আচরণে বিব্রত ড. মোমেন by ওয়েছ খছরু
সরব
হতেই বাধার মুখে পড়েছেন ড. মোমেন। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো আড়ালে তাকে বাধার
মুখে পড়তেই হচ্ছে। আর দিন যতই গড়াচ্ছে বাধার বিষয়টিও আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
এতে করে তিনি বিব্রতও। সিলেট আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই বলয়ের নেতারা তাকে
ছাড় দিচ্ছেন না। আর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ড. মোমেন নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন
একটি অনুষ্ঠানে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট আওয়ামী লীগে আগে
থেকেই ঘটছে এমন ঘটনা। আর এসব ঘটনায় ক্রমেই আলোচিত হচ্ছে ড. একে আব্দুল
মোমেনের নাম।
আগামীর নেতৃত্বে স্থান পেতে হলে তাকে কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতেহবে, এমন আভাস এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সিলেটে। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ড. একে আব্দুল মোমেন।
প্রায় তিন বছর ধরে তিনি নানাভাবে জড়িয়ে পড়েছেন সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ডে। ইতিমধ্যে পরিচিতিও পেয়েছেন। কিন্তু সিলেট আওয়ামী লীগে এখনো সুসংহত অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, সিলেট আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র অভিভাবক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বিগত ১০ বছর ধরে সিলেট-১ আসনের এমপি। কিন্তু এককভাবে আওয়ামী লীগের ভেতরের ঐক্য ধরে রাখতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। বিগত ১০ বছর ধরেই তার সঙ্গে দলীয়ভাবে অদৃশ্য লড়াই চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তাদের দুইজনের লড়াইয়ে মাঠের কর্মীরা বিভক্ত। অর্থমন্ত্রী বলয়, মিসবাহ সিরাজ বলয় নামে দুটি বলয় প্রকাশ্যে রয়েছে সিলেটে। অর্থমন্ত্রী সিলেটের এমপি হলেও মিসবাহ সিরাজ বিভিন্ন সময় তাকে এড়িয়ে চলেছেন। মিসবাহ সিরাজ সিলেটে দল নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। আর অর্থমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রশাসন।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর কামরানও অর্থমন্ত্রী বিরোধী হয়েছেন। কামরান অনুসারীরা মনে করেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরানের পরাজয়ের অন্তরালে অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিত ছিল। এ কারণে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পরাজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে প্রকাশ্যে নালিশ করেছেন সিলেটের নেতারা। ফলে এখন সিলেটে আওয়ামী লীগের বিবদমান এই তিনটি গ্রুপই মুখোমুখি রয়েছে। ড. একে আব্দুল মোমেন হচ্ছেন জাতিসংঘ ফেরত বরেণ্য কূটনীতিবিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ প্রয়োজনে ড. মোমেনকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন। ড. মোমেন দেশে ফিরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চারলেনে রূপান্তর করার কাজ অনেকটা এগিয়েও নিয়েছিলেন। রহস্যময় কারণে পরবর্তীতে ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। ফলে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটেও নানা কথায় আলোচিত হন তিনি। এরপরও বড় ভাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আগামীর সিলেটের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার ছক আঁকছেন তিনি।
বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সক্রিয় ছিলেন ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি নিজেও সিলেটে প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণায় অংশ নিলেও সিলেটে নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রাখতে পারেননি। বরং নির্বাচনের দিন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষেপেছেন সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা। অর্থমন্ত্রী বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা ও সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী। তার প্রতি অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখাতে পারছেন না। এই ক্ষোভের কারণে সিলেটে নানাভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন ড. মোমেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সফর শেষে গত মঙ্গলবার সিলেটে ফিরেন ড. একে আব্দুল মোমেন। তাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী বলয়ের নেতারা। এরপর বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি কয়েকটি ঘরোয়া বৈঠকেও অংশ নেন। এরমধ্যে খাদিমপাড়া ইউনিয়নে একটি ঘরোয়া বৈঠক নিয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এক বিএনপি নেতার বাসায় ঘরোয়া বৈঠক করায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা এতে অংশ নেননি।
বৃহস্পতিবার সিলেট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঘটেছে আরেক ঘটনা। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। খবর পেয়ে সেখানে যান ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি অবশ্য মঞ্চে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের পাশেই বসা ছিলেন। তিনি বসা থাকলেও সিলেটের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দিতে গিয়ে তাকে সম্বোধন পর্যন্ত করেননি। ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন। কিন্তু সময়ের অজুহাত দেখিয়ে আর কোনো নেতাকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি। এ সময় অনেক নেতার কাছে সে বিষয়টি দৃষ্টিকটু লাগে। এ কারণে শেষ পর্যায়ে ড. মোমেনকে বক্তব্য দিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি অনুরোধও করেন। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা দেখিয়ে তাকে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি।
এ ঘটনায় ওই অনুষ্ঠানে কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তবে, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন কামরান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তিনি এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মোমেন সাহেব আমাদের বড় ভাই, তিনি সবার প্রিয়। কিন্তু আজকের সভায় তিনি বক্তব্য রাখছেন না। সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী নির্বাচন না করার ঘোষণা দেয়ায় তিনিসহ অনেকেই দলের মনোনয়ন চাইবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করব।’ সিটি নির্বাচনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার কথাও বলেন তিনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ড. মোমেন কোনো কথা বলেননি। তিনি বিব্রত বোধ করেন। এদিকে, এই অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় নিজ বাসা হাফিজ কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড যুবলীগের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. মোমেন। তিনি এ সময় অনেকটা ক্ষোভের সুরেই বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। এই দিনে কাউকে যেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘায়েল করা না হয়। কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমরা যেন কারো কোনো ক্ষতি না করি। মনে যেন কষ্ট না দেই।’
আগামীর নেতৃত্বে স্থান পেতে হলে তাকে কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতেহবে, এমন আভাস এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সিলেটে। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ড. একে আব্দুল মোমেন।
প্রায় তিন বছর ধরে তিনি নানাভাবে জড়িয়ে পড়েছেন সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ডে। ইতিমধ্যে পরিচিতিও পেয়েছেন। কিন্তু সিলেট আওয়ামী লীগে এখনো সুসংহত অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, সিলেট আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র অভিভাবক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বিগত ১০ বছর ধরে সিলেট-১ আসনের এমপি। কিন্তু এককভাবে আওয়ামী লীগের ভেতরের ঐক্য ধরে রাখতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। বিগত ১০ বছর ধরেই তার সঙ্গে দলীয়ভাবে অদৃশ্য লড়াই চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তাদের দুইজনের লড়াইয়ে মাঠের কর্মীরা বিভক্ত। অর্থমন্ত্রী বলয়, মিসবাহ সিরাজ বলয় নামে দুটি বলয় প্রকাশ্যে রয়েছে সিলেটে। অর্থমন্ত্রী সিলেটের এমপি হলেও মিসবাহ সিরাজ বিভিন্ন সময় তাকে এড়িয়ে চলেছেন। মিসবাহ সিরাজ সিলেটে দল নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। আর অর্থমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রশাসন।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর কামরানও অর্থমন্ত্রী বিরোধী হয়েছেন। কামরান অনুসারীরা মনে করেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরানের পরাজয়ের অন্তরালে অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিত ছিল। এ কারণে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার পরাজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে প্রকাশ্যে নালিশ করেছেন সিলেটের নেতারা। ফলে এখন সিলেটে আওয়ামী লীগের বিবদমান এই তিনটি গ্রুপই মুখোমুখি রয়েছে। ড. একে আব্দুল মোমেন হচ্ছেন জাতিসংঘ ফেরত বরেণ্য কূটনীতিবিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ প্রয়োজনে ড. মোমেনকে দেশে নিয়ে এসেছিলেন। ড. মোমেন দেশে ফিরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চারলেনে রূপান্তর করার কাজ অনেকটা এগিয়েও নিয়েছিলেন। রহস্যময় কারণে পরবর্তীতে ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। ফলে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেটেও নানা কথায় আলোচিত হন তিনি। এরপরও বড় ভাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আগামীর সিলেটের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার ছক আঁকছেন তিনি।
বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে সক্রিয় ছিলেন ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি নিজেও সিলেটে প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণায় অংশ নিলেও সিলেটে নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রাখতে পারেননি। বরং নির্বাচনের দিন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষেপেছেন সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা। অর্থমন্ত্রী বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা ও সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী। তার প্রতি অনেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখাতে পারছেন না। এই ক্ষোভের কারণে সিলেটে নানাভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন ড. মোমেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সফর শেষে গত মঙ্গলবার সিলেটে ফিরেন ড. একে আব্দুল মোমেন। তাকে বরণ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী বলয়ের নেতারা। এরপর বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি কয়েকটি ঘরোয়া বৈঠকেও অংশ নেন। এরমধ্যে খাদিমপাড়া ইউনিয়নে একটি ঘরোয়া বৈঠক নিয়ে তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এক বিএনপি নেতার বাসায় ঘরোয়া বৈঠক করায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা এতে অংশ নেননি।
বৃহস্পতিবার সিলেট আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঘটেছে আরেক ঘটনা। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগ। খবর পেয়ে সেখানে যান ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি অবশ্য মঞ্চে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের পাশেই বসা ছিলেন। তিনি বসা থাকলেও সিলেটের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দিতে গিয়ে তাকে সম্বোধন পর্যন্ত করেননি। ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন। কিন্তু সময়ের অজুহাত দেখিয়ে আর কোনো নেতাকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি। এ সময় অনেক নেতার কাছে সে বিষয়টি দৃষ্টিকটু লাগে। এ কারণে শেষ পর্যায়ে ড. মোমেনকে বক্তব্য দিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি অনুরোধও করেন। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা দেখিয়ে তাকে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি।
এ ঘটনায় ওই অনুষ্ঠানে কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তবে, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন কামরান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তিনি এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মোমেন সাহেব আমাদের বড় ভাই, তিনি সবার প্রিয়। কিন্তু আজকের সভায় তিনি বক্তব্য রাখছেন না। সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী নির্বাচন না করার ঘোষণা দেয়ায় তিনিসহ অনেকেই দলের মনোনয়ন চাইবেন। দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করব।’ সিটি নির্বাচনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার কথাও বলেন তিনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ড. মোমেন কোনো কথা বলেননি। তিনি বিব্রত বোধ করেন। এদিকে, এই অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় নিজ বাসা হাফিজ কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড যুবলীগের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. মোমেন। তিনি এ সময় অনেকটা ক্ষোভের সুরেই বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। এই দিনে কাউকে যেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘায়েল করা না হয়। কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমরা যেন কারো কোনো ক্ষতি না করি। মনে যেন কষ্ট না দেই।’
No comments