বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি, লাভ দু’দেশেরই
বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি বিল পাস হওয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তার উন্নতি হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ট্রানজিট সড়ক নির্মাণের পথ খুলে যাবে। বাঁচবে প্রচুর সময়। সীমান্ত চুক্তি নিয়ে গতকাল ভারতের ইকোনমিক টাইমস তার সম্পাদকীয়তে এসব কথা লিখেছে। এ ছাড়া একই দিন একই বিষয়ের ওপর সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে ডিএনএ ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এসব সম্পাদকীয়তে চুক্তিকে ইতিবাচক অর্থে দেখে এটাকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করা হয়। ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি এগিয়ে নেবার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। মাত্র ৪০ বর্গকিলোমিটার ভূমি হারানোর মধ্যে নির্দিষ্ট লাভ হবে অনেক। এর আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা বৃদ্ধিও সম্ভব হবে চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে। আরও ভালভাবে সীমানা চিহ্নিত করার ফলে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকানো সম্ভব হবে। ভারত-বাংলাদেশ সমপর্কের অস্বস্তিকর অবস্থার মীমাংসা হবে এর মাধ্যমে। এতে আরও লেখা হয়েছে, আসামকে এ চুক্তির আওতা থেকে বাদ না দেয়ার সিদ্ধান্ত আরেকটি বিলম্বের হাত থেকে প্রশাসনকে বাঁচিয়ে দিলো। কেননা, কংগ্রেস জানিয়েছিল, কাটছাঁট করা চুক্তি তারা মেনে নেবে না। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এর ফলে সম্ভাব্য আরেকটি বিব্রতকর কূটনৈতিক অবস্থা এড়ানো গেছে। বিশেষ করে, যখন এ প্রশাসনের অন্যতম সফলতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বৈদেশিক নীতি, সেখানে বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কাটছাঁট করা বিল বাংলাদেশের কাছেও সন্তোষজনক হতো না। প্রথম থেকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দেয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য এটি হতো পিছিয়ে পড়ার শামিল। স্থানীয় বিজেপি শাখার কাছ থেকে চুক্তিতে আসামের অঞ্চলকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে দাবি এসেছিল। দেশের স্বার্থের আগে দলের স্বার্থ প্রাধান্য দিলে তা মোদি সরকারের আন্তর্জাতিক অবস্থানের মর্যাদাহানি করতো। অথচ ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া সীমান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া সমপন্ন করার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রীদের বাদ দেয়ার বিপদ মোদি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। তিনি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট স্বার্থ ও স্থানীয় রাজনৈতিক লাভের ওপরে দেশের সার্থকে স্থান দিয়েছেন। এটিও স্বাগত জানাই। এটি বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের পরিচায়ক। ওদিকে ডিএনএ’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বাংলাদেশে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। ভারতে রয়েছে বাংলাদেশের ৭০টি ছিটমহল। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে অবশেষে এ দ্রুত সমস্যাটির সমাধানের কাজ শুরু করে। এ সমস্যা কেবল ভূমি বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সেখানকার বাসিন্দাদেরও পুনর্বাসন করতে হবে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে ভূমির অদলবদল সবসময়ই জটিল বিষয়। বিরোধী দলে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়টিকে জাতীয় গৌরব, অখণ্ডতা ও স্বার্বভৌমত্বের বিষয়ে পরিণত করে ফেলে। অনেক বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ছিটমহলের বিষয়টিকে সমাধানের পথে নিয়ে যায়নি। এ বিষয়টি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে পৌঁছতে অস্বাভাবিক দেরি হবার অন্যতম মূল কারণ এটি। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সমাধানের পথে এগোয়। এর ফলে ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী দলগুলো নীরব হয়ে যাবে। অন্যথায় সে দলগুলো এ সমাধান চেষ্টাকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করতো।
ছিটমহল বিনিময়ের ভেতরেই লুকায়িত রয়েছে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য। ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজ দেশের আনুষ্ঠানিক নাগরিকত্ব পাননি, মৌলিক সেবাও তারা পান সীমিত আকারে। উভয় দেশের সকল ছিটমহলে বসবাস করা মোট মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ। ১৯৫০-এর দশকের শুরুর পর ছিটমহলের জনসংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করা হয়নি। ছিটমহলগুলো সৃষ্টির ৬০ বছর পরও সেগুলোর অব্যাহত অস্তিত্ব প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপরেই আঞ্চলিক অখণ্ডতার স্থান। ছিটমহলের মানুষ যেভাবে বসবাস করে, সে ভয়াবহ অবস্থার কথা চিন্তা করুন। বেশির ভাগ ছিটমহলে সরকারের ছিটেফোঁটাও নেই। কিছু বড় ছিটমহল নিজেদের স্থানীয় পরিষদ গঠন করেছে যাতে করে মৌলিক প্রশাসনিক কাজ সারা যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, আগামী জুনে ঢাকা সফরের আগে এ চুক্তি অনুমোদন করতে আগ্রহী মোদি এবং তিনি তা করিয়েছেনও। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমপর্ক জোরদারে তার আগ্রহও এ সমস্যা সমাধানে তার ইচ্ছার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সমপর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার ভূমিকা সমপর্কেও তিনি সচেতন। হাসিনা সব ক্ষেত্রেই ভারতের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শন করে আসছেন। সুতরাং, ভারত যে সম-প্রতিদানে বিশ্বাসী, সেটি প্রমাণেরও বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ চুক্তির অনুমোদন। ছিটমহলের বাসিন্দাদের সমস্যা দুই দেশের সমপর্কে এক অস্বস্তিকর বিষয়। এ সমস্ত ছিটমহলে বসবাসকারী মোট মানুষজনের সংখ্যা ১ লাখেরও কম।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রীদের বাদ দেয়ার বিপদ মোদি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এ বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। তিনি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছোট স্বার্থ ও স্থানীয় রাজনৈতিক লাভের ওপরে দেশের সার্থকে স্থান দিয়েছেন। এটিও স্বাগত জানাই। এটি বুদ্ধিমত্তা ও সাহসের পরিচায়ক। ওদিকে ডিএনএ’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বাংলাদেশে ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে। ভারতে রয়েছে বাংলাদেশের ৭০টি ছিটমহল। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে অবশেষে এ দ্রুত সমস্যাটির সমাধানের কাজ শুরু করে। এ সমস্যা কেবল ভূমি বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সেখানকার বাসিন্দাদেরও পুনর্বাসন করতে হবে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে ভূমির অদলবদল সবসময়ই জটিল বিষয়। বিরোধী দলে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়টিকে জাতীয় গৌরব, অখণ্ডতা ও স্বার্বভৌমত্বের বিষয়ে পরিণত করে ফেলে। অনেক বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো ছিটমহলের বিষয়টিকে সমাধানের পথে নিয়ে যায়নি। এ বিষয়টি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে পৌঁছতে অস্বাভাবিক দেরি হবার অন্যতম মূল কারণ এটি। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সমাধানের পথে এগোয়। এর ফলে ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী দলগুলো নীরব হয়ে যাবে। অন্যথায় সে দলগুলো এ সমাধান চেষ্টাকে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করতো।
ছিটমহল বিনিময়ের ভেতরেই লুকায়িত রয়েছে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য। ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজ দেশের আনুষ্ঠানিক নাগরিকত্ব পাননি, মৌলিক সেবাও তারা পান সীমিত আকারে। উভয় দেশের সকল ছিটমহলে বসবাস করা মোট মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ। ১৯৫০-এর দশকের শুরুর পর ছিটমহলের জনসংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করা হয়নি। ছিটমহলগুলো সৃষ্টির ৬০ বছর পরও সেগুলোর অব্যাহত অস্তিত্ব প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপরেই আঞ্চলিক অখণ্ডতার স্থান। ছিটমহলের মানুষ যেভাবে বসবাস করে, সে ভয়াবহ অবস্থার কথা চিন্তা করুন। বেশির ভাগ ছিটমহলে সরকারের ছিটেফোঁটাও নেই। কিছু বড় ছিটমহল নিজেদের স্থানীয় পরিষদ গঠন করেছে যাতে করে মৌলিক প্রশাসনিক কাজ সারা যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, আগামী জুনে ঢাকা সফরের আগে এ চুক্তি অনুমোদন করতে আগ্রহী মোদি এবং তিনি তা করিয়েছেনও। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমপর্ক জোরদারে তার আগ্রহও এ সমস্যা সমাধানে তার ইচ্ছার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সমপর্ক বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার ভূমিকা সমপর্কেও তিনি সচেতন। হাসিনা সব ক্ষেত্রেই ভারতের সঙ্গে সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শন করে আসছেন। সুতরাং, ভারত যে সম-প্রতিদানে বিশ্বাসী, সেটি প্রমাণেরও বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এ চুক্তির অনুমোদন। ছিটমহলের বাসিন্দাদের সমস্যা দুই দেশের সমপর্কে এক অস্বস্তিকর বিষয়। এ সমস্ত ছিটমহলে বসবাসকারী মোট মানুষজনের সংখ্যা ১ লাখেরও কম।
No comments