দুই নেত্রীর বিরোধ আরো তীব্র হবে -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট
বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে দেয়ায় আরো শক্তিশালী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বিরোধী
পক্ষ, বিশেষত খালেদা জিয়ার মধ্যে বহুল আলোচিত যে বিরোধ (ইনফেমাস রাইভালরি)
বিদ্যমান তা আরো তীব্র হবে। অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এসব কথা লিখেছেন
সাংবাদিক জ্যোতি মালহোত্রা। এতে তিনি লিখেছেন, শুক্রবার সকালে কারাবন্দি
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তার আত্মীয়রা। তখন তাদেরকে তিনি
বলেছেন, ‘আমি ফিরে আসবো। কান্নাকাটি করো না।
উদ্বিগ্ন হয়ো না। শক্ত হও’। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার দুর্নীতি বিরোধী আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির প্রধানকে ৫ বছরের জেল দিয়েছে। একই মামলায় তার ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে, মা ও ছেলে মিলে ওই ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ টাকা বিদেশ থেকে অনুদান হিসেবে এসেছিল। কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, ওই অনুদানের অর্থ আসার আগে তিনি ওই ট্রাস্টটি গঠন করেছেন।
আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু খালেদা জিয়াকে জেল দেয়ায় ওই নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নাও দেয়া হতে পারে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধে লিপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদার মধ্যে বিরোধ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্যোতি মালহোত্রা আরো লিখেছেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় বিএনপি। এতে শেখ হাসিনা পাঁচ বছর দেশ শাসনের অনুমোদন পান। কিন্তু এবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সবদিক থেকে প্রস্তুত বিএনপি। বিশ্বাস করা হয় যে, শেখ হাসিনার পড়ন্ত জনপ্রিয়তার সুবাদে তারা সুযোগ আদায় করবে।
প্রকৃতপক্ষে ঢাকায় কানেকানে, কখনো প্রকাশ্যে একটি কানকথা শোনা যায়। তা হলো- যদি আজই বাংলাদেশে নির্বাচন হয় তাহলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে পরাজিত হবে। তবে দলের প্রধানকে জেলে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমনটা মনে হয় না। খালেদা জিয়ার দলের নাম্বার টু হলেন বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ভদ্র, অমায়িক ব্যক্তি। খালেদা জিয়ার জেল হতে পারে বিএনপির জন্য অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার একটি যথার্থ সুযোগ হিসেবে। এখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন একটি অধ্যায়ের।
কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই তেমনটা ঘটবে বলে মনে হয় না। দক্ষিণ এশিয়ায় পারিবারিক রাজনীতি সুপরিচিত। তাই বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে এমন আত্মঘাতে লাগার মতো বিষয়ের কোনো উদাহরণ নেই। এ দল দুটি পরিচালনা করেন দুই নারী।
খালেদাকে শাস্তি দেয়ার দিন সকালে কয়েক ঘণ্টা আগে কর্তৃপক্ষ কার্যত ঢাকা শহরকে অচল করে রেখেছিল। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। স্কুলগুলোতে ছুটি ছিল। সরকারি ও বেসরকারি পরিবহন খাতেরও একই অবস্থা। সহিংসতার আশঙ্কায় সড়কে সড়কে টহল দিয়েছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী।
এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, ওইদিন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে নতুন একটি ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন করেছেন। তার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। তা হলো ‘শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট’।
জ্যোতি মালহোত্রা আরো লিখেছেন, শেখ হাসিনার হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতার জন্য হতাশ মানুষ। খালেদা জিয়ার ক্ষমতার সময়ে একই রকম ভাবতো মানুষ। তারা মনে করতেন একই রকম ক্ষমতা ভোগ করেছেন তার ছেলে তারেক রহমান। তারা মনে করেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন, যখন তার মা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে নির্বাসনে রয়েছেন।
আগামীতে যদি আরো পাঁচ বছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনুপস্থিত থাকে বিএনপি তাতে শুধু দলই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন নয়, একই সঙ্গে তাদের আদর্শিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী পঙ্গু হয়ে যাবে। এর ফলে শেখ হাসিনা আরো শক্তিশালী ও অধিক ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন, যেমনটা হয়েছিলেন তার আদর্শ ইন্দিরা গান্ধী।
উদ্বিগ্ন হয়ো না। শক্ত হও’। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার দুর্নীতি বিরোধী আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির প্রধানকে ৫ বছরের জেল দিয়েছে। একই মামলায় তার ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে, মা ও ছেলে মিলে ওই ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ টাকা বিদেশ থেকে অনুদান হিসেবে এসেছিল। কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, ওই অনুদানের অর্থ আসার আগে তিনি ওই ট্রাস্টটি গঠন করেছেন।
আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু খালেদা জিয়াকে জেল দেয়ায় ওই নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নাও দেয়া হতে পারে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধে লিপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদার মধ্যে বিরোধ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জ্যোতি মালহোত্রা আরো লিখেছেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায় বিএনপি। এতে শেখ হাসিনা পাঁচ বছর দেশ শাসনের অনুমোদন পান। কিন্তু এবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সবদিক থেকে প্রস্তুত বিএনপি। বিশ্বাস করা হয় যে, শেখ হাসিনার পড়ন্ত জনপ্রিয়তার সুবাদে তারা সুযোগ আদায় করবে।
প্রকৃতপক্ষে ঢাকায় কানেকানে, কখনো প্রকাশ্যে একটি কানকথা শোনা যায়। তা হলো- যদি আজই বাংলাদেশে নির্বাচন হয় তাহলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচনে পরাজিত হবে। তবে দলের প্রধানকে জেলে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমনটা মনে হয় না। খালেদা জিয়ার দলের নাম্বার টু হলেন বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ভদ্র, অমায়িক ব্যক্তি। খালেদা জিয়ার জেল হতে পারে বিএনপির জন্য অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার একটি যথার্থ সুযোগ হিসেবে। এখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন একটি অধ্যায়ের।
কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই তেমনটা ঘটবে বলে মনে হয় না। দক্ষিণ এশিয়ায় পারিবারিক রাজনীতি সুপরিচিত। তাই বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে এমন আত্মঘাতে লাগার মতো বিষয়ের কোনো উদাহরণ নেই। এ দল দুটি পরিচালনা করেন দুই নারী।
খালেদাকে শাস্তি দেয়ার দিন সকালে কয়েক ঘণ্টা আগে কর্তৃপক্ষ কার্যত ঢাকা শহরকে অচল করে রেখেছিল। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। স্কুলগুলোতে ছুটি ছিল। সরকারি ও বেসরকারি পরিবহন খাতেরও একই অবস্থা। সহিংসতার আশঙ্কায় সড়কে সড়কে টহল দিয়েছে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী।
এটা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয় যে, ওইদিন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে নতুন একটি ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন করেছেন। তার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। তা হলো ‘শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট’।
জ্যোতি মালহোত্রা আরো লিখেছেন, শেখ হাসিনার হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতার জন্য হতাশ মানুষ। খালেদা জিয়ার ক্ষমতার সময়ে একই রকম ভাবতো মানুষ। তারা মনে করতেন একই রকম ক্ষমতা ভোগ করেছেন তার ছেলে তারেক রহমান। তারা মনে করেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন, যখন তার মা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে নির্বাসনে রয়েছেন।
আগামীতে যদি আরো পাঁচ বছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনুপস্থিত থাকে বিএনপি তাতে শুধু দলই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন নয়, একই সঙ্গে তাদের আদর্শিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী পঙ্গু হয়ে যাবে। এর ফলে শেখ হাসিনা আরো শক্তিশালী ও অধিক ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন, যেমনটা হয়েছিলেন তার আদর্শ ইন্দিরা গান্ধী।
No comments