ভারতে জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধ হলে বহু রোগী মারা যাবে
ভারত এইডসের চিকিৎসায় ব্যবহূত স্বল্পমূল্যের জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করে দিলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। এইডসবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইডস গত মঙ্গলবার এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ভারতের মধ্যে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইউএনএইডসের এ হুঁশিয়ারি এলো। বিশেষ এ বাণিজ্য চুক্তিটি সম্পাদিত হলে ভারতে স্বল্পব্যয়ে এইডস চিকিৎসায় ব্যবহূত অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ওষুধ উৎপাদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে। এইডসের জন্য দায়ী এইচআইভি জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত-ইইউ ওই চুক্তি হলে বিশ্বব্যাপী বহু দরিদ্র মানুষ কম দামে এইডস উপশমের ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ পাবে না।
জেনেরিক ওষুধ সাধারণত কোনো ব্র্যান্ড নাম ছাড়া বিক্রি হয়। এ ধরনের ওষুধের কোনো একক প্যাটেন্ট না থাকায় বিভিন্ন উৎপাদনকারীর মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে দাম বেশ কম হয়।
ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক মিশেল সিদিবে বলেন, ‘ভারতের উচিত, ওই বিশেষ সুযোগটি বাতিলে রাজি না হওয়া। কারণ, ভারত এসব ওষুধ উৎপাদন করতে না পারলে পুরো বিশ্বের জন্য তা হবে ভয়াবহ একটি ব্যাপার।’ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদিবে জানান, ভারতের স্বল্পমূল্যের ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আফ্রিকা। সারা বিশ্বে এইডসের চিকিৎসা গ্রহণকারী ৮৬ শতাংশ মানুষই ভারতে উৎপাদিত ওষুধ গ্রহণ করে থাকে।
সিদিবে বলেন, বাণিজ্য চুক্তিটি হলে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অর্জিত সাফল্য ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা সহজপ্রাপ্য করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি। আমার মতে, এ চুক্তিটি হবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুযোগের পুনর্বণ্টনে আমাদের অর্জিত সফলতা ধ্বংসের সূচনা।’ জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়, এমন কোনো চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে ভারতের প্রতি আফ্রিকার নেতারাও আহ্বান জানিয়ে আসছেন বলে উল্লেখ করেন সিদিবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ভারতের মধ্যে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইউএনএইডসের এ হুঁশিয়ারি এলো। বিশেষ এ বাণিজ্য চুক্তিটি সম্পাদিত হলে ভারতে স্বল্পব্যয়ে এইডস চিকিৎসায় ব্যবহূত অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ওষুধ উৎপাদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে পারে। এইডসের জন্য দায়ী এইচআইভি জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত-ইইউ ওই চুক্তি হলে বিশ্বব্যাপী বহু দরিদ্র মানুষ কম দামে এইডস উপশমের ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ পাবে না।
জেনেরিক ওষুধ সাধারণত কোনো ব্র্যান্ড নাম ছাড়া বিক্রি হয়। এ ধরনের ওষুধের কোনো একক প্যাটেন্ট না থাকায় বিভিন্ন উৎপাদনকারীর মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে দাম বেশ কম হয়।
ইউএনএইডসের নির্বাহী পরিচালক মিশেল সিদিবে বলেন, ‘ভারতের উচিত, ওই বিশেষ সুযোগটি বাতিলে রাজি না হওয়া। কারণ, ভারত এসব ওষুধ উৎপাদন করতে না পারলে পুরো বিশ্বের জন্য তা হবে ভয়াবহ একটি ব্যাপার।’ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিদিবে জানান, ভারতের স্বল্পমূল্যের ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আফ্রিকা। সারা বিশ্বে এইডসের চিকিৎসা গ্রহণকারী ৮৬ শতাংশ মানুষই ভারতে উৎপাদিত ওষুধ গ্রহণ করে থাকে।
সিদিবে বলেন, বাণিজ্য চুক্তিটি হলে বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অর্জিত সাফল্য ব্যাহত হবে। তিনি বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা সহজপ্রাপ্য করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি। আমার মতে, এ চুক্তিটি হবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুযোগের পুনর্বণ্টনে আমাদের অর্জিত সফলতা ধ্বংসের সূচনা।’ জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়, এমন কোনো চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে ভারতের প্রতি আফ্রিকার নেতারাও আহ্বান জানিয়ে আসছেন বলে উল্লেখ করেন সিদিবে।
No comments