সাত মাসেই ৩৬৪ বই পড়া শেষ শিশুটির!
নয় বছর বয়সী মেয়েটির নাম ফেইথ জ্যাকসন। সমবয়সী অন্যদের মতো সে টেলিভিশন বা কম্পিউটার গেমসে মোটেই আসক্ত নয়। বইয়ের পাতায় লুকানো স্বপ্নরাজ্যে মগ্ন থাকাই বেশি পছন্দ তার। পড়ার প্রতি ভালোবাসা রীতিমতো প্রমাণ করে দেখিয়েছে সে—মাত্র সাত মাসেই পড়ে ফেলেছে ৩৬৪টি বই। রোয়াল্ড ডালের যেকোনো লেখা বা হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলো ভীষণ পছন্দ ফেইথের। জন্তু-জানোয়ার, জাদুকরি ঘটনাবলির সমাহার আর দুঃসাহসী অভিযাত্রার গল্প ভালোবাসে সে। বিপুল পরিমাণ বই পড়ে ফেলার স্বীকৃতির সনদ সে পেয়েছে হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন বইয়ের লেখক ক্রেসিডা কাওয়েলের কাছ থেকে। যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের অ্যাশলে এলাকার বাসিন্দা ফেইথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রেরণায় দুই বছর আগে বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়।
ফেইথের মা ৩৫ বছর বয়সী লরেন বলেন, তার সন্তানের কাছে বই পড়ার আকর্ষণ টেলিভিশন বা কম্পিউটারের মতোই উদ্দীপক। তবে পড়ার সময় কল্পনার রাজ্যে বিচরণের যে সুযোগ রয়েছে, সেটা শুধু যন্ত্রের পর্দায় চোখ আটকে থাকলে পাওয়া যায় না। যন্ত্রনির্ভর বিনোদনব্যবস্থার সমালোচনা করে ফেইথ বলে, বই পড়ার পরিবর্তে অনেক শিশু এসব মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে। বিষয়টি লজ্জাজনক। তবে তার জীবন শুধু বইয়ের ওপর নির্ভরশীল নয়। সে প্রতি সপ্তাহে চার ঘণ্টা ব্যায়াম করে কাটায়, কারাতের ক্লাসে যায়, খেলাধুলা করে। আর এখন সে ড্রামস বাজানোও শিখছে। টেলিভিশনে উদ্ভট জিনিসপত্র দেখার চেয়ে গাছে চড়া ও সাইকেল চালাতেই বরং বেশি মজা পায় সে। লেখক ক্রেসিডা বলেন, আনন্দের জন্য পাঠাভ্যাস একটি শিশুর শিক্ষাজীবনে সাফল্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সব শিশুই ফেইথের মতো পড়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পেলে সেটা জাতির জন্য ইতিবাচক হবে। ডেইলি এক্সপ্রেস।
No comments