প্রেসিডেন্ট পদের পর মেয়রপ্রার্থী রড্রিগো দুতের্তে

রড্রিগো দুতের্তে। ছিলেন মেয়র। তারপর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। আবার তিনি ডাভাও শহরে  মেয়র নির্বাচন করছেন। ৭৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিক ওই শহরে টানা দুই দশক মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু আগামী বছর সেখানে যে মেয়র নির্বাচন হবে তাতে এরই মধ্যে তিনি প্রার্থিতা নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ দক্ষিণের মিন্দানাও দ্বীপের ডাভাও শহরের মেয়র নির্বাচনের জন্য সোমবার নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই শহরে বর্তমান মেয়র তার ছেলে সেবাস্তিয়ান দুতের্তে। নির্বাচনে  সেবাস্তিয়ান হবেন পিতার রানিংমেট। ডাভাও শহর দুতের্তে পরিবারের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু রড্রিগো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সারা দেশে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। এর ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্তের দাবি ওঠে। বর্তমানে দেশটিতে দুতের্তের মেয়ে সারা দুতের্তে হলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে রড্রিগো দুতের্তে বলেছেন, আমি আপনাদের সেবা করতে চাই। তিনি আরও বলেছেন, আগের চেয়ে ডাভাওকে তিনি আরও সুন্দরভাবে চালাতে চান। কিন্তু একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট তিনি কেন মেয়র নির্বাচন করবেন! এর কারণ হলো ফিলিপাইনে আগামী ২০২৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিনি মেয়ে সারা দুতের্তেকে প্রার্থী করতে চান। তাই তাকে সমর্থন দিতে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। ওই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কারণ, সেখানে প্রেসিডেন্ট পদে এক মেয়াদের বেশি নির্বাচন করার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আছে।  তবে মার্কোস জুনিয়রের কাজিন মার্টিন রোমুয়ালদেজ বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ের নির্বাচনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুই পরিবারের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওদিকে রড্রিগো দুতের্তের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এই তদন্ত বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়রের অধীনে অব্যাহত আছে। এ ছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে শুনানি করছে প্রতিনিধি পরিষদের কমিটি। দুতের্তের ক্ষমতার সময়ে ফিলিপাইনে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ বাহিনী কমপক্ষে ৬ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। তবে আইসিসি প্রসিকিউটরদের হিসাবে এই সংখ্যা ১২ হাজার থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাননি রড্রিগো দুতের্তে।
mzamin

No comments

Powered by Blogger.