লোকজনের ফোনে আড়ি পেতেছিল পত্রিকা
২০০৫ সালের ৭ জুলাই (৭/৭) লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলার পর নিহত ও আহত লোকজনের আত্মীয়স্বজনের ফোনে সম্ভবত আড়ি পাতা হয়েছিল। এ খবর প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গতকাল বুধবার এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মিডিয়া মোগল বলে পরিচিত রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন ট্যাবলয়েড পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ফোনে আড়ি পাতার কাজ করেছিল। ভেতরের খবর পাওয়ার জন্যই পত্রিকাটি এ কাজ করে। আর এ জন্য পত্রিকাটি পুলিশকে অর্থ দিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
৭/৭ হামলায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের কয়েকজন আত্মীয়র এক কৌঁসুলি জানান, একটি পরিবার তাদের জানিয়েছে, তাদের ফোনে সম্ভবত আড়ি পাতা হয়েছিল।
নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন জানিয়েছেন, তাঁদের ফোনের ভয়েসমেইল হ্যাক করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে।
৭/৭ হামলায় নিহত ৫২ জনের একজন ছিলেন ডেভিড। তাঁর বাবা গ্রাহাম ফাউলকেস গতকাল বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, ঘটনা তদন্তের সময় একটি তালিকায় তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
গ্রাহাম বলেন, ‘২০০৫ সালে ওই হামলার পর আমরা কয়েক দিন ধরে ডেভিডের সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি। তাঁর খোঁজ পাওয়ার জন্য আমরা পাগলের মতো যাকে-তাকে ফোন করেছি। সত্যিই যদি আমাদের সেসব কথাবার্তা কেউ আড়ি পেতে শুনে থাকে, তাহলে কী সাংঘাতিক কাজই না তারা করেছে।’
ফোন হ্যাকিংয়ের এসব ঘটনা ফাঁস হওয়ায় যুক্তরাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পার্লামেন্টে এক বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ঘটনা তদন্তের অঙ্গীকার করেন।
ক্যামেরন বলেন, ঘটনা যা শোনা যাচ্ছে সত্যিই যদি তা ঘটে থাকে, তাহলে তা হবে খুবই বিব্রতকর। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষ যা শুনছে এবং টেলিভিশনে যা দেখছে, তাতে পার্লামেন্টের সবাই এমনকি দেশের প্রতিটি মানুষই বিদ্রোহ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ঘটনা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। তবে হামলার ঘটনা তদন্তে পুলিশের কাজ শেষ হওয়ার পরই ওই তদন্ত শুরু হবে।
তবে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বলেন, তদন্ত এখনই শুরু করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তা পারেন। একটি সংবাদপত্র কীভাবে এমন কাজ করতে পারে, তা তদন্ত করার জন্য চাইলে একজন বিচারককে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে জানান বিরোধীদলীয় নেতা মিলিব্যান্ড।
জানা গেছে, মিডিয়া মোগল বলে পরিচিত রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন ট্যাবলয়েড পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ফোনে আড়ি পাতার কাজ করেছিল। ভেতরের খবর পাওয়ার জন্যই পত্রিকাটি এ কাজ করে। আর এ জন্য পত্রিকাটি পুলিশকে অর্থ দিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
৭/৭ হামলায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের কয়েকজন আত্মীয়র এক কৌঁসুলি জানান, একটি পরিবার তাদের জানিয়েছে, তাদের ফোনে সম্ভবত আড়ি পাতা হয়েছিল।
নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন জানিয়েছেন, তাঁদের ফোনের ভয়েসমেইল হ্যাক করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে।
৭/৭ হামলায় নিহত ৫২ জনের একজন ছিলেন ডেভিড। তাঁর বাবা গ্রাহাম ফাউলকেস গতকাল বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, ঘটনা তদন্তের সময় একটি তালিকায় তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
গ্রাহাম বলেন, ‘২০০৫ সালে ওই হামলার পর আমরা কয়েক দিন ধরে ডেভিডের সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি। তাঁর খোঁজ পাওয়ার জন্য আমরা পাগলের মতো যাকে-তাকে ফোন করেছি। সত্যিই যদি আমাদের সেসব কথাবার্তা কেউ আড়ি পেতে শুনে থাকে, তাহলে কী সাংঘাতিক কাজই না তারা করেছে।’
ফোন হ্যাকিংয়ের এসব ঘটনা ফাঁস হওয়ায় যুক্তরাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পার্লামেন্টে এক বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ঘটনা তদন্তের অঙ্গীকার করেন।
ক্যামেরন বলেন, ঘটনা যা শোনা যাচ্ছে সত্যিই যদি তা ঘটে থাকে, তাহলে তা হবে খুবই বিব্রতকর। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষ যা শুনছে এবং টেলিভিশনে যা দেখছে, তাতে পার্লামেন্টের সবাই এমনকি দেশের প্রতিটি মানুষই বিদ্রোহ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ঘটনা অবশ্যই তদন্ত করা হবে। তবে হামলার ঘটনা তদন্তে পুলিশের কাজ শেষ হওয়ার পরই ওই তদন্ত শুরু হবে।
তবে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা এড মিলিব্যান্ড বলেন, তদন্ত এখনই শুরু করতে হবে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তা পারেন। একটি সংবাদপত্র কীভাবে এমন কাজ করতে পারে, তা তদন্ত করার জন্য চাইলে একজন বিচারককে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে জানান বিরোধীদলীয় নেতা মিলিব্যান্ড।
No comments