১০ মিনিটে মঙ্গল ভ্রমণ!
বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে চাঁদের বুকে হেঁটেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারী বাজ অলড্রিন। তিনি এবার প্রযুক্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মঙ্গল গ্রহ ভ্রমণের অনুভূতি এনে দেবেন। এ জন্য ‘ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটির’ চলচ্চিত্র বানিয়েছেন অলড্রিন। বাজ অলড্রিনের ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি চলচ্চিত্রের নাম সাইক্লিং পাথওয়েজ টু মার্স। ব্যাপ্তিকাল ১০ মিনিটের কম। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ রহস্যময় লাল গ্রহটিতে হাঁটার স্বাদ পাবেন। অলড্রিনের বিশ্বাস, চলচ্চিত্রটি মহাকাশচারীদের মতোই অনেকখানি বাস্তব অনুভূতি এনে দেবে এর দর্শকদের। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে যন্ত্রের মাধ্যমে কাল্পনিক জগতের ‘বাস্তব স্বাদ’ মেলে। বিশেষ হেডসেটের মাধ্যমে এমন এক দুনিয়ায় চলে যাবেন যেখানে আপনি বাস্তবে নেই, কিন্তু মনে হবে আছেন।
যন্ত্রের বদৌলতে দৃশ্য এবং শব্দকে একেবারে বাস্তব মনে হবে। বিখ্যাত নভোচারী অলড্রিনের চলচ্চিত্রটির কাহিনিটা এমন: ছয় মাসের যাত্রায় পৃথিবী থেকে মঙ্গলে যাওয়া হবে। পথে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদকে ‘বিরতিস্থল’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রতিষ্ঠান এইট আই এবং টাইমের যৌথ উদ্যোগে এই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে মানুষ মঙ্গলের মাটিতে উপনিবেশ কেমন হবে তার স্বাদ পাবে। বিবিসিকে বাজ অলড্রিন বলেন, এই চলচ্চিত্র বিভিন্ন দেশকে মঙ্গলে অভিযানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে উৎসাহিত করবে। মঙ্গল ভ্রমণ একক দেশ বা মানুষকে দিয়ে সম্ভব নয়। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেক দেশকে বড় ধরনের বাজেট নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
No comments