্ছি না।’ ডেথ ক্যাম্পে বন্দী থাকা অবস্থায় অ্যান ফ্রাঙ্ক টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার বয়স তখন মাত্র ১৫। যে আটজন ইহুদিকে ওই কুঠুরি থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একমাত্র অ্যানের বাবা অটো ফ্রাঙ্ক জীবিত অবস্থায় ফিরতে পেরেছিলেন। অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরিতে হিটলারের কুখ্যাত নাৎসি বাহিনী অধিকৃত নেদারল্যান্ডসে ইহুদিদের ওপর নির্যাতনের মর্মস্পর্শী বর্ণনা রয়েছে।
এখন ওই গবেষকেরা বলেছেন, ১৯৪৪ সালের ১০ মার্চ থেকে পরের কয়েক দিন ধরে ডায়েরিতে অ্যান ফ্রাঙ্ক তাদের কাছে গোপনে রেশন কুপন সরবরাহ করতেন এমন দুই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের কথা বেশ কয়েকবার লিখেছে। প্রিনসেনগ্রাখটের যে বাসায় অ্যান ফ্রাঙ্করা লুকিয়ে ছিল, সেখানে গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ১৪ মার্চ অ্যান তার ডায়েরিতে লেখে, ‘বি (মার্টিন ব্রুভার) এবং ডি (পিটার ডাটজিলার) গ্রেপ্তার হয়েছে। তাই আমরা আর কুপনও পাচ্ছি না।’ ডেথ ক্যাম্পে বন্দী থাকা অবস্থায় অ্যান ফ্রাঙ্ক টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার বয়স তখন মাত্র ১৫। যে আটজন ইহুদিকে ওই কুঠুরি থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একমাত্র অ্যানের বাবা অটো ফ্রাঙ্ক জীবিত অবস্থায় ফিরতে পেরেছিলেন। অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরিতে হিটলারের কুখ্যাত নাৎসি বাহিনী অধিকৃত নেদারল্যান্ডসে ইহুদিদের ওপর নির্যাতনের মর্মস্পর্শী বর্ণনা রয়েছে।
No comments