মাঠে প্রতিপক্ষই ছিলাম
খেলাটেলা নিয়ে তামিমের সঙ্গে আমার কথা কমই হয়। কম কী, হয়-ই না বলতে পারেন। ও কাউন্টি খেলতে এসেছে, আমাদের দলের বিপক্ষে খেলল—এসব নিয়েও কোনো কথাবার্তা হয়নি। এমনকি খেলার আগের রাতটা আমার বাসায় একসঙ্গে থাকার পরও না।
খেলার আগের দিন সকালে আমি নটিংহ্যাম গেলাম। সারা দিন একসঙ্গে ঘুরলাম, শপিং করলাম। সন্ধ্যায় একসঙ্গে খেলাম। রাতে আমার বাসায় থাকল ও। সিনেমা দেখলাম, গল্পগুজব করলাম। সকালে উস্টারের মাঠে যাওয়ার আগে ওকে নাশতা বানিয়ে খাওয়ালাম। পরোটা, কলিজা ভুনা আর ফ্রায়েড এগ। না, কলিজা ভুনা আমি রান্না করিনি। ওটা বাসায় ছিল। একজন এসে রান্না করে দিয়ে গিয়েছিল।
সকালে মঈন আলী এলে আমরা তিনজন একসঙ্গে মাঠে গেছি। ভাবতে পারেন, আমি খেলি উস্টারশায়ারে, তামিম নটিংহ্যামে। দুই দলের খেলার আগের রাতেও আমরা কী করে একসঙ্গে থাকি! আসলে খেলার বাইরে কে কী করল, কোথায় কার সঙ্গে থাকল এসব নিয়ে এখানে কারও মাথাব্যথা নেই। ঠিক সময়ে মাঠে গিয়ে খেলে দিয়ে এলেই হলো।
এটা ঠিক, তামিম আসাতে এখানে আমার সময়টা ভালো কাটছে। বাংলাদেশ থেকে আমরা দুজন কাউন্টিতে খেলছি, ছোটখাটো এক্সাইটমেন্ট তো আছেই। আমার সঙ্গে কেউ আলোচনা করে না, তবে বুঝি এটা নিয়ে এখানেও ফিসফাস কম হচ্ছে না। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা তো খুবই খুশি। দেখা হলে কথা বলে, অভিনন্দন জানায়। পরশু তো এখানে মেহরাব ভাইও (মেহরাব হোসেন জুনিয়র) এসেছিলেন। আর টেলিভিশনে নিশ্চয়ই দেখেছেন পরশুর ম্যাচে গ্যালারিতে একদল বাংলাদেশি ছিল। ওরা কিন্তু উস্টার বা নটিংহ্যামের জার্সি পরে আসেনি, এসেছে বাংলাদেশের জার্সি পরে। তার মানে ওরা আমার এবং তামিমের খেলা দেখতেই এসেছে। তবে তামিম হোটেলে থাকছে বলে ওর সঙ্গে বাংলাদেশিদের খুব বেশি দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে না।
উস্টারশায়ার-নটিংহ্যাম ম্যাচ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশ এক্সাইটমেন্ট থাকলেও আমার মধ্যে তেমন ছিল না। ওই যে বললাম, খেলা নিয়ে তামিমের সঙ্গে আমার সেভাবে কথাই হয় না। এমনকি মাঠে যে আমি তামিমের একটা ক্যাচ ফেললাম বা মঈন আলী ক্যাচ ফেলায় আমি তার উইকেট পেলাম না, সেটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি না। খেলায় যে কারও ক্যাচ ফেললে বা উইকেট পেতে পেতেও না পেলে খারাপ লাগেই। বিশেষ কারও উইকেট পেতে হবে সে রকম লক্ষ্য থাকে না। এ ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সে রকম। একইভাবে তামিম যে আমার ক্যাচটাই ধরে ফেলল বা আমরা তাদের কাছে হেরে গেলাম—সেটা নিয়েও আমার বিশেষ দুঃখ নেই। তামিম আমার বন্ধু বলে তো আর আমি বলতে পারি না, ‘তুই আমার ক্যাচ নিস না!’
মাঠে বরং আমরা সত্যিকার অর্থেই প্রতিপক্ষ ছিলাম। সাঈদ আজমল বল করতে আসার পর তো তামিমকে আউট করার জন্য নিজ থেকে গিয়ে টিপসও দিলাম তাঁকে। তবে আমার খুবই ভালো লাগছে, তামিম এখানে এসে অল্প সময়েই মানিয়ে নিয়েছে। দারুণ খেলছে সে এবং ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছে আমাদের বিপক্ষে ম্যাচেও। একটা ছক্কা মারল দুর্দান্ত। বল গিয়ে গ্যালারির ছাদ ফুটো করে আটকে যাওয়ায় তা নিয়ে এখানকার মানুষের সে কী কৌতূহল! বিশেষ করে বয়স্ক দর্শকেরা দেখলাম এটাতে খুবই মজা পাচ্ছে। আটকে থাকা বলের ছবি তুলছে। তামিমের এমন পারফরম্যান্স দেশের জন্য ভালো, দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো।
আশা করছি, আগামী ১৭ জুলাই সকালে আমি ও তামিম একসঙ্গে দেশে ফিরব। তার আগে দুজনের বেড়ানোর পরিকল্পনা আছে। দেখি কোথায় যাওয়া যায়। এখানে প্রতিপক্ষ হলেও আসল জায়গায় তো আমরা সতীর্থ, বন্ধু!
খেলার আগের দিন সকালে আমি নটিংহ্যাম গেলাম। সারা দিন একসঙ্গে ঘুরলাম, শপিং করলাম। সন্ধ্যায় একসঙ্গে খেলাম। রাতে আমার বাসায় থাকল ও। সিনেমা দেখলাম, গল্পগুজব করলাম। সকালে উস্টারের মাঠে যাওয়ার আগে ওকে নাশতা বানিয়ে খাওয়ালাম। পরোটা, কলিজা ভুনা আর ফ্রায়েড এগ। না, কলিজা ভুনা আমি রান্না করিনি। ওটা বাসায় ছিল। একজন এসে রান্না করে দিয়ে গিয়েছিল।
সকালে মঈন আলী এলে আমরা তিনজন একসঙ্গে মাঠে গেছি। ভাবতে পারেন, আমি খেলি উস্টারশায়ারে, তামিম নটিংহ্যামে। দুই দলের খেলার আগের রাতেও আমরা কী করে একসঙ্গে থাকি! আসলে খেলার বাইরে কে কী করল, কোথায় কার সঙ্গে থাকল এসব নিয়ে এখানে কারও মাথাব্যথা নেই। ঠিক সময়ে মাঠে গিয়ে খেলে দিয়ে এলেই হলো।
এটা ঠিক, তামিম আসাতে এখানে আমার সময়টা ভালো কাটছে। বাংলাদেশ থেকে আমরা দুজন কাউন্টিতে খেলছি, ছোটখাটো এক্সাইটমেন্ট তো আছেই। আমার সঙ্গে কেউ আলোচনা করে না, তবে বুঝি এটা নিয়ে এখানেও ফিসফাস কম হচ্ছে না। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা তো খুবই খুশি। দেখা হলে কথা বলে, অভিনন্দন জানায়। পরশু তো এখানে মেহরাব ভাইও (মেহরাব হোসেন জুনিয়র) এসেছিলেন। আর টেলিভিশনে নিশ্চয়ই দেখেছেন পরশুর ম্যাচে গ্যালারিতে একদল বাংলাদেশি ছিল। ওরা কিন্তু উস্টার বা নটিংহ্যামের জার্সি পরে আসেনি, এসেছে বাংলাদেশের জার্সি পরে। তার মানে ওরা আমার এবং তামিমের খেলা দেখতেই এসেছে। তবে তামিম হোটেলে থাকছে বলে ওর সঙ্গে বাংলাদেশিদের খুব বেশি দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে না।
উস্টারশায়ার-নটিংহ্যাম ম্যাচ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশ এক্সাইটমেন্ট থাকলেও আমার মধ্যে তেমন ছিল না। ওই যে বললাম, খেলা নিয়ে তামিমের সঙ্গে আমার সেভাবে কথাই হয় না। এমনকি মাঠে যে আমি তামিমের একটা ক্যাচ ফেললাম বা মঈন আলী ক্যাচ ফেলায় আমি তার উইকেট পেলাম না, সেটিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি না। খেলায় যে কারও ক্যাচ ফেললে বা উইকেট পেতে পেতেও না পেলে খারাপ লাগেই। বিশেষ কারও উইকেট পেতে হবে সে রকম লক্ষ্য থাকে না। এ ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সে রকম। একইভাবে তামিম যে আমার ক্যাচটাই ধরে ফেলল বা আমরা তাদের কাছে হেরে গেলাম—সেটা নিয়েও আমার বিশেষ দুঃখ নেই। তামিম আমার বন্ধু বলে তো আর আমি বলতে পারি না, ‘তুই আমার ক্যাচ নিস না!’
মাঠে বরং আমরা সত্যিকার অর্থেই প্রতিপক্ষ ছিলাম। সাঈদ আজমল বল করতে আসার পর তো তামিমকে আউট করার জন্য নিজ থেকে গিয়ে টিপসও দিলাম তাঁকে। তবে আমার খুবই ভালো লাগছে, তামিম এখানে এসে অল্প সময়েই মানিয়ে নিয়েছে। দারুণ খেলছে সে এবং ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরেছে আমাদের বিপক্ষে ম্যাচেও। একটা ছক্কা মারল দুর্দান্ত। বল গিয়ে গ্যালারির ছাদ ফুটো করে আটকে যাওয়ায় তা নিয়ে এখানকার মানুষের সে কী কৌতূহল! বিশেষ করে বয়স্ক দর্শকেরা দেখলাম এটাতে খুবই মজা পাচ্ছে। আটকে থাকা বলের ছবি তুলছে। তামিমের এমন পারফরম্যান্স দেশের জন্য ভালো, দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো।
আশা করছি, আগামী ১৭ জুলাই সকালে আমি ও তামিম একসঙ্গে দেশে ফিরব। তার আগে দুজনের বেড়ানোর পরিকল্পনা আছে। দেখি কোথায় যাওয়া যায়। এখানে প্রতিপক্ষ হলেও আসল জায়গায় তো আমরা সতীর্থ, বন্ধু!
No comments