আইএসবিরোধী অভিযানে যাচ্ছে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ
মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা করতে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবহরের যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডেয়ারিং পাঠানো হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেছেন, আগামী শুক্রবার জাহাজটি নৌঘাঁটি পোর্টসমাউথ ত্যাগ করবে। মার্কিন বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান আক্রমণ পরিচালনা করছে। যুক্তরাজ্যের এই যুদ্ধজাহাজ সেখানে থাকা মার্কিন বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজকে সহায়তা দেবে। মার্কিন রণতরি থেকেই বিমানগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়ে আক্রমণ চালায়। এর আগে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবহরের জাহাজ এইচএমএস ডিফেন্ডারকে গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যে ফেরত আনা হয়। একই ধরনের দ্য টাইপ ৪৫ যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডেয়ারিংয়ের ক্রুর সংখ্যা ১৯০। এই জাহাজ ব্যস্ত নৌপথেও নজরদারি করবে। সেখান থেকে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষকে তথ্য সহায়তা দেবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেন, আইএসকে পরাজিত করতে নৌ, বিমান ও পদাতিক বাহিনীর সদস্যরা সমানতালে লড়ে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ যুদ্ধবিমানগুলো আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে নিয়মিত বোমা হামলা চালাচ্ছে। ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইরাকি বাহিনীকে বিস্ফোরক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আর নৌবাহিনী আইএসবিরোধী জোটের বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেবে। এইচএমএস ডেয়ারিং যুদ্ধজাহাজ সি ভাইপার ক্ষেপণাস্ত্রবাহী। পুরো নৌবহরকে বিমান হামলা থেকে রক্ষার জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। ৭৫ মাইল দূর থেকে এটি হুমকি মোকাবিলা করতে সক্ষম। টাইপ ৪৫ ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবহরের সর্বাধুনিক যুদ্ধজাহাজ হলেও এ বছরের শুরুতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ষষ্ঠ নৌবহরের এ ধরনের জাহাজে নতুন ইঞ্জিন সংযোজন করতে হবে। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল স্যার ফিলিপ জোনস গত জুলাইয়ে হাউস অব কমন্স কমিটিকে বলেন, উপসাগরের অত্যন্ত উষ্ণ পানিতে ভেসে এর গ্যাসচালিত ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ নৌবাহিনী মনে করছে, এ ধরনের জাহাজ ‘সব জায়গায় বছরের সব সময় থাকতে সক্ষম নয়।’ এর আগে পাঠানো এইচএমএস ডিফেন্ডারের মতোই ভূমিকা পালন করবে এবার পাঠানো এইচএমএস ডেয়ারিং। এইচএমএস ডিফেন্ডার নয় মাস মধ্যপ্রাচ্যে ছিল। সেখানে তারা আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন ও ফরাসি বিমান হামলায় সহায়তা দেয়। গত জুন মাসে মাদক ও জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় এইচএমএস ডিফেন্ডার ওমানের দক্ষিণ উপকূলে একটি সন্দেহভাজন মাছ ধরার নৌযান আটক করে।
No comments